উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে হতে পারে বেকারত্বের সমাধান
আইএলও-এর মতে দেশে এ মুহূর্তে বেকারের সংখ্যা ২৭ লাখ। করোনা পরিস্থিতির কারণে বেকারত্বের সংখ্যাটা বেড়ে যাচ্ছে আরও বেশি। করোনার কারণে চাকরির বাজার সংকোচন হয়েছে গত বছর থেকে। আইএলও আরও বলছে যে দেশের তরুণদের শতকরা ২৫ জন বেকার! অর্থাৎ দেশে চার জন তরুণের মধ্যে একজন বেকার! বেকারত্বের চিত্র যে কতটা ভয়াবহ তা এই পরিসংখ্যানের মাধ্যমেই বোঝা যায়। দেশে প্রতি বছর যে পরিমান শিক্ষার্থী স্নাতক শেষ করছে সেই তুলনায় কর্মসংস্থানের সুযোগ কম হওয়াতে বেকারত্বের গ্লানি বয়ে বেরাতে হচ্ছে অনেক তরুণকেই।
বিশ্বায়নের কল্যাণে উন্নয়নশীল দেশগুলো আউটসোর্সিংয়ের বড় বাজার হয়ে উঠেছে। ভারত ইতোমধ্যে এ খাতে বড় অগ্রগতি অর্জন করেছে। আমরাও এই পথে হাঁটতে শুরু করেছি। ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। তবে এটা এখনও অল্প কিছু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এটাকে আরও ছড়িয়ে দেয়া গেলে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান করা সম্ভব। এসব সেক্টরে সরকারি সহয়তা পেলে উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব।
একজন তরুণ চাকরীর প্রস্তুতি নিয়ে একটি চাকরি নিশ্চিত করতে পারলে কেবল নিজের আর পরিবারের জন্য সহায়ক হোন কিন্তু একজন যুবক উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে পারলে আর ১০-১৫ জনের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হন, যা নিজের দেশের জন্য বেশি গুরুত্ব বহন করে। তাই উদ্যোক্তা উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। বদলাতে হবে পারিবারিক চিন্তা-ভাবনা। একজন সফল উদ্যোক্তা হতে সব থেকে বেশি প্রয়োজন পরিবার ও আত্মীয় সজনদের পূর্ণ সমর্থন।
সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে উদ্যোক্তা উন্নয়নের জন্য। ব্যাংকগুলোকে আরও সহজ শর্তে ঋণ দানের ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে চাকরি কেন্দ্রিক মনোভাব তৈরির পরিহার করে উদ্যোক্তা তৈরির দিকে গুরুত্ব দিতে হবে, পাশাপাশি সামাজিকভাবে উদ্যোক্তাদের ব্যাপকভাবে মর্যাদা দিতে পারলে এই সেক্টরকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারে বিশেষ বিমার ব্যবস্থা করা দরকার যাতে করে তরুণরা ঝুঁকি নিতে সাহস পায়। উদ্যোক্তা উন্নয়নের জন্য সরকারিভাবে আরও প্রকল্প বাড়াতে হবে, যা উদ্যোক্তা তৈরির বাতিঘর হিসেবে কাজ করবে। এতে করে যেমন মেধাবী তরুণরা উদ্যোক্তা হয়ে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে তেমনি পরিবার ও দেশ তাদের সেবা থেকে বঞ্চিত হবে না।
কেএম মাসুম বিল্লাহ, কর্মকর্তা
জনতা ব্যাংক লিমিটেড।
ঠান্ডা পানিকে না বলুন
একদিকে করোনার প্রকোপ, অন্যদিকে গ্রীষ্মের দাবদাহ। সাময়িক আরাম পেতে অনেকেই ফ্রিজ খুলে ঠান্ডা পানি খোঁজেন। পেলে ভালো, আবার না পেলে অনেকেই চিৎকার করে বাড়ি মাথায় তোলেন। প্রশ্ন, এই করোনাকালে ঠান্ডা পানি কি আদৌ নিরাপদ?
চিকিৎসকদের মতে, ঠান্ডা পানিতে কোন ভালো গুণ নেই। সাময়িক আরাম, তৃপ্তির জন্যেই এর প্রাসঙ্গিকতা। অনেকের ঠান্ডা পানি সহ্য হয় না। খেলেই গলা ব্যথা, নইলে টনসিলাইটিসের মতো ব্যামো বাঁধে। সঙ্গে গলা খুসখুস করা, শুকনো কাশিও হয়।
এই মুহূর্তে করোনার ভয়াবহতায় বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেই মানুষ দিগভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন। চিকিৎসকরাও বলছেন, ছোট ছোট উপসর্গকে একেবারে অবহেলা না করতে।
গলা ব্যথা, কাশির মতো উপসর্গগুলো আগে অত্যন্ত সাধারণ বিষয় ছিল- কিন্তু এখন তা সাধারণের পর্যায়ে নেই। এইসব লক্ষ্মণ থেকেও করোনার আভাস মিলছে। তাই এই মুহূর্তে ঠান্ডা পানি খাওয়া উচিত নয়- আর তা খেলে বিপদ বাড়তে পারে। কাজেই এ বিষয়ে সবার সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
লিয়াকত হোসেন খোকন
শুক্রবার, ২১ মে ২০২১ , ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৮ শাওয়াল ১৪৪২
উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে হতে পারে বেকারত্বের সমাধান
আইএলও-এর মতে দেশে এ মুহূর্তে বেকারের সংখ্যা ২৭ লাখ। করোনা পরিস্থিতির কারণে বেকারত্বের সংখ্যাটা বেড়ে যাচ্ছে আরও বেশি। করোনার কারণে চাকরির বাজার সংকোচন হয়েছে গত বছর থেকে। আইএলও আরও বলছে যে দেশের তরুণদের শতকরা ২৫ জন বেকার! অর্থাৎ দেশে চার জন তরুণের মধ্যে একজন বেকার! বেকারত্বের চিত্র যে কতটা ভয়াবহ তা এই পরিসংখ্যানের মাধ্যমেই বোঝা যায়। দেশে প্রতি বছর যে পরিমান শিক্ষার্থী স্নাতক শেষ করছে সেই তুলনায় কর্মসংস্থানের সুযোগ কম হওয়াতে বেকারত্বের গ্লানি বয়ে বেরাতে হচ্ছে অনেক তরুণকেই।
বিশ্বায়নের কল্যাণে উন্নয়নশীল দেশগুলো আউটসোর্সিংয়ের বড় বাজার হয়ে উঠেছে। ভারত ইতোমধ্যে এ খাতে বড় অগ্রগতি অর্জন করেছে। আমরাও এই পথে হাঁটতে শুরু করেছি। ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। তবে এটা এখনও অল্প কিছু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এটাকে আরও ছড়িয়ে দেয়া গেলে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান করা সম্ভব। এসব সেক্টরে সরকারি সহয়তা পেলে উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব।
একজন তরুণ চাকরীর প্রস্তুতি নিয়ে একটি চাকরি নিশ্চিত করতে পারলে কেবল নিজের আর পরিবারের জন্য সহায়ক হোন কিন্তু একজন যুবক উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে পারলে আর ১০-১৫ জনের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হন, যা নিজের দেশের জন্য বেশি গুরুত্ব বহন করে। তাই উদ্যোক্তা উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। বদলাতে হবে পারিবারিক চিন্তা-ভাবনা। একজন সফল উদ্যোক্তা হতে সব থেকে বেশি প্রয়োজন পরিবার ও আত্মীয় সজনদের পূর্ণ সমর্থন।
সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে উদ্যোক্তা উন্নয়নের জন্য। ব্যাংকগুলোকে আরও সহজ শর্তে ঋণ দানের ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে চাকরি কেন্দ্রিক মনোভাব তৈরির পরিহার করে উদ্যোক্তা তৈরির দিকে গুরুত্ব দিতে হবে, পাশাপাশি সামাজিকভাবে উদ্যোক্তাদের ব্যাপকভাবে মর্যাদা দিতে পারলে এই সেক্টরকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারে বিশেষ বিমার ব্যবস্থা করা দরকার যাতে করে তরুণরা ঝুঁকি নিতে সাহস পায়। উদ্যোক্তা উন্নয়নের জন্য সরকারিভাবে আরও প্রকল্প বাড়াতে হবে, যা উদ্যোক্তা তৈরির বাতিঘর হিসেবে কাজ করবে। এতে করে যেমন মেধাবী তরুণরা উদ্যোক্তা হয়ে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে তেমনি পরিবার ও দেশ তাদের সেবা থেকে বঞ্চিত হবে না।
কেএম মাসুম বিল্লাহ, কর্মকর্তা
জনতা ব্যাংক লিমিটেড।
ঠান্ডা পানিকে না বলুন
একদিকে করোনার প্রকোপ, অন্যদিকে গ্রীষ্মের দাবদাহ। সাময়িক আরাম পেতে অনেকেই ফ্রিজ খুলে ঠান্ডা পানি খোঁজেন। পেলে ভালো, আবার না পেলে অনেকেই চিৎকার করে বাড়ি মাথায় তোলেন। প্রশ্ন, এই করোনাকালে ঠান্ডা পানি কি আদৌ নিরাপদ?
চিকিৎসকদের মতে, ঠান্ডা পানিতে কোন ভালো গুণ নেই। সাময়িক আরাম, তৃপ্তির জন্যেই এর প্রাসঙ্গিকতা। অনেকের ঠান্ডা পানি সহ্য হয় না। খেলেই গলা ব্যথা, নইলে টনসিলাইটিসের মতো ব্যামো বাঁধে। সঙ্গে গলা খুসখুস করা, শুকনো কাশিও হয়।
এই মুহূর্তে করোনার ভয়াবহতায় বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেই মানুষ দিগভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন। চিকিৎসকরাও বলছেন, ছোট ছোট উপসর্গকে একেবারে অবহেলা না করতে।
গলা ব্যথা, কাশির মতো উপসর্গগুলো আগে অত্যন্ত সাধারণ বিষয় ছিল- কিন্তু এখন তা সাধারণের পর্যায়ে নেই। এইসব লক্ষ্মণ থেকেও করোনার আভাস মিলছে। তাই এই মুহূর্তে ঠান্ডা পানি খাওয়া উচিত নয়- আর তা খেলে বিপদ বাড়তে পারে। কাজেই এ বিষয়ে সবার সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
লিয়াকত হোসেন খোকন