সমীর কুমার সাহা
২১ মে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। মানসিক শান্তি আনয়নে মেডিটেশন বা ধ্যান এখন বিজ্ঞানসম্মত বিশ্ব স্বীকৃত পদ্ধতি। সচেতনাতা বৃদ্ধির ফলে ক্রমেই ধ্যান মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হযে উঠছে। এরই ফলশ্রুতিতে গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিকভাবে (বাংলাদেশসহ) প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ২১ মে পালিত হবে বিশ্ব ধ্যান বা মেডিটেশন দিবস।
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ধ্যানের জনপ্রিয়তা। আধুনিক প্রযুক্তির এ যুগে মানসিক অবসাদের শিকার কিংবা দুশ্চিন্তার কবলে পড়ে নাজেহাল জীবন। সুস্থ জীবনযাপন ও শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে কতই না মাথাব্যথা আমাদের। কিন্তু এ সুস্থতার পথে বড় বাধা হচ্ছে স্ট্রেস। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, ফুসফুসের জটিলতা, লিভার সিরোসিসসহ আরও নানাবিধ অসংক্রামক রোগের মূলে রয়েছে এই স্ট্রেস। আর এই স্ট্রেস মুক্তির উপায় হিসেবে এখন সারা বিশ্বে সমাদৃত ধ্যান বা মেডিটেশন।
‘প্রতিদিন নিয়মিত মেডিটেশন করুন, সুস্থ সফল সুখী জীবন লাভ করুন’ এবার এই বার্তাটিই নিয়ে এসেছে ২১ মে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস।
ধ্যান বা মেডিটেশন হল পেশী ও স্নায়ুর শিথিলায়নের মাধ্যমে আত্মনিমগ্ন হওয়া, অস্থির মনকে স্থির করা ও মনোযোগ একাগ্র করার প্রক্রিয়া। মেডিটেশন হলো মনের ব্যায়াম; নীরবে বসে সুনির্দিষ্ট অনুশীলন, যা মনোযোগ, সচেতনতা ও সৃজনশীলতা বাড়ায়। মনের স্বেচ্ছা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে।
মানবজীবনে প্রশান্তি ছাড়া অর্থ-বিত্ত, খ্যাতি, সাফল্য সবকিছুই অর্থহীন। সেই প্রশান্তির সন্ধান মিলেছে মেডিটেশনে। মেডিটেশন দেহ মনের প্রশান্তি ও সুখানুভূতি বাড়ানোর পাশাপাশি আত্ম জাগরণও ঘটায়। ইতিবাচক চিন্তার মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ সমস্যা ও দুর্দশাগ্রস্ত জীবনধারাকে বদলে ফেলেছেন। নিরাময় লাভ করেছেন দুরারোগ্য ব্যাধি থেকেও।
২০১৮ সালের যুক্তরাষ্ট্রের এক জরিপে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের শতকরা ৫২ ভাগ প্রতিষ্ঠানই তাদের কর্মীদের মেডিটেশনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। কারণ, তারা দেখছে, মেডিটেশন করা কর্মীর উৎপাদন ক্ষমতা মেডিটেশন না করা কর্মীর চেয়ে শতভাগ বেশি। আশার কথা ইদানীং বাংলাদেশের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও সেদিকে ঝুঁকছে।
তথ্যমতে, বিশ্বজুড়ে এখন প্রায় ৫০ কোটি মানুষ নিয়মিত ধ্যান বা মেডিটেশন করেন। স্ট্রেস বা মানসিক চাপ নিয়ে যখন একজন মানুষ ধ্যানমগ্ন হন বা মেডিটেশন করেন তার ট্রেসের মাত্রা কমে যায় শতকরা ৬০ ভাগ।
গবেষণার তথ্য মতে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির হার অন্তত ৮৭ ভাগ কমে গেছে মেডিটেশন করা ব্যাক্তিদের। শতকরা ৯১ ভাগ মানুষ ঘুমের ওষুধ বা শ্লিপিং পিল খাওয়া বাদ দিতে পেরেছেন মেডিটেশন করে। অথচ কোন ওষুধ বা প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে এমন সাফল্য কখনও দেখা যায়নি।
কবে ধ্যান বা মেডিটেশনের উৎপত্তি হয়েছিল তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা না থাকলেও প্রত্নতত্ত্ববিদ ও গবেষকরা একমত যে তা প্রায় ৫০০০ বছর আগে উৎপত্তি লাভ করেছিল। ধ্যান চর্চার সবচেয়ে প্রাচীন নথি পাওয়া যায় প্রায় ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের বেদে। টাও ও বুদ্ধের ধ্যান পদ্ধতির বিকাশ ঘটে খ্রিস্টপূর্ব ৬০০-৫০০ সালে। খ্রিস্টপূর্ব ৪০০-১০০ সালে পতঞ্জলির যোগ সূত্র প্রণীত হয় যেখানে অষ্টাঙ্গা ধ্যানের বর্ণনা পাওয়া যায়। খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ খ্রিস্টাব্দ ২০০ সালে ভগবদ গীতা লিখিত হয় যেখানে যোগ, ধ্যান এবং আধ্যাত্মিক জীবনযাপনের পদ্ধতি নিয়ে বর্ণনা রয়েছে। ৬৫৩ খ্রিস্টাব্দে জাপানে প্রথম ধ্যান হলো খোলা হয়। অষ্টাদশ শতকে ধ্যানের প্রাচীন শিক্ষার অনুবাদ পাশ্চাত্যে পৌঁছায়। বিংশ শতকে ধ্যানের বিভিন্ন মেথড উদ্ভাবিত হয়।
ধ্যান বা মেডিটেশনের প্রাকটিসের মধ্যে কোন ধরনের উপকারিতা আছে কি না-যা আমাদের দেহ এবং মনকে সুস্থ করতে পারে? এটা খুঁজে বের করার জন্য বিগত ২০ বছরে অনেক বিদেশি এবং ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা করেছে। বিভিন্ন গবেষণার পরে জানা যায় যে, ধ্যান বা মেডিটেশন আসলে আমাদের দেহকে বিভিন্ন উপায়ে নিরাময় করতে পারে এবং এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্য সুবিধা।
কখন, কীভাবে করবেন মেডিটেশন? মেডিটেশনের জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হতে পারে ভোরবেলা, তখন মন শান্ত থাকে। আশেপাশের পরিবেশও থাকে শান্ত। এছাড়া কোন ধরনের মেডিটেশন করবেন সেটির ওপর নির্ভর করে দিনের যেকোন সময় ধ্যানের অভ্যাস করতে পারেন। মেডিটেশন করার জন্য শান্ত এবং সুন্দর একটি জায়গা নির্বাচন করা উচিত। যেখানে নিরাপদ, শান্তি এবং আরামদায়ক অনুভব হবে। বেডরুমকেও মেডিটেশনের জন্য বেছে নেয়া যেতে পারে। তবে, খেয়াল রাখতে হবে বেডরুমে যাতে এমন কোন কিছু না থাকে যা মেডিটেশন করার সময় কনসেন্ট্রেশনকে নষ্ট করে। যেমন, যখন মেডিটেশন করবেন তখন রুমের টিক্ টিক্ করা দেয়াল ঘড়িটা বন্ধ রাখতে হবে। রুমের টিভি বা মাথার ওপর শোঁ শোঁ করে ঘোরা ফ্যানটা বন্ধ রাখতে হবে। তাহলেই মেডিটেশনে একাগ্রতা সৃষ্টি হবে; উপভোগ করতে পারবেন মেডিটেশনকে।
মেডিটেশন মস্তিষ্কের ভিটামিনের মতো, এটি উদ্বেগ, হতাশা, স্ব-গ্রহণযোগ্যতা, নৈরাশ্যবাদ এবং একাকীত্বের মতো জিনিসগুলি কাটাতে সহায়তা করে। এটি মস্তিষ্কের উন্নতি সাধন করে, আপনার নিজের এবং আপনার জীবন সম্পর্কে আরও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেয়, স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করে, একাগ্রতা বাড়ায় সর্বোপরি মানসিক চাপ ট্রেস কমায়।
সুস্থ সফল সুখী জীবন লাভে বিশ্বজুড়ে মেডিটেশন হয়ে উঠেছে নিরাময়ের বিকল্প পদ্ধতি। সাফল্যের অব্যর্থ প্রক্রিয়া ও প্রশান্তির লাগসই টেকনিক। তাই আপনার ঘরে বা নির্জন কোন স্থানে প্রতিদিন অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট মেডিটেশন করুন; সুস্থ সফল দুশ্চিন্তামুক্ত আনন্দময় জীবন লাভ করুন।
[লেখক : সাবেক নির্বাহী পরিচালক, পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন]
শুক্রবার, ২১ মে ২০২১ , ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৮ শাওয়াল ১৪৪২
সমীর কুমার সাহা
২১ মে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। মানসিক শান্তি আনয়নে মেডিটেশন বা ধ্যান এখন বিজ্ঞানসম্মত বিশ্ব স্বীকৃত পদ্ধতি। সচেতনাতা বৃদ্ধির ফলে ক্রমেই ধ্যান মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হযে উঠছে। এরই ফলশ্রুতিতে গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিকভাবে (বাংলাদেশসহ) প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ২১ মে পালিত হবে বিশ্ব ধ্যান বা মেডিটেশন দিবস।
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ধ্যানের জনপ্রিয়তা। আধুনিক প্রযুক্তির এ যুগে মানসিক অবসাদের শিকার কিংবা দুশ্চিন্তার কবলে পড়ে নাজেহাল জীবন। সুস্থ জীবনযাপন ও শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে কতই না মাথাব্যথা আমাদের। কিন্তু এ সুস্থতার পথে বড় বাধা হচ্ছে স্ট্রেস। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, ফুসফুসের জটিলতা, লিভার সিরোসিসসহ আরও নানাবিধ অসংক্রামক রোগের মূলে রয়েছে এই স্ট্রেস। আর এই স্ট্রেস মুক্তির উপায় হিসেবে এখন সারা বিশ্বে সমাদৃত ধ্যান বা মেডিটেশন।
‘প্রতিদিন নিয়মিত মেডিটেশন করুন, সুস্থ সফল সুখী জীবন লাভ করুন’ এবার এই বার্তাটিই নিয়ে এসেছে ২১ মে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস।
ধ্যান বা মেডিটেশন হল পেশী ও স্নায়ুর শিথিলায়নের মাধ্যমে আত্মনিমগ্ন হওয়া, অস্থির মনকে স্থির করা ও মনোযোগ একাগ্র করার প্রক্রিয়া। মেডিটেশন হলো মনের ব্যায়াম; নীরবে বসে সুনির্দিষ্ট অনুশীলন, যা মনোযোগ, সচেতনতা ও সৃজনশীলতা বাড়ায়। মনের স্বেচ্ছা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে।
মানবজীবনে প্রশান্তি ছাড়া অর্থ-বিত্ত, খ্যাতি, সাফল্য সবকিছুই অর্থহীন। সেই প্রশান্তির সন্ধান মিলেছে মেডিটেশনে। মেডিটেশন দেহ মনের প্রশান্তি ও সুখানুভূতি বাড়ানোর পাশাপাশি আত্ম জাগরণও ঘটায়। ইতিবাচক চিন্তার মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ সমস্যা ও দুর্দশাগ্রস্ত জীবনধারাকে বদলে ফেলেছেন। নিরাময় লাভ করেছেন দুরারোগ্য ব্যাধি থেকেও।
২০১৮ সালের যুক্তরাষ্ট্রের এক জরিপে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের শতকরা ৫২ ভাগ প্রতিষ্ঠানই তাদের কর্মীদের মেডিটেশনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। কারণ, তারা দেখছে, মেডিটেশন করা কর্মীর উৎপাদন ক্ষমতা মেডিটেশন না করা কর্মীর চেয়ে শতভাগ বেশি। আশার কথা ইদানীং বাংলাদেশের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও সেদিকে ঝুঁকছে।
তথ্যমতে, বিশ্বজুড়ে এখন প্রায় ৫০ কোটি মানুষ নিয়মিত ধ্যান বা মেডিটেশন করেন। স্ট্রেস বা মানসিক চাপ নিয়ে যখন একজন মানুষ ধ্যানমগ্ন হন বা মেডিটেশন করেন তার ট্রেসের মাত্রা কমে যায় শতকরা ৬০ ভাগ।
গবেষণার তথ্য মতে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির হার অন্তত ৮৭ ভাগ কমে গেছে মেডিটেশন করা ব্যাক্তিদের। শতকরা ৯১ ভাগ মানুষ ঘুমের ওষুধ বা শ্লিপিং পিল খাওয়া বাদ দিতে পেরেছেন মেডিটেশন করে। অথচ কোন ওষুধ বা প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে এমন সাফল্য কখনও দেখা যায়নি।
কবে ধ্যান বা মেডিটেশনের উৎপত্তি হয়েছিল তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা না থাকলেও প্রত্নতত্ত্ববিদ ও গবেষকরা একমত যে তা প্রায় ৫০০০ বছর আগে উৎপত্তি লাভ করেছিল। ধ্যান চর্চার সবচেয়ে প্রাচীন নথি পাওয়া যায় প্রায় ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের বেদে। টাও ও বুদ্ধের ধ্যান পদ্ধতির বিকাশ ঘটে খ্রিস্টপূর্ব ৬০০-৫০০ সালে। খ্রিস্টপূর্ব ৪০০-১০০ সালে পতঞ্জলির যোগ সূত্র প্রণীত হয় যেখানে অষ্টাঙ্গা ধ্যানের বর্ণনা পাওয়া যায়। খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ খ্রিস্টাব্দ ২০০ সালে ভগবদ গীতা লিখিত হয় যেখানে যোগ, ধ্যান এবং আধ্যাত্মিক জীবনযাপনের পদ্ধতি নিয়ে বর্ণনা রয়েছে। ৬৫৩ খ্রিস্টাব্দে জাপানে প্রথম ধ্যান হলো খোলা হয়। অষ্টাদশ শতকে ধ্যানের প্রাচীন শিক্ষার অনুবাদ পাশ্চাত্যে পৌঁছায়। বিংশ শতকে ধ্যানের বিভিন্ন মেথড উদ্ভাবিত হয়।
ধ্যান বা মেডিটেশনের প্রাকটিসের মধ্যে কোন ধরনের উপকারিতা আছে কি না-যা আমাদের দেহ এবং মনকে সুস্থ করতে পারে? এটা খুঁজে বের করার জন্য বিগত ২০ বছরে অনেক বিদেশি এবং ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা করেছে। বিভিন্ন গবেষণার পরে জানা যায় যে, ধ্যান বা মেডিটেশন আসলে আমাদের দেহকে বিভিন্ন উপায়ে নিরাময় করতে পারে এবং এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্য সুবিধা।
কখন, কীভাবে করবেন মেডিটেশন? মেডিটেশনের জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হতে পারে ভোরবেলা, তখন মন শান্ত থাকে। আশেপাশের পরিবেশও থাকে শান্ত। এছাড়া কোন ধরনের মেডিটেশন করবেন সেটির ওপর নির্ভর করে দিনের যেকোন সময় ধ্যানের অভ্যাস করতে পারেন। মেডিটেশন করার জন্য শান্ত এবং সুন্দর একটি জায়গা নির্বাচন করা উচিত। যেখানে নিরাপদ, শান্তি এবং আরামদায়ক অনুভব হবে। বেডরুমকেও মেডিটেশনের জন্য বেছে নেয়া যেতে পারে। তবে, খেয়াল রাখতে হবে বেডরুমে যাতে এমন কোন কিছু না থাকে যা মেডিটেশন করার সময় কনসেন্ট্রেশনকে নষ্ট করে। যেমন, যখন মেডিটেশন করবেন তখন রুমের টিক্ টিক্ করা দেয়াল ঘড়িটা বন্ধ রাখতে হবে। রুমের টিভি বা মাথার ওপর শোঁ শোঁ করে ঘোরা ফ্যানটা বন্ধ রাখতে হবে। তাহলেই মেডিটেশনে একাগ্রতা সৃষ্টি হবে; উপভোগ করতে পারবেন মেডিটেশনকে।
মেডিটেশন মস্তিষ্কের ভিটামিনের মতো, এটি উদ্বেগ, হতাশা, স্ব-গ্রহণযোগ্যতা, নৈরাশ্যবাদ এবং একাকীত্বের মতো জিনিসগুলি কাটাতে সহায়তা করে। এটি মস্তিষ্কের উন্নতি সাধন করে, আপনার নিজের এবং আপনার জীবন সম্পর্কে আরও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেয়, স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করে, একাগ্রতা বাড়ায় সর্বোপরি মানসিক চাপ ট্রেস কমায়।
সুস্থ সফল সুখী জীবন লাভে বিশ্বজুড়ে মেডিটেশন হয়ে উঠেছে নিরাময়ের বিকল্প পদ্ধতি। সাফল্যের অব্যর্থ প্রক্রিয়া ও প্রশান্তির লাগসই টেকনিক। তাই আপনার ঘরে বা নির্জন কোন স্থানে প্রতিদিন অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট মেডিটেশন করুন; সুস্থ সফল দুশ্চিন্তামুক্ত আনন্দময় জীবন লাভ করুন।
[লেখক : সাবেক নির্বাহী পরিচালক, পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন]