চীনে অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনে রেকর্ড

চীনের অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনে রেকর্ড হয়েছে। ইনার মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে উৎপাদন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বেড়েছে সরবরাহের পরিমাণ। মূলত এ কারণেই দেশটির মাসিক অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনে চাঙ্গা ভাব দেখা গেছে। সরকারি এক নথিতে উৎপাদন বৃদ্ধির এ চিত্র দেখা গেছে। রয়টার্স।

চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধাতু উৎপাদনকারী দেশ। এপ্রিলে দেশটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টন প্রাইমারি অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদন করেছে বলে জানিয়েছে চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো। এটি মার্চের তুলনায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। মার্চে অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩২ লাখ ৭৬ হাজার টন। এছাড়া গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় চলতি বছরের এপ্রিলে উৎপাদন বেড়েছে ১২ দশমিক ৪ শতাংশ।

চীনের সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এ বছরের প্রথম চার মাসে দেশটি ১ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার টন অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদন করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এপ্রিলে চীন দৈনিক ১ লাখ ১১ হাজার ৬৬৭ টন অ্যালুমিনিয়াম উত্তোলন করেছে, যা মার্চের তুলনায় রেকর্ড সর্বোচ্চ। মার্চে দৈনিক অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৭০০ টন।

সিআরইউ গ্রুপের গবেষণা বিভাগের অ্যালুমিনিয়াম বিশ্লেষক ওয়ান লিং বলেন, দৈনিক ও মাসভিত্তিক উৎপাদন বৃদ্ধির মূল কারণ হলো ব্যবহারিক ধাতুটির মূল্যবৃদ্ধি। সাংহাই ফিউচারস এক্সচেঞ্জে ব্যবহারিক ধাতুটির দাম গত কয়েক বছরের শীর্ষে উঠে এসেছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে উৎপাদন বাড়িয়েছে দেশটি।

এদিকে চীনের অ্যালুমিনিয়াম আমদানি এপ্রিলে আগের মাসের তুলনায় ৩৬ দশমিক ১ দশমিক শতাংশ বেড়েছে বলে জানায়, জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমস। অপরিশোধিত অ্যালুমিনিয়াম ও অ্যলুমিনিয়ামজাত পণ্য আমদানির পরিমাণ মার্চের তুলনায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ১৩৯ টন। মার্চে আমদানির পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৬ হাজার ৫৫৬ টন। গত বছরের তুলনায় আমদানির পরিমাণ বেড়েছে ১৬৫ দশমিক ২ শতাংশ। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছর এ ধাতু খাতটি চীনে রেকর্ড গড়ে। এ সময় লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জের তুলনায় সাংহাই ফিউচারস এক্সচেঞ্জে ব্যবহারিক ধাতুটির দাম বেড়ে যায়। অ্যালুমিনিয়াম ও গ্যালিয়ামের প্রধান উৎস বক্সাইট। বছরভিত্তিক হিসাবে বক্সাইট আমদানির পরিমাণ কমে গেছে। গত বছরের তুলনায় পাললিক শিলাটির আমদানি ১২ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ৮৭ লাখ ৪০ হাজার টনে নেমে আসে বলে জানায় দেশটির শুল্ক বিভাগ।

শনিবার, ২২ মে ২০২১ , ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৯ শাওয়াল ১৪৪২

চীনে অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনে রেকর্ড

সংবাদ ডেস্ক

image

চীনের অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনে রেকর্ড হয়েছে। ইনার মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে উৎপাদন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বেড়েছে সরবরাহের পরিমাণ। মূলত এ কারণেই দেশটির মাসিক অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনে চাঙ্গা ভাব দেখা গেছে। সরকারি এক নথিতে উৎপাদন বৃদ্ধির এ চিত্র দেখা গেছে। রয়টার্স।

চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধাতু উৎপাদনকারী দেশ। এপ্রিলে দেশটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টন প্রাইমারি অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদন করেছে বলে জানিয়েছে চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো। এটি মার্চের তুলনায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। মার্চে অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩২ লাখ ৭৬ হাজার টন। এছাড়া গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় চলতি বছরের এপ্রিলে উৎপাদন বেড়েছে ১২ দশমিক ৪ শতাংশ।

চীনের সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এ বছরের প্রথম চার মাসে দেশটি ১ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার টন অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদন করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এপ্রিলে চীন দৈনিক ১ লাখ ১১ হাজার ৬৬৭ টন অ্যালুমিনিয়াম উত্তোলন করেছে, যা মার্চের তুলনায় রেকর্ড সর্বোচ্চ। মার্চে দৈনিক অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৭০০ টন।

সিআরইউ গ্রুপের গবেষণা বিভাগের অ্যালুমিনিয়াম বিশ্লেষক ওয়ান লিং বলেন, দৈনিক ও মাসভিত্তিক উৎপাদন বৃদ্ধির মূল কারণ হলো ব্যবহারিক ধাতুটির মূল্যবৃদ্ধি। সাংহাই ফিউচারস এক্সচেঞ্জে ব্যবহারিক ধাতুটির দাম গত কয়েক বছরের শীর্ষে উঠে এসেছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে উৎপাদন বাড়িয়েছে দেশটি।

এদিকে চীনের অ্যালুমিনিয়াম আমদানি এপ্রিলে আগের মাসের তুলনায় ৩৬ দশমিক ১ দশমিক শতাংশ বেড়েছে বলে জানায়, জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমস। অপরিশোধিত অ্যালুমিনিয়াম ও অ্যলুমিনিয়ামজাত পণ্য আমদানির পরিমাণ মার্চের তুলনায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ১৩৯ টন। মার্চে আমদানির পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৬ হাজার ৫৫৬ টন। গত বছরের তুলনায় আমদানির পরিমাণ বেড়েছে ১৬৫ দশমিক ২ শতাংশ। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছর এ ধাতু খাতটি চীনে রেকর্ড গড়ে। এ সময় লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জের তুলনায় সাংহাই ফিউচারস এক্সচেঞ্জে ব্যবহারিক ধাতুটির দাম বেড়ে যায়। অ্যালুমিনিয়াম ও গ্যালিয়ামের প্রধান উৎস বক্সাইট। বছরভিত্তিক হিসাবে বক্সাইট আমদানির পরিমাণ কমে গেছে। গত বছরের তুলনায় পাললিক শিলাটির আমদানি ১২ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ৮৭ লাখ ৪০ হাজার টনে নেমে আসে বলে জানায় দেশটির শুল্ক বিভাগ।