বাংলাদেশকে আরও ৬ লাখ টিকা উপহার দেবে চীন

বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ধাপে আরও ছয় লাখ করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) টিকা উপহার দেয়ার কথা জানিয়েছে চীন সরকার। ঢাকাস্থ চীনের দূতাবাসের তথ্য কর্মকর্তা আসমা আক্তার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

ঢাকায় চীনা দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে ফেনালাপের পর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই দ্বিতীয় দফায় টিকা উপহার পাঠানোর ঘোষণা দেন। তবে এই টিকা কবে নাগাদ বাংলাদেশে পৌঁছাতে পারে সে বিষয়ে কোন ধারণা দেয়নি চীনা দূতাবাস।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘নিবিড় মনোযোগ’ রাখছে চীন। জরুরি মুহূর্তে টিকার সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকতেই উপহার পাঠানোর এ সিদ্ধান্ত। চীনের উপহার দেয়া সিনোফার্মের পাঁচ লাখ টিকা বাংলাদেশের হাতে আসার ৯ দিন পর নতুন করে এই ছয় লাখ টিকা দেয়ার ঘোষণা আসল। এর আগে ১২ মে চীন থেকে উপহার হিসেবে পাঠানো সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে আসে। দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত এ টিকা দেশে আনার বিষয়ে গত নভেম্বর বাংলাদেশ সরকার, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। অগ্রীম টাকাও পরিশোধ করে বাংলাদেশ।

চুক্তি অনুসারে ৩ কোটি ডোজের প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ করে বাংলাদেশের পাওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ টিকা এসেছে। নরেন্দ্র মোদি সরকার টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে সরবরাহ বন্ধ করে দেয় সেরাম। শেষ পর্যন্ত টিকা সংকটে বন্ধ হয়ে যায় দেশের টিকাদান কর্মসূচি। বিকল্প উৎস না রাখায় সমালোচনার মুখে সরকার টিকার জন্য দ্বারস্থ হয় যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার প্রতি। চীনের সিনোফার্ম আর রাশিয়ার স্পুৎনিক-ভি টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন।

শনিবার, ২২ মে ২০২১ , ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৯ শাওয়াল ১৪৪২

বাংলাদেশকে আরও ৬ লাখ টিকা উপহার দেবে চীন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ধাপে আরও ছয় লাখ করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) টিকা উপহার দেয়ার কথা জানিয়েছে চীন সরকার। ঢাকাস্থ চীনের দূতাবাসের তথ্য কর্মকর্তা আসমা আক্তার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

ঢাকায় চীনা দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে ফেনালাপের পর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই দ্বিতীয় দফায় টিকা উপহার পাঠানোর ঘোষণা দেন। তবে এই টিকা কবে নাগাদ বাংলাদেশে পৌঁছাতে পারে সে বিষয়ে কোন ধারণা দেয়নি চীনা দূতাবাস।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘নিবিড় মনোযোগ’ রাখছে চীন। জরুরি মুহূর্তে টিকার সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকতেই উপহার পাঠানোর এ সিদ্ধান্ত। চীনের উপহার দেয়া সিনোফার্মের পাঁচ লাখ টিকা বাংলাদেশের হাতে আসার ৯ দিন পর নতুন করে এই ছয় লাখ টিকা দেয়ার ঘোষণা আসল। এর আগে ১২ মে চীন থেকে উপহার হিসেবে পাঠানো সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে আসে। দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত এ টিকা দেশে আনার বিষয়ে গত নভেম্বর বাংলাদেশ সরকার, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। অগ্রীম টাকাও পরিশোধ করে বাংলাদেশ।

চুক্তি অনুসারে ৩ কোটি ডোজের প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ করে বাংলাদেশের পাওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ টিকা এসেছে। নরেন্দ্র মোদি সরকার টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে সরবরাহ বন্ধ করে দেয় সেরাম। শেষ পর্যন্ত টিকা সংকটে বন্ধ হয়ে যায় দেশের টিকাদান কর্মসূচি। বিকল্প উৎস না রাখায় সমালোচনার মুখে সরকার টিকার জন্য দ্বারস্থ হয় যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার প্রতি। চীনের সিনোফার্ম আর রাশিয়ার স্পুৎনিক-ভি টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন।