জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রকল্প নয়, দরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। এছাড়া জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এলাকাভিত্তিক গবেষণাগার তৈরি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, জীববৈচিত্র্যের সার্বিক সংরক্ষণ অর্থাৎ দেশজ উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রত্যেকটার সংরক্ষণ করতে হবে।
গতকাল ‘জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় আমরা সহযাত্রী’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এবং বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘বারসিক’ যৌথভাবে আয়োজিত অনলাইন আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে এবং বারসিক পরিচালক পাভেল পার্থের সঞ্চালনায় এই আলোচনা অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা, শ্যামনগর, রাজশাহী, মানিকগঞ্জ এবং নেত্রকোনার কৃষক, মৎস্যজীবী, কবিরাজ, যুব উন্নয়ন কর্মীরা তাদের এলাকার প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।
সভায় ঢাবির উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জসীম উদ্দিন বলেন, মানুষ প্রকৃতিরই অংশ এবং মানুষের নানাবিধ রোগের সমাধান প্রকৃতির মধ্যেই রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করতে হবে। গ্রাম ও নগরকে পাখিবান্ধব করতে দেশীয় প্রজাতির গাছ রোপণ করতে হবে।
পবার সাধারণ সম্পাদক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবদুস সোবহান বলেন, অতিরিক্ত ফসল উৎপাদনের জন্য আমরা মাটিতে বারংবার এত বেশি সার বা কীটনাশক দিচ্ছি যে, মাটি এখন পিপাসার্ত এবং নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। এখন মাটিতে সার কীটনাশক না দিলে মাটি আর সাড়া দেয় না।
পবা চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, আয়তনে ছোট হলেও বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য বৈভবে দুনিয়ায় অনন্য। দেশের নাগরিকদের পরিবেশ প্রকৃতি সুরক্ষার কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে। ‘কাগজে আছে, বাস্তবে নেই’ এই বিভ্রান্তি দূর করতে গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের মাঠে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
পবার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন বলেন, মানুষ তার চাহিদা, কৌতুহল মেটাতে পাহাড়, মাটি খুঁড়ে, বরফ গলিয়ে জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য নষ্ট করছে। এসব কারণে বিচিত্র সব ভাইরাস, ব্যক্টেরিয়া তাদের আবাস হারাচ্ছে, ফলে তারা টিকে থাকার জন্য আশ্রয় খুঁজছে গবাদি পশু, মানুষ কিংবা লোকালয়ে। ফলে পরিবেশে বিপর্যয় নামছে। যার ফলে মহামারী দেখা দিচ্ছে। যার ফলে কোভিড-১৯-এর মতো ‘জুনটিক’ রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। ক্ষতিকর প্রাণিকে বিনাশ নয়, তাকে দমন করতে হবে।
শনিবার, ২২ মে ২০২১ , ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৯ শাওয়াল ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রকল্প নয়, দরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। এছাড়া জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এলাকাভিত্তিক গবেষণাগার তৈরি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, জীববৈচিত্র্যের সার্বিক সংরক্ষণ অর্থাৎ দেশজ উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রত্যেকটার সংরক্ষণ করতে হবে।
গতকাল ‘জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় আমরা সহযাত্রী’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এবং বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘বারসিক’ যৌথভাবে আয়োজিত অনলাইন আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে এবং বারসিক পরিচালক পাভেল পার্থের সঞ্চালনায় এই আলোচনা অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা, শ্যামনগর, রাজশাহী, মানিকগঞ্জ এবং নেত্রকোনার কৃষক, মৎস্যজীবী, কবিরাজ, যুব উন্নয়ন কর্মীরা তাদের এলাকার প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।
সভায় ঢাবির উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জসীম উদ্দিন বলেন, মানুষ প্রকৃতিরই অংশ এবং মানুষের নানাবিধ রোগের সমাধান প্রকৃতির মধ্যেই রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করতে হবে। গ্রাম ও নগরকে পাখিবান্ধব করতে দেশীয় প্রজাতির গাছ রোপণ করতে হবে।
পবার সাধারণ সম্পাদক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবদুস সোবহান বলেন, অতিরিক্ত ফসল উৎপাদনের জন্য আমরা মাটিতে বারংবার এত বেশি সার বা কীটনাশক দিচ্ছি যে, মাটি এখন পিপাসার্ত এবং নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। এখন মাটিতে সার কীটনাশক না দিলে মাটি আর সাড়া দেয় না।
পবা চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, আয়তনে ছোট হলেও বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য বৈভবে দুনিয়ায় অনন্য। দেশের নাগরিকদের পরিবেশ প্রকৃতি সুরক্ষার কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে। ‘কাগজে আছে, বাস্তবে নেই’ এই বিভ্রান্তি দূর করতে গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের মাঠে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
পবার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন বলেন, মানুষ তার চাহিদা, কৌতুহল মেটাতে পাহাড়, মাটি খুঁড়ে, বরফ গলিয়ে জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য নষ্ট করছে। এসব কারণে বিচিত্র সব ভাইরাস, ব্যক্টেরিয়া তাদের আবাস হারাচ্ছে, ফলে তারা টিকে থাকার জন্য আশ্রয় খুঁজছে গবাদি পশু, মানুষ কিংবা লোকালয়ে। ফলে পরিবেশে বিপর্যয় নামছে। যার ফলে মহামারী দেখা দিচ্ছে। যার ফলে কোভিড-১৯-এর মতো ‘জুনটিক’ রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। ক্ষতিকর প্রাণিকে বিনাশ নয়, তাকে দমন করতে হবে।