খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা ও ১৬৯টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অন্যতম হলো নিরাপদ খাদ্য। আর এই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে নিরাপদ সবজি উৎপাদনে রাজশাহীর পারিলা ইউনিয়ন এখন ‘মডেল’ হিসেবে উপস্থাপিত হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির অজুহাতে সরকারের এ কার্যক্রমে অন্যরা যখন নিষ্ক্রিয় তখন এই ইউনিয়নের কৃষক ও উপজেলা কৃষি অফিসের আন্তরিকতায় প্রায় ১০০ একর বা ৩০০ বিঘা জমিতে উৎপাদন হচ্ছে নিরাপদ সবজি। আর এই সবজি রাজধানীসহ পৌঁছে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও যাচ্ছে এ সবজি। লাভবান হচ্ছেন কৃষকরাও। কার্যকর তদারকি, সরকারি সহায়তা, কৃষি অফিসগুলোর আন্তরিকতা ও সক্রিয়তা বৃদ্ধি পেলে এ কার্যক্রম রাজশাহী অঞ্চলজুড়ে সম্প্রসারণ করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজশাহী শহরের পাশ ঘেঁষে অবস্থিত পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়ন। সরকারি সহায়তায় নিরাপদ সবজি উৎপাদন করে স্বচ্ছলতা ফিরেছে এ ইউনিয়নের ৫০০ কৃষকের। তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যরাও জৈব পদ্ধতি ব্যবহার করে নিরাপদ সবজি উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন। আর এক্ষেত্রে সরকারি সহায়তার মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারণের দাবিও জানাচ্ছেন কৃষকরা।
পারিলা ইউনিয়নের ১০০ একর জমিকে তিনটি ব্লকে ভাগ করে ৫০০ কৃষকের সমন্বয়ে টিম গঠন করে আবাদ করা হচ্ছে এ সবজি। প্রতিটি টিমে ২৫ জন করে সদস্য রয়েছেন। তারা ক্লাস্টার আকারে এই নিরাপদ সবজি উৎপাদন করছেন। এই ইউনিয়নের মধ্যে জমি রয়েছে এমন কৃষকরাই এ টিমের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।
একটা প্রদর্শনীর আকার হলো ৫ একর বা ১৫ বিঘা জমি। যেখানে সমন্বয়ের মাধ্যমে কৃষকরা আবাদ করছেন। গত রবি মৌসুমে এই কৃষকরা সিম, লাউ, বেগুন, বাঁধাকপি ও ফুলকপির আবাদ করেছেন। খরিপ মৌসুমে মিষ্টি কুমড়া, লাউ, বরবটি, শসা, করলাসহ শাকের আবাদ হচ্ছে। এ সকল কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও জৈব সার সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
নিরাপদ এই খাদ্য উৎপাদনে শুধু মাত্র জৈব সার বা জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে এমনটা নয়। একটি স্বাভাবিক মাত্রায় কিছু কীটনাশকও ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি জমিতে যদি ২০ কেজি জৈব সার ও ৫ কেজি রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হলে সরকারিভাবে কৃষককে জৈব সারের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। রাসায়নিকের পরিবর্তে জৈব পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষকদের অনুপ্রাণিত করা হচ্ছে। রাসায়নিক কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব কীটনাশক যেমন: ইকোমেট, বায়োটিন, বায়োট্রার্মা ব্যবহার করছেন কৃষকরা। এতে রাসায়নিক সার কিংবা কীটনাশক তিন বার প্রয়োগ করতে হলেও দুই বার জৈব সার ও জৈব কীটনাশক ব্যবহার করলেই হচ্ছে। এতে খরচ কমার পাশাপাশি ফলনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেইসঙ্গে কমেছে রোগবালাইয়ের আক্রমণ। ঠিক থাকছে গুণগত মান। দেখতেও সুন্দর হচ্ছে।
পোকামাকড় দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে পরিবেশবান্ধব থ্যালোম্যান ট্যাব পদ্ধতি। এটা পরিবেশবান্ধব এমন একটা প্রযুক্তি যেখানে ব্রয়ম দিয়ে একবার লাগালে একমাসে কোন পোকার আক্রমণ হবে না। যেখানে বেগুন আবাদে সপ্তাহে দুইবার কীটনাশক স্প্রে করা লাগে সেখানে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করলে এক মাস কোন স্প্রে করা লাগছে না।
এই ইউনিয়নের কৃষক ইসমাইল হোসেন এ প্রকল্পের আওতায় নিরাপদ সবজি উৎপাদন করছেন। তিনি জানান, এই প্রকল্পের আওতায় ১০ কাঠা জমিতে জৈব পদ্ধতি ব্যবহার করে সিম উৎপাদন করেছেন। অন্যান্য সময় কীটনাশক ব্যবহার করে যে ফলন হতো তারচেয়ে ফলন বেশি হয়েছে। দেখতেও সুন্দর হয়েছে। রোগবালাইয়ের আক্রমণও কম ছিল। দামও ভাল পেয়েছেন। এবার এই জমিতে ঝিংগার আবাদ করেছেন।
তিনি আরও জানান, তিনি নিরাপদ ফসল উৎপাদনে সরকারের ৪০ কেজি জৈব সার ও ৫ প্যাকেট বীজ সহায়তা পেয়েছেন। এতে একদিকে জৈব সার ব্যবহারে খরচ কমেছে অন্যদিকে সরকারের সহায়তা পাওয়ায় ভাল লাভবানও হয়েছেন।
পবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা জানান, জৈব পদ্ধতি ব্যবহার করে এই উপজেলায় সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে। করোনার সময়েও কৃষি অফিস নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে কাজ করে যাচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় ৫০০ কৃষক নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করছেন। তাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন। আর এভাবেই কৃষকদের নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, সঠিক পরিচর্যা ও নির্দেশনা মেনে যারা সবজি উৎপাদন করছে তাদের ফলনও বেশি হচ্ছে। বাজরে এই সবজির চাহিদাও ভালো। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের সার, বীজ সহায়তা দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কৃষি কর্মকর্তাদের তৎপরতাও অব্যাহত রয়েছে। সামনের দিনে এ কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হবে।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কেজেএম আব্দুল আওয়াল জানান, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে রাজশাহী এগিয়ে যাচ্ছে। জেলার অন্যান্য উপজেলাগুলোতে প্রদর্শনী আকারে কিছু জমিতে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করা হলেও পবার এই ইউনিয়নে একটি সংঘবন্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, রাজশাহী অঞ্চলে পরিক্ষামূলকভাবে কিছু জমিতে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের যে কার্যক্রম তা পরিচালিত হচ্ছে। তবে পবার পারিলা ইউনিয়নে ৫০০ কৃষকের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সরকারি সহায়তায় নিরাপদ সবজি উৎপাদন হচ্ছে। যা আশাব্যাঞ্জক। সামনের দিনে সরকারের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রার অন্যতম লক্ষ্য নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের এ কার্যক্রমকে আরো সম্প্রসারিত করা হবে।
রবিবার, ২৩ মে ২০২১ , ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১০ শাওয়াল ১৪৪২
জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী
খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা ও ১৬৯টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অন্যতম হলো নিরাপদ খাদ্য। আর এই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে নিরাপদ সবজি উৎপাদনে রাজশাহীর পারিলা ইউনিয়ন এখন ‘মডেল’ হিসেবে উপস্থাপিত হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির অজুহাতে সরকারের এ কার্যক্রমে অন্যরা যখন নিষ্ক্রিয় তখন এই ইউনিয়নের কৃষক ও উপজেলা কৃষি অফিসের আন্তরিকতায় প্রায় ১০০ একর বা ৩০০ বিঘা জমিতে উৎপাদন হচ্ছে নিরাপদ সবজি। আর এই সবজি রাজধানীসহ পৌঁছে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও যাচ্ছে এ সবজি। লাভবান হচ্ছেন কৃষকরাও। কার্যকর তদারকি, সরকারি সহায়তা, কৃষি অফিসগুলোর আন্তরিকতা ও সক্রিয়তা বৃদ্ধি পেলে এ কার্যক্রম রাজশাহী অঞ্চলজুড়ে সম্প্রসারণ করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজশাহী শহরের পাশ ঘেঁষে অবস্থিত পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়ন। সরকারি সহায়তায় নিরাপদ সবজি উৎপাদন করে স্বচ্ছলতা ফিরেছে এ ইউনিয়নের ৫০০ কৃষকের। তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যরাও জৈব পদ্ধতি ব্যবহার করে নিরাপদ সবজি উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন। আর এক্ষেত্রে সরকারি সহায়তার মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারণের দাবিও জানাচ্ছেন কৃষকরা।
পারিলা ইউনিয়নের ১০০ একর জমিকে তিনটি ব্লকে ভাগ করে ৫০০ কৃষকের সমন্বয়ে টিম গঠন করে আবাদ করা হচ্ছে এ সবজি। প্রতিটি টিমে ২৫ জন করে সদস্য রয়েছেন। তারা ক্লাস্টার আকারে এই নিরাপদ সবজি উৎপাদন করছেন। এই ইউনিয়নের মধ্যে জমি রয়েছে এমন কৃষকরাই এ টিমের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।
একটা প্রদর্শনীর আকার হলো ৫ একর বা ১৫ বিঘা জমি। যেখানে সমন্বয়ের মাধ্যমে কৃষকরা আবাদ করছেন। গত রবি মৌসুমে এই কৃষকরা সিম, লাউ, বেগুন, বাঁধাকপি ও ফুলকপির আবাদ করেছেন। খরিপ মৌসুমে মিষ্টি কুমড়া, লাউ, বরবটি, শসা, করলাসহ শাকের আবাদ হচ্ছে। এ সকল কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও জৈব সার সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
নিরাপদ এই খাদ্য উৎপাদনে শুধু মাত্র জৈব সার বা জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে এমনটা নয়। একটি স্বাভাবিক মাত্রায় কিছু কীটনাশকও ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি জমিতে যদি ২০ কেজি জৈব সার ও ৫ কেজি রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হলে সরকারিভাবে কৃষককে জৈব সারের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। রাসায়নিকের পরিবর্তে জৈব পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষকদের অনুপ্রাণিত করা হচ্ছে। রাসায়নিক কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব কীটনাশক যেমন: ইকোমেট, বায়োটিন, বায়োট্রার্মা ব্যবহার করছেন কৃষকরা। এতে রাসায়নিক সার কিংবা কীটনাশক তিন বার প্রয়োগ করতে হলেও দুই বার জৈব সার ও জৈব কীটনাশক ব্যবহার করলেই হচ্ছে। এতে খরচ কমার পাশাপাশি ফলনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেইসঙ্গে কমেছে রোগবালাইয়ের আক্রমণ। ঠিক থাকছে গুণগত মান। দেখতেও সুন্দর হচ্ছে।
পোকামাকড় দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে পরিবেশবান্ধব থ্যালোম্যান ট্যাব পদ্ধতি। এটা পরিবেশবান্ধব এমন একটা প্রযুক্তি যেখানে ব্রয়ম দিয়ে একবার লাগালে একমাসে কোন পোকার আক্রমণ হবে না। যেখানে বেগুন আবাদে সপ্তাহে দুইবার কীটনাশক স্প্রে করা লাগে সেখানে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করলে এক মাস কোন স্প্রে করা লাগছে না।
এই ইউনিয়নের কৃষক ইসমাইল হোসেন এ প্রকল্পের আওতায় নিরাপদ সবজি উৎপাদন করছেন। তিনি জানান, এই প্রকল্পের আওতায় ১০ কাঠা জমিতে জৈব পদ্ধতি ব্যবহার করে সিম উৎপাদন করেছেন। অন্যান্য সময় কীটনাশক ব্যবহার করে যে ফলন হতো তারচেয়ে ফলন বেশি হয়েছে। দেখতেও সুন্দর হয়েছে। রোগবালাইয়ের আক্রমণও কম ছিল। দামও ভাল পেয়েছেন। এবার এই জমিতে ঝিংগার আবাদ করেছেন।
তিনি আরও জানান, তিনি নিরাপদ ফসল উৎপাদনে সরকারের ৪০ কেজি জৈব সার ও ৫ প্যাকেট বীজ সহায়তা পেয়েছেন। এতে একদিকে জৈব সার ব্যবহারে খরচ কমেছে অন্যদিকে সরকারের সহায়তা পাওয়ায় ভাল লাভবানও হয়েছেন।
পবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা জানান, জৈব পদ্ধতি ব্যবহার করে এই উপজেলায় সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে। করোনার সময়েও কৃষি অফিস নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে কাজ করে যাচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় ৫০০ কৃষক নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করছেন। তাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন। আর এভাবেই কৃষকদের নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, সঠিক পরিচর্যা ও নির্দেশনা মেনে যারা সবজি উৎপাদন করছে তাদের ফলনও বেশি হচ্ছে। বাজরে এই সবজির চাহিদাও ভালো। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের সার, বীজ সহায়তা দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কৃষি কর্মকর্তাদের তৎপরতাও অব্যাহত রয়েছে। সামনের দিনে এ কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হবে।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কেজেএম আব্দুল আওয়াল জানান, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে রাজশাহী এগিয়ে যাচ্ছে। জেলার অন্যান্য উপজেলাগুলোতে প্রদর্শনী আকারে কিছু জমিতে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করা হলেও পবার এই ইউনিয়নে একটি সংঘবন্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, রাজশাহী অঞ্চলে পরিক্ষামূলকভাবে কিছু জমিতে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের যে কার্যক্রম তা পরিচালিত হচ্ছে। তবে পবার পারিলা ইউনিয়নে ৫০০ কৃষকের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সরকারি সহায়তায় নিরাপদ সবজি উৎপাদন হচ্ছে। যা আশাব্যাঞ্জক। সামনের দিনে সরকারের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রার অন্যতম লক্ষ্য নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের এ কার্যক্রমকে আরো সম্প্রসারিত করা হবে।