রংপুরে বোরোর বাম্পার ফলন ক্রয় শুরু না হওয়ায় হতাশ

শষ্যভান্ডার খ্যাত রংপুরে চলতি মৌসুমে বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। করোনা সংক্রমণের মধ্যেও কৃষকরা জমিতে যথা সময়ে চারা রোপণ, সেচ প্রদান করে এবং প্রয়োজনীয় কীটনাশক স্প্রে করে জমি চাষ করেছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এবার ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের আশা করছে। ফলে জেলার খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত দেড় লাখ টন চাল দেশের অন্য জেলার চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। তবে খাদ্য বিভাগ বোরো ধান কেনার ঘোষণা দিলেও এখনও সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

কৃষি বিভাগ সূত্র জানায় পর পর দু’দফা ধান চাষে ভালো ফলন না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা চলতি বোরো মৌসুমে রংপুরে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে ধান চাষ করেছে। রংপুর জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ৩০ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে। সেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ১ লাখ ৩০ হাজার ৯শ ২৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করেছে কৃষকরা। আলু তুলে বোরো ধানের বীজ তলা রোপণ করে কৃষকরা। ফলে একটু দেরিতে ধান কাটা মাড়াই শেষ হয়। ইতোমধ্যে ৬০ ভাগ ধান কাটা মাড়াই শেষ হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সকল ধান কাটা মাড়াই শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কৃষি বিভাগ।

সরেজমিন মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দ ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা এখন ধান কাটা মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে কৃষকদের অভিযোগ তারা ধানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। কৃষক আব্দুস সামাদ, মনজার আলী, আহাম্মদ আলীসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানালেন এখন কাঁচা ধান ৬শ থেকে ৭শ টাকা মণ ধরে বিক্রি হচ্ছে। শুকনো ধান ৮শ মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। ধানের দাম আরো না বাড়লে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল কাদের জানান, চলতি বোরো মৌসুমে রংপুর জেলায় ১৭ হাজার ৪শ ৩ মেট্রিক টন ধান এবং ২৮ হাজার ১শ ৭১ মেট্রিক টন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

প্রতি কেজি ধান ২৭ টাকা আর চাল ৪০ টাকা দরে কেনার কথা বলেছেন। ধান চালের ক্রয় মূল্য বৃদ্ধি করে দেয়ায় এবার তাদের কেনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ।

সোমবার, ২৪ মে ২০২১ , ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১১ শাওয়াল ১৪৪২

রংপুরে বোরোর বাম্পার ফলন ক্রয় শুরু না হওয়ায় হতাশ

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর

image

শষ্যভান্ডার খ্যাত রংপুরে চলতি মৌসুমে বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। করোনা সংক্রমণের মধ্যেও কৃষকরা জমিতে যথা সময়ে চারা রোপণ, সেচ প্রদান করে এবং প্রয়োজনীয় কীটনাশক স্প্রে করে জমি চাষ করেছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এবার ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের আশা করছে। ফলে জেলার খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত দেড় লাখ টন চাল দেশের অন্য জেলার চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। তবে খাদ্য বিভাগ বোরো ধান কেনার ঘোষণা দিলেও এখনও সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

কৃষি বিভাগ সূত্র জানায় পর পর দু’দফা ধান চাষে ভালো ফলন না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা চলতি বোরো মৌসুমে রংপুরে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে ধান চাষ করেছে। রংপুর জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ৩০ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে। সেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ১ লাখ ৩০ হাজার ৯শ ২৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করেছে কৃষকরা। আলু তুলে বোরো ধানের বীজ তলা রোপণ করে কৃষকরা। ফলে একটু দেরিতে ধান কাটা মাড়াই শেষ হয়। ইতোমধ্যে ৬০ ভাগ ধান কাটা মাড়াই শেষ হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সকল ধান কাটা মাড়াই শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কৃষি বিভাগ।

সরেজমিন মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দ ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা এখন ধান কাটা মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে কৃষকদের অভিযোগ তারা ধানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। কৃষক আব্দুস সামাদ, মনজার আলী, আহাম্মদ আলীসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানালেন এখন কাঁচা ধান ৬শ থেকে ৭শ টাকা মণ ধরে বিক্রি হচ্ছে। শুকনো ধান ৮শ মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। ধানের দাম আরো না বাড়লে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল কাদের জানান, চলতি বোরো মৌসুমে রংপুর জেলায় ১৭ হাজার ৪শ ৩ মেট্রিক টন ধান এবং ২৮ হাজার ১শ ৭১ মেট্রিক টন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

প্রতি কেজি ধান ২৭ টাকা আর চাল ৪০ টাকা দরে কেনার কথা বলেছেন। ধান চালের ক্রয় মূল্য বৃদ্ধি করে দেয়ায় এবার তাদের কেনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ।