পঞ্চম অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা এবার বৃত্তি পাচ্ছে না

উচ্চ মাধ্যমিকেও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব

পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ায়-এই দুই শ্রেণীর উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এবার বৃত্তি দেয়া হচ্ছে না। এইচএসসি ও সমপর্যায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি নিয়েও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ বিগত সময়ে এই পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে বৃত্তির তালিকা প্রণয়ন করা হতো; কিন্তু পরীক্ষা না নিয়ে এবার অষ্টম শ্রেণী ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমপর্যায়ের ফল প্রকাশ করা হয়। এই যুক্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক শ্রেণীর কর্মকর্তা এবার এইচএসসিতে বৃত্তি না দেয়ার পক্ষে; তবে মাউশি ও প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, যেহেতু ফল প্রকাশ করা হয়েছে সেহেতু বৃত্তি দিতেই হবে। উচ্চ মাধ্যমিকে এবার বৃত্তি পেতে পারে সাড়ে ১০ হাজার শিক্ষার্থী।

সর্বশেষ অষ্টম শ্রেণীর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ২০১৯ সালের ফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালে ৪২ হাজার ২০০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হয়। ওই বছর পঞ্চম শ্রেণীর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে ৮২ হাজার ৫০০ জন এবং মাদ্রাসার ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে ২২ হাজার ৫০০ জনকে বৃত্তি দেয়া হয়।

২০২০ সালের ফলের ভিত্তিতে এবারও এই দুই স্তরে সমসংখ্যক শিক্ষার্থীর বৃত্তি পাওয়ার কথা ছিল কিন্তু সরকার করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে গত বছর প্রায় স্তরেই সমাপনী পরীক্ষা বাতিল করায় ওই দুই স্তরের শিক্ষার্থীদের বৃত্তির সুযোগ থাকছে না বলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আর পঞ্চম শ্রেণী উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়া হয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) অধীনে।

মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর শাহেদুল কবির চৌধুরী গতকাল সংবাদকে জানান, প্রধানত বৃত্তি দেয়া হয় সমাপনী পরীক্ষার ফলের ওপর কিন্তু গত বছর পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষা হয়নি। এজন্য এবার বৃত্তি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। বৃত্তির জন্য যে অর্থ বরাদ্দ ছিল তা ফেরত যাচ্ছে।

গতবছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিতে পারেনি শিক্ষা প্রশাসন। বেশ কয়েকবার পরীক্ষার সূচি পিছিয়ে তা না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর পরীক্ষার্থীদের জেএসসি জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ফরম পূরণকারী ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর সবাইকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করানো হয়। আর অতীতের ফলাফলের ভিত্তিতে এবার জিপিএ-৫ (গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ) পেয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন।

উচ্চ মাধ্যমিকের বৃত্তির বিষয়ে প্রফেসর শাহেদুল কবির চৌধুরী বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি কিন্তু কিছুটা দেরিতে হলেও শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করেছে সরকার। এই ফল অর্থাৎ গ্রেডিংয়ের ভিত্তিতেই উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে বৃত্তি দেয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের বৃত্তি দেয়া হয় মাউশির অধীনে বাস্তবায়নাধীন ‘সেসিপ’র (সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট) অধীনে।

সেসিপ’র উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম চৌধুরী গতকাল সংবাদকে জানান, বৃত্তি দেয়ার বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় (শিক্ষা) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে। তবে যদি বৃত্তি দেয়া হয় সেক্ষেত্রে এইচএসসি উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে ১০ হাজার ৫০০ জন তা পাবে। এই তালিকা ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ ক্যাটাগরিতে ৯ হাজার ৩৭৫ জন এবং মেধা ক্যাটাগরিতে এক হাজার ১২৫ জনকে বৃত্তি দেয়া হবে।

নুরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সাধারণ কোটায় বৃত্তিপ্রাপ্তরা প্রতিমাসে ৩৭৫ টাকা এবং বই, খান ও কলম কেনার জন্য এককালীন ৭৫০ টাকা পাবে। আর মেধা কোটায় শিক্ষার্থীরা প্রতিমাসে ৮২৫ টাকা এবং এককালীন এক হাজার ৮০০ টাকা পাবে। এর মধ্যে যারা পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ে অনার্স পড়বে তারা চার বছর, মেডিকেলে পড়লে পাঁচবছর এবং ডিগ্রি পাস কোর্সে পড়লে তাদের তিন বছর বৃত্তির সুবিধা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপ-পরিচালক।

৫ম ও অষ্টম শ্রেণীতে বৃত্তির টাকার পরিমাণ

২০১৯ সালের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে জেএসসি-জেডিসিতে গতবছর ৪২ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হয়। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৭০০ জনকে মেধাবৃত্তি এবং ৩১ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হয়।

মেধাবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে মাসে ৪৫০ টাকা এবং বার্ষিক হারে প্রত্যেককে ৫৬০ টাকা করে দেয়া হয়। আর সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে প্রতিমাসে ৩০০ টাকা এবং বার্ষিক ৩৫০ টাকা দেয়া হয়। জেএসসি-জেডিসিতে দুই বছর বৃত্তির সুবিধা দেয়া হয়। শিক্ষা বোর্ডগুলোর মাধ্যমে জেএসসি ও জেডিসি বৃত্তির টাকা বিতরণ করা হয়।

২০১৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয় সরকার। এর মধ্যে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি এবং সাড়ে ৪৯ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হয়।

পঞ্চমে ট্যালেন্টপুলে (মেধা) বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ২২৫ টাকা করে দেয়া হয়। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত তিন বছর বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা দেয়া হবে।

সাধারণত ট্যালেনপুল বৃত্তি বা মেধা বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বিনা বেতনে পড়ালেখাসহ মাসে ৩০০ টাকা করে বছরে মোট ৩ হাজার ৬০০ টাকা বৃত্তি পায় এবং সাধারণ বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বিনা বেতনে পড়ালেখাসহ মাসে ২২৫ টাকা করে বছরে মোট ২ হাজার ৭০০ টাকা বৃত্তি পায়।

সোমবার, ২৪ মে ২০২১ , ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১১ শাওয়াল ১৪৪২

পঞ্চম অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা এবার বৃত্তি পাচ্ছে না

উচ্চ মাধ্যমিকেও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব

রাকিব উদ্দিন

image

পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ায়-এই দুই শ্রেণীর উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এবার বৃত্তি দেয়া হচ্ছে না। এইচএসসি ও সমপর্যায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি নিয়েও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ বিগত সময়ে এই পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে বৃত্তির তালিকা প্রণয়ন করা হতো; কিন্তু পরীক্ষা না নিয়ে এবার অষ্টম শ্রেণী ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমপর্যায়ের ফল প্রকাশ করা হয়। এই যুক্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক শ্রেণীর কর্মকর্তা এবার এইচএসসিতে বৃত্তি না দেয়ার পক্ষে; তবে মাউশি ও প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, যেহেতু ফল প্রকাশ করা হয়েছে সেহেতু বৃত্তি দিতেই হবে। উচ্চ মাধ্যমিকে এবার বৃত্তি পেতে পারে সাড়ে ১০ হাজার শিক্ষার্থী।

সর্বশেষ অষ্টম শ্রেণীর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ২০১৯ সালের ফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালে ৪২ হাজার ২০০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হয়। ওই বছর পঞ্চম শ্রেণীর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে ৮২ হাজার ৫০০ জন এবং মাদ্রাসার ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে ২২ হাজার ৫০০ জনকে বৃত্তি দেয়া হয়।

২০২০ সালের ফলের ভিত্তিতে এবারও এই দুই স্তরে সমসংখ্যক শিক্ষার্থীর বৃত্তি পাওয়ার কথা ছিল কিন্তু সরকার করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে গত বছর প্রায় স্তরেই সমাপনী পরীক্ষা বাতিল করায় ওই দুই স্তরের শিক্ষার্থীদের বৃত্তির সুযোগ থাকছে না বলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আর পঞ্চম শ্রেণী উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়া হয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) অধীনে।

মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর শাহেদুল কবির চৌধুরী গতকাল সংবাদকে জানান, প্রধানত বৃত্তি দেয়া হয় সমাপনী পরীক্ষার ফলের ওপর কিন্তু গত বছর পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষা হয়নি। এজন্য এবার বৃত্তি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। বৃত্তির জন্য যে অর্থ বরাদ্দ ছিল তা ফেরত যাচ্ছে।

গতবছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিতে পারেনি শিক্ষা প্রশাসন। বেশ কয়েকবার পরীক্ষার সূচি পিছিয়ে তা না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর পরীক্ষার্থীদের জেএসসি জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ফরম পূরণকারী ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর সবাইকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করানো হয়। আর অতীতের ফলাফলের ভিত্তিতে এবার জিপিএ-৫ (গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ) পেয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন।

উচ্চ মাধ্যমিকের বৃত্তির বিষয়ে প্রফেসর শাহেদুল কবির চৌধুরী বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি কিন্তু কিছুটা দেরিতে হলেও শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করেছে সরকার। এই ফল অর্থাৎ গ্রেডিংয়ের ভিত্তিতেই উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে বৃত্তি দেয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের বৃত্তি দেয়া হয় মাউশির অধীনে বাস্তবায়নাধীন ‘সেসিপ’র (সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট) অধীনে।

সেসিপ’র উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম চৌধুরী গতকাল সংবাদকে জানান, বৃত্তি দেয়ার বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় (শিক্ষা) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে। তবে যদি বৃত্তি দেয়া হয় সেক্ষেত্রে এইচএসসি উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে ১০ হাজার ৫০০ জন তা পাবে। এই তালিকা ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ ক্যাটাগরিতে ৯ হাজার ৩৭৫ জন এবং মেধা ক্যাটাগরিতে এক হাজার ১২৫ জনকে বৃত্তি দেয়া হবে।

নুরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সাধারণ কোটায় বৃত্তিপ্রাপ্তরা প্রতিমাসে ৩৭৫ টাকা এবং বই, খান ও কলম কেনার জন্য এককালীন ৭৫০ টাকা পাবে। আর মেধা কোটায় শিক্ষার্থীরা প্রতিমাসে ৮২৫ টাকা এবং এককালীন এক হাজার ৮০০ টাকা পাবে। এর মধ্যে যারা পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ে অনার্স পড়বে তারা চার বছর, মেডিকেলে পড়লে পাঁচবছর এবং ডিগ্রি পাস কোর্সে পড়লে তাদের তিন বছর বৃত্তির সুবিধা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপ-পরিচালক।

৫ম ও অষ্টম শ্রেণীতে বৃত্তির টাকার পরিমাণ

২০১৯ সালের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে জেএসসি-জেডিসিতে গতবছর ৪২ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হয়। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৭০০ জনকে মেধাবৃত্তি এবং ৩১ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হয়।

মেধাবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে মাসে ৪৫০ টাকা এবং বার্ষিক হারে প্রত্যেককে ৫৬০ টাকা করে দেয়া হয়। আর সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে প্রতিমাসে ৩০০ টাকা এবং বার্ষিক ৩৫০ টাকা দেয়া হয়। জেএসসি-জেডিসিতে দুই বছর বৃত্তির সুবিধা দেয়া হয়। শিক্ষা বোর্ডগুলোর মাধ্যমে জেএসসি ও জেডিসি বৃত্তির টাকা বিতরণ করা হয়।

২০১৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয় সরকার। এর মধ্যে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি এবং সাড়ে ৪৯ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হয়।

পঞ্চমে ট্যালেন্টপুলে (মেধা) বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ২২৫ টাকা করে দেয়া হয়। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত তিন বছর বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা দেয়া হবে।

সাধারণত ট্যালেনপুল বৃত্তি বা মেধা বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বিনা বেতনে পড়ালেখাসহ মাসে ৩০০ টাকা করে বছরে মোট ৩ হাজার ৬০০ টাকা বৃত্তি পায় এবং সাধারণ বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বিনা বেতনে পড়ালেখাসহ মাসে ২২৫ টাকা করে বছরে মোট ২ হাজার ৭০০ টাকা বৃত্তি পায়।