সংক্ষিপ্ত স্কোর : শ্রীলঙ্কা : ৪৮.১ ওভারে ২২৪/১০
বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ২৫৭/৬
তুলনামূলকভাবে নবীন একটা স্কোয়াড নিয়ে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে এসেছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দল। গতকাল সিরিজের প্রথম ম্যাচে মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এই দলটার বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে ২৫৭ রান তোলা বাংলাদেশ দল জয় পেয়েছে ৩৩ রানের। মোটামুটি মানের এই পুঁজিটাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের বোলিং ডিপার্টমেন্ট শুরু থেকে শ্রীলঙ্কান দলের ব্যাটিং লাইন আপের ওপর নিয়মিত বিরতিতে আঘাত করলেও শেষদিকে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও ইসুরু উদানার অষ্টম উইকেটের পার্টনারশিপ লড়াই জমিয়ে তুলেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঠিক সিদ্ধান্তে এই জুটি ২১১ রানে ভেঙে গেলে লঙ্কানদের ইনিংস থামে ২২৪ রানে। তিন ম্যাচ ওডিআই সিরিজে বাংলাদেশ দল এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে। সেই সঙ্গে আইসিসি ওডিআই সুপার লীগে বাংলাদেশ অর্জন করেছে দশ পয়েন্ট। সিরিজের পরবর্তী ম্যাচ মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামীকাল ২৫ মে।
জয়ের জন্য ২৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টাইগার দলপতি তামিম ইকবাল প্রথমেই বল তুলে দিয়েছিলেন স্পিনার মেহেদি মিরাজের হাতে। অধিনায়কের আস্থার যোগ সম্মান মিরাজ দিয়েছেন চারটি উইকেট শিকারের পাশাপাশি দুটো ক্যাচ ধরে।
দুই ওপেনারকে ফেরানোর পাশাপাশি মিডল অর্ডারেও টানা দুটো উইকেটের পতন ঘটিয়ে মিরাজই ভেঙে দেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের মেরুদ-। লঙ্কান ওপেনার দানুষ্কা গুনাতিলকার (২১) ফিরতি ক্যাচ ধরে মিরাজই প্রথম উইকেটের পতন ঘটান। আরেক ওপেনার তথা অধিনায়ক কুশল পেরেরা (৩০) মিরাচের কাছে স্ট্যাম্প খোয়ানোর আগে ওয়ান ডাউন পাথুম নিশাঙ্কাকে (৮) আফিফ হোসেনের ক্যাচে পরিণত করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
সফরকারী দলের সহ-অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসকে (২৪) ফিরিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে এক হাজারতম উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব আল হাসান। তার আগে আবদুর রাজ্জাক গড়েছিলেন এমন কীর্তি। রাজ্জাকের শিকার ১১৪৫ উইকেট। সাকিবের এই মাইলফলক স্পর্শের উইকেটের সঙ্গেও জড়িয়ে গেছে মিরাজের নাম। পয়েন্টে ক্যাচটা যায় তার কাছেই। এরপর ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (৯) ও অ্যাশেন বান্দারাকে (৩) বোল্ড করে মিরাজ ভেঙে দেন লঙ্কান ব্যাটিং লাইন আপের মেরুদ-। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের শিকার হয়ে দাসুন শানাকা (১৪) ফেরার সময়ে শ্রীলঙ্কার স্কোর ১৪৯ রান। সেখান থেকে দলকে ২১১ রান পর্যন্ত নিয়ে যায় ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার সঙ্গে ইসুরু উদানার অষ্টম উইকেটের ৬২ রানের পার্টনারশিপ। হাসারাঙ্গা ৬০ বলে তিন বাউন্ডারি ও পাঁচ ছক্কায় ৭৪ রানে সাইফুদ্দিনের শিকারে পরিণত হওয়ার পর মোস্তাফিজের বলে ইসুরু উদানা (২১) মিরাজের হাতে ক্যাচ দিলে শ্রীলঙ্কার পরাজয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। শেষ উইকেট হিসাবে দুস্মন্ত চামিরা (৫) দলীয় ২২৪ রানে মোস্তাফিজের শিকারে পরিণত হলে শেষ হয় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। তখন লক্ষণ সান্দাকান অপরাজিত ৮ রানে।
সোমবার, ২৪ মে ২০২১ , ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১১ শাওয়াল ১৪৪২
বিশেষ প্রতিনিধি
সংক্ষিপ্ত স্কোর : শ্রীলঙ্কা : ৪৮.১ ওভারে ২২৪/১০
বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ২৫৭/৬
তুলনামূলকভাবে নবীন একটা স্কোয়াড নিয়ে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে এসেছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দল। গতকাল সিরিজের প্রথম ম্যাচে মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এই দলটার বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে ২৫৭ রান তোলা বাংলাদেশ দল জয় পেয়েছে ৩৩ রানের। মোটামুটি মানের এই পুঁজিটাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের বোলিং ডিপার্টমেন্ট শুরু থেকে শ্রীলঙ্কান দলের ব্যাটিং লাইন আপের ওপর নিয়মিত বিরতিতে আঘাত করলেও শেষদিকে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও ইসুরু উদানার অষ্টম উইকেটের পার্টনারশিপ লড়াই জমিয়ে তুলেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঠিক সিদ্ধান্তে এই জুটি ২১১ রানে ভেঙে গেলে লঙ্কানদের ইনিংস থামে ২২৪ রানে। তিন ম্যাচ ওডিআই সিরিজে বাংলাদেশ দল এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে। সেই সঙ্গে আইসিসি ওডিআই সুপার লীগে বাংলাদেশ অর্জন করেছে দশ পয়েন্ট। সিরিজের পরবর্তী ম্যাচ মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামীকাল ২৫ মে।
জয়ের জন্য ২৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টাইগার দলপতি তামিম ইকবাল প্রথমেই বল তুলে দিয়েছিলেন স্পিনার মেহেদি মিরাজের হাতে। অধিনায়কের আস্থার যোগ সম্মান মিরাজ দিয়েছেন চারটি উইকেট শিকারের পাশাপাশি দুটো ক্যাচ ধরে।
দুই ওপেনারকে ফেরানোর পাশাপাশি মিডল অর্ডারেও টানা দুটো উইকেটের পতন ঘটিয়ে মিরাজই ভেঙে দেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের মেরুদ-। লঙ্কান ওপেনার দানুষ্কা গুনাতিলকার (২১) ফিরতি ক্যাচ ধরে মিরাজই প্রথম উইকেটের পতন ঘটান। আরেক ওপেনার তথা অধিনায়ক কুশল পেরেরা (৩০) মিরাচের কাছে স্ট্যাম্প খোয়ানোর আগে ওয়ান ডাউন পাথুম নিশাঙ্কাকে (৮) আফিফ হোসেনের ক্যাচে পরিণত করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
সফরকারী দলের সহ-অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসকে (২৪) ফিরিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে এক হাজারতম উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব আল হাসান। তার আগে আবদুর রাজ্জাক গড়েছিলেন এমন কীর্তি। রাজ্জাকের শিকার ১১৪৫ উইকেট। সাকিবের এই মাইলফলক স্পর্শের উইকেটের সঙ্গেও জড়িয়ে গেছে মিরাজের নাম। পয়েন্টে ক্যাচটা যায় তার কাছেই। এরপর ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (৯) ও অ্যাশেন বান্দারাকে (৩) বোল্ড করে মিরাজ ভেঙে দেন লঙ্কান ব্যাটিং লাইন আপের মেরুদ-। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের শিকার হয়ে দাসুন শানাকা (১৪) ফেরার সময়ে শ্রীলঙ্কার স্কোর ১৪৯ রান। সেখান থেকে দলকে ২১১ রান পর্যন্ত নিয়ে যায় ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার সঙ্গে ইসুরু উদানার অষ্টম উইকেটের ৬২ রানের পার্টনারশিপ। হাসারাঙ্গা ৬০ বলে তিন বাউন্ডারি ও পাঁচ ছক্কায় ৭৪ রানে সাইফুদ্দিনের শিকারে পরিণত হওয়ার পর মোস্তাফিজের বলে ইসুরু উদানা (২১) মিরাজের হাতে ক্যাচ দিলে শ্রীলঙ্কার পরাজয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। শেষ উইকেট হিসাবে দুস্মন্ত চামিরা (৫) দলীয় ২২৪ রানে মোস্তাফিজের শিকারে পরিণত হলে শেষ হয় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। তখন লক্ষণ সান্দাকান অপরাজিত ৮ রানে।