চীনে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় ২১ দৌড়বিদের মৃত্যু

চীনে শিলাবৃষ্টি, তুষারপাত, ঝড়ো বাতাস ও প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় ২১ জন দৌড়বিদের করুণ মৃত্যু হয়েছে। একটি আল্ট্রাম্যারাথন প্রতিযোগিতা চলাকালে তাদের সবার মৃত্যু হয়। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় গানসু প্রদেশে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। আল-জাজিরা

চীনের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী ইয়েলোর বাঁকে আকর্ষণীয় একটি পর্যটন এলাকা থেকে ১০০ কিলোমিটারের ওই দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। পথটির প্রস্তরময় একটি অংশে গভীর গিরিখাতও ছিল। এই প্রতিযোগিতা শুরুর সময় থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল, দৌড়বিদরা টি-শার্ট ও শর্টস পরে এতে অংশ নিয়েছিল।

চীনের সংবাদ সংস্থা জানায়, ম্যারাথনে ১৭২ জন অংশগ্রহণ করেন। খারাপ আবহাওয়ার কারণে ম্যারাথনে অংশ নেয়া অনেকে হাইপোথার্মিয়ায় ভুগছিলেন। তাদের মধ্যে ১৫১ জন নিরাপদে আছেন বলে জানা গেছে।

১২০০ উদ্ধারকর্মীকে নিয়ে ব্যাপক উদ্ধার প্রচেষ্টা শুরু করা হয়। তারা থার্মাল ইমেজিং ড্রোন, রাডার ডিটেক্টর ও চূর্ণ করার যন্ত্রাংশসহ অভিযানে নামে। রাতে তাপমাত্রা ফের কমে যায় এবং এলাকাটির প্রস্তরময় জটিল ভূমিরূপের কারণে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান কঠিন হয়ে পড়ে। রাত গভীর হলে আবহাওয়া আরও খারাপ হয়ে পড়ে। এ কারণে উদ্ধারকাজ আরও কঠিন হয়ে পড়ে।

গাংসু প্রদেশের বাইয়াইন সিটির মুখপাত্র বলেন, ইয়োলো রিভার স্টোন ফরেস্টে অনুষ্ঠিত ম্যারাথনে অংশ নেয়া দৌড়বিদদের মধ্যে যারা ২০ থেকে ৩১ কিলোমিটার অংশে ছিলেন। তারা হঠাৎ খারাপ আবহাওয়ার মুখে পড়েন। মুহূর্তের মধ্যে শিলাবৃষ্টি ও তুষারপাত শুরু হয়। এ সময় ঝড়ো বাতাসও ছিল। তখন ওই এলাকার তাপমাত্রা অনেক কমে যায়।’

তিনি আরও বলেন, তাদের কাছ থেকে সাহায্যের বার্তা পাওয়ার পর দ্রুত সেখানে উদ্ধারকর্মী পাঠানো হয় এবং ১৮ জনের জীবন রক্ষা করা হয়। আবহাওয়া আরও খারাপ হতে থাকে এবং ম্যারাথন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর সেখানে আরও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়। মেয়র আরও বলেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরপরও প্রাদেশিক সরকার এ ঘটনার তদন্ত করবে। এ ঘটনায় আহত আটজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গাংসু হলো চীনের অন্যতম দরিদ্র প্রদেশ। এর উত্তরে মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে এবং পশ্চিমে জিনজিয়াং প্রদেশের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে। এই প্রদেশে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের মতো ঘটনাও ঘটেছে।

২০২০ সালে ভূমিধসে সেখানে এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এ অঞ্চলটি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবেও পরিচিত।

সোমবার, ২৪ মে ২০২১ , ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১১ শাওয়াল ১৪৪২

চীনে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় ২১ দৌড়বিদের মৃত্যু

image

চীনে শিলাবৃষ্টি, তুষারপাত, ঝড়ো বাতাস ও প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় ২১ জন দৌড়বিদের করুণ মৃত্যু হয়েছে। একটি আল্ট্রাম্যারাথন প্রতিযোগিতা চলাকালে তাদের সবার মৃত্যু হয়। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় গানসু প্রদেশে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। আল-জাজিরা

চীনের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী ইয়েলোর বাঁকে আকর্ষণীয় একটি পর্যটন এলাকা থেকে ১০০ কিলোমিটারের ওই দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। পথটির প্রস্তরময় একটি অংশে গভীর গিরিখাতও ছিল। এই প্রতিযোগিতা শুরুর সময় থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল, দৌড়বিদরা টি-শার্ট ও শর্টস পরে এতে অংশ নিয়েছিল।

চীনের সংবাদ সংস্থা জানায়, ম্যারাথনে ১৭২ জন অংশগ্রহণ করেন। খারাপ আবহাওয়ার কারণে ম্যারাথনে অংশ নেয়া অনেকে হাইপোথার্মিয়ায় ভুগছিলেন। তাদের মধ্যে ১৫১ জন নিরাপদে আছেন বলে জানা গেছে।

১২০০ উদ্ধারকর্মীকে নিয়ে ব্যাপক উদ্ধার প্রচেষ্টা শুরু করা হয়। তারা থার্মাল ইমেজিং ড্রোন, রাডার ডিটেক্টর ও চূর্ণ করার যন্ত্রাংশসহ অভিযানে নামে। রাতে তাপমাত্রা ফের কমে যায় এবং এলাকাটির প্রস্তরময় জটিল ভূমিরূপের কারণে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান কঠিন হয়ে পড়ে। রাত গভীর হলে আবহাওয়া আরও খারাপ হয়ে পড়ে। এ কারণে উদ্ধারকাজ আরও কঠিন হয়ে পড়ে।

গাংসু প্রদেশের বাইয়াইন সিটির মুখপাত্র বলেন, ইয়োলো রিভার স্টোন ফরেস্টে অনুষ্ঠিত ম্যারাথনে অংশ নেয়া দৌড়বিদদের মধ্যে যারা ২০ থেকে ৩১ কিলোমিটার অংশে ছিলেন। তারা হঠাৎ খারাপ আবহাওয়ার মুখে পড়েন। মুহূর্তের মধ্যে শিলাবৃষ্টি ও তুষারপাত শুরু হয়। এ সময় ঝড়ো বাতাসও ছিল। তখন ওই এলাকার তাপমাত্রা অনেক কমে যায়।’

তিনি আরও বলেন, তাদের কাছ থেকে সাহায্যের বার্তা পাওয়ার পর দ্রুত সেখানে উদ্ধারকর্মী পাঠানো হয় এবং ১৮ জনের জীবন রক্ষা করা হয়। আবহাওয়া আরও খারাপ হতে থাকে এবং ম্যারাথন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর সেখানে আরও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়। মেয়র আরও বলেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরপরও প্রাদেশিক সরকার এ ঘটনার তদন্ত করবে। এ ঘটনায় আহত আটজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গাংসু হলো চীনের অন্যতম দরিদ্র প্রদেশ। এর উত্তরে মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে এবং পশ্চিমে জিনজিয়াং প্রদেশের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে। এই প্রদেশে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের মতো ঘটনাও ঘটেছে।

২০২০ সালে ভূমিধসে সেখানে এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এ অঞ্চলটি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবেও পরিচিত।