করোনা আক্রান্তদের ঝুঁকি বেশি : স্বাস্থ্যবিদ
বাংলাদেশে করোনা মহামারীর পর এবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (কালো ছত্রাক ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ধুঁকছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তার মধ্যে দেশটিতে নতুন করে দেখা দেয়া মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউর্কোমাইকোসিসে এ পর্যন্ত ভারতে সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ১২৬ জন মারাও গেছে। শুধু মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৯০ জনের। এখন যে কোন সময় এ ভয়াবহ ভাইরাসের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। করোনা মহামারীর মধ্যে আবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
তবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ যেন কোনভাবেই দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সতর্ক নজর রাখছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে জেলায় জেলায় এ রোগ সম্পর্কে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা কেমন হবে সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন দেয়া হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত যেসব রোগী অক্সিজেন সাপোর্ট নিয়েছেন তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে এই ফাঙ্গাসে। বিশেষত ডায়াবেটিস রয়েছে এমন কোভিড-১৯ পজেটিভ রোগীদের এ ছত্রাকে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে।
চকিৎসকেরা বলছেন, কোভিড-১৯ রোগীরা সাদা ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। কেননা এটি ফুসফুসকে আক্রান্ত করে আর এর লক্ষণও করোনাভাইরাসের লক্ষণের মতোই।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের লক্ষণ হচ্ছে নাক দিয়ে অস্বাভাবিকভাবে কালো রস বের হওয়া বা রক্ত ঝরা, নাক বন্ধ, মাথার যন্ত্রণা ও চোখে ব্যথা, চোখ ফুলে যাওয়া, ডাবল ভিশন, লাল চোখ, চোখে দেখতে না পাওয়া, চোখ খুলতে না পারা, মুখে অসাড় ভাব এবং মুখ খুলতে বা চাবাতে কষ্ট হওয়া।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মুশতাক হোসেন এ ব্যাপারে বলেছেন, যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে ইতোমধ্যেই ভারতের জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যে কোন ফাঙ্গাল ইনফেকশন হয় অতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহারের কারণে। করোনা রোগীদের বিশেষ করে আইসিইউতে থাকা রোগীদের চিকিৎসার প্রয়োজনে স্টেরয়েড দিতে হয়। করোনা থেকে সেরে উঠার পর অনেকের দেখা যাচ্ছে ফাঙ্গাল ইনফেকশন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। স্টেরয়েডের ব্যবহার থেকে এই সংক্রমণ শুরু হতে পারে। কোভিড-১৯ এ গুরুতরভাবে আক্রান্তদের চিকিৎসায় তাদের জীবন বাঁচাতে এখন স্টেরয়েড দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যখন অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে, তখন এর ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে যেসব ক্ষতি হয় সেই ক্ষতি থামানোর জন্যও ডাক্তাররা কোভিডের চিকিৎসায় স্টেরয়েড ব্যবহার করেন।
ডা. মুশতাক বলেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে শরীরে থাকা ফাঙ্গাল ইনফেকশন চাড়া দিয়ে ওঠে। এখন ভারতীয় চিকিৎসকরা বলেছেন, এটার বিপজ্জনক রূপ হলো হোয়াইট ফাঙ্গাস বা সাদা ছত্রাক। এই রোগের প্রভাবে ফুসফুসজনিত সমস্যা তৈরি হতে পারে। পেট, যকৃত, মস্তিষ্ক, নখ, ত্বক এবং গোপনাঙ্গেও ক্ষতি করতে পারে হোয়াইট ফাঙ্গাস।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অঞ্চলের ভারতীয় অংশে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো দুর্বলতার কারণে সেখানে যদি একজন মানুষ ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হন, তাহলে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে খুব সহজেই বাতাসের মাধ্যমে সেই ছত্রাক বাংলাদেশের মানুষের শরীরেও সংক্রমিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গতকাল করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক (সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ভারতের মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লি এবং সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত বিপুল সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছে। কোথাও কোথাও এ রোগটিকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি, জনস্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব নিয়ন্ত্রণ জাতীয় কমিটি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি একটি সুপারিশ দেবে। অন্যান্য সবার সুপারিশ ও পরামর্শে চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা গাইডলাইন প্রণীত হবে।
অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম জানান, দেশে এ পর্যন্ত করোনার ভারতীয় ধরনে আক্রান্ত নয়জন রোগী পাওয়া গেছে। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজ চলছে। ফলাফল পাওয়া গেলে এ সংখ্যাটি বেড়ে যাবে। করোনার ভারতীয় ধরনের সংক্রমণের ক্ষমতা অনেক বেশি। দেশে করোনা প্রতিরোধে যেসব প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছে, তা মেনে চললেই এ রোগ প্রতিরোধ সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী সংবাদকে বলেন, কালো ছত্রাক প্রতিরোধে সবার আগে ইমিউনিটি সিস্টেম বাড়াতে হবে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম যেমন ডায়বেটিস, ক্যান্সার রোগী এবং যারা দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড গ্রহণ করছেন তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকায় বিশেষ যতেœর প্রয়োজন।
সোমবার, ২৪ মে ২০২১ , ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১১ শাওয়াল ১৪৪২
করোনা আক্রান্তদের ঝুঁকি বেশি : স্বাস্থ্যবিদ
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
বাংলাদেশে করোনা মহামারীর পর এবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (কালো ছত্রাক ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ধুঁকছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তার মধ্যে দেশটিতে নতুন করে দেখা দেয়া মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউর্কোমাইকোসিসে এ পর্যন্ত ভারতে সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ১২৬ জন মারাও গেছে। শুধু মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৯০ জনের। এখন যে কোন সময় এ ভয়াবহ ভাইরাসের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। করোনা মহামারীর মধ্যে আবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
তবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ যেন কোনভাবেই দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সতর্ক নজর রাখছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে জেলায় জেলায় এ রোগ সম্পর্কে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা কেমন হবে সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন দেয়া হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত যেসব রোগী অক্সিজেন সাপোর্ট নিয়েছেন তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে এই ফাঙ্গাসে। বিশেষত ডায়াবেটিস রয়েছে এমন কোভিড-১৯ পজেটিভ রোগীদের এ ছত্রাকে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে।
চকিৎসকেরা বলছেন, কোভিড-১৯ রোগীরা সাদা ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। কেননা এটি ফুসফুসকে আক্রান্ত করে আর এর লক্ষণও করোনাভাইরাসের লক্ষণের মতোই।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের লক্ষণ হচ্ছে নাক দিয়ে অস্বাভাবিকভাবে কালো রস বের হওয়া বা রক্ত ঝরা, নাক বন্ধ, মাথার যন্ত্রণা ও চোখে ব্যথা, চোখ ফুলে যাওয়া, ডাবল ভিশন, লাল চোখ, চোখে দেখতে না পাওয়া, চোখ খুলতে না পারা, মুখে অসাড় ভাব এবং মুখ খুলতে বা চাবাতে কষ্ট হওয়া।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মুশতাক হোসেন এ ব্যাপারে বলেছেন, যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে ইতোমধ্যেই ভারতের জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যে কোন ফাঙ্গাল ইনফেকশন হয় অতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহারের কারণে। করোনা রোগীদের বিশেষ করে আইসিইউতে থাকা রোগীদের চিকিৎসার প্রয়োজনে স্টেরয়েড দিতে হয়। করোনা থেকে সেরে উঠার পর অনেকের দেখা যাচ্ছে ফাঙ্গাল ইনফেকশন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। স্টেরয়েডের ব্যবহার থেকে এই সংক্রমণ শুরু হতে পারে। কোভিড-১৯ এ গুরুতরভাবে আক্রান্তদের চিকিৎসায় তাদের জীবন বাঁচাতে এখন স্টেরয়েড দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যখন অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে, তখন এর ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে যেসব ক্ষতি হয় সেই ক্ষতি থামানোর জন্যও ডাক্তাররা কোভিডের চিকিৎসায় স্টেরয়েড ব্যবহার করেন।
ডা. মুশতাক বলেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে শরীরে থাকা ফাঙ্গাল ইনফেকশন চাড়া দিয়ে ওঠে। এখন ভারতীয় চিকিৎসকরা বলেছেন, এটার বিপজ্জনক রূপ হলো হোয়াইট ফাঙ্গাস বা সাদা ছত্রাক। এই রোগের প্রভাবে ফুসফুসজনিত সমস্যা তৈরি হতে পারে। পেট, যকৃত, মস্তিষ্ক, নখ, ত্বক এবং গোপনাঙ্গেও ক্ষতি করতে পারে হোয়াইট ফাঙ্গাস।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অঞ্চলের ভারতীয় অংশে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো দুর্বলতার কারণে সেখানে যদি একজন মানুষ ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হন, তাহলে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে খুব সহজেই বাতাসের মাধ্যমে সেই ছত্রাক বাংলাদেশের মানুষের শরীরেও সংক্রমিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গতকাল করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক (সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ভারতের মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লি এবং সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত বিপুল সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছে। কোথাও কোথাও এ রোগটিকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি, জনস্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব নিয়ন্ত্রণ জাতীয় কমিটি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি একটি সুপারিশ দেবে। অন্যান্য সবার সুপারিশ ও পরামর্শে চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা গাইডলাইন প্রণীত হবে।
অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম জানান, দেশে এ পর্যন্ত করোনার ভারতীয় ধরনে আক্রান্ত নয়জন রোগী পাওয়া গেছে। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজ চলছে। ফলাফল পাওয়া গেলে এ সংখ্যাটি বেড়ে যাবে। করোনার ভারতীয় ধরনের সংক্রমণের ক্ষমতা অনেক বেশি। দেশে করোনা প্রতিরোধে যেসব প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছে, তা মেনে চললেই এ রোগ প্রতিরোধ সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী সংবাদকে বলেন, কালো ছত্রাক প্রতিরোধে সবার আগে ইমিউনিটি সিস্টেম বাড়াতে হবে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম যেমন ডায়বেটিস, ক্যান্সার রোগী এবং যারা দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড গ্রহণ করছেন তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকায় বিশেষ যতেœর প্রয়োজন।