যাত্রীবেশে উঠে ড্রাইভারকে অচেতন করে গাড়ি নিয়ে চম্পট

আন্তঃজেলা গাড়ি চুরি ও ছিনতাই চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। ডিবির লালবাগ বিভাগের সহকারী কমিশনার মধুসূদন দাসের নেতৃত্বে টিম বিভিন্ন জেলায় ৩ দিন অভিযান চালিয়ে এ চক্রের সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে বিভিন্ন সময়ে চুরি করা ২টি প্রাইভেটকার, ৮টি মোটরসাইকেল এবং ২টি সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের নাম মো. রফিকুল ইসলাম (৩৩), মো. বাহাদুর ইসলাম (৩৫), মো. মশিউর রহমান (৩৭), মো. শহিদুল ইসলাম (২৬), মো. তরিকুল ইসলাম (৩৫) ও তাফসির উদ্দিন (২৫)। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি ও কলাবাগান থানায় দুটি মামলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য মতে ডিবি জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা যাত্রী বেশে গাড়িতে উঠে সুবিধাজনক স্থানে গিয়ে সুকৌশলে ড্রাইভারকে নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে অচেতন করে রাস্তার পাশে ফেলে দিত। এরপর তারা গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যেত। কখনও কখনও তারা জোরপূর্বক গাড়ি ছিনিয়ে নিত। কখনও পার্কিং করা গাড়ি মাস্টার কি দিয়ে খুলে চুরি করত। প্রাইভেটকার চুরির পর এগুলো আবার মোটরসাইকেল ও সিএনজি চুরির জন্য ব্যবহার করত।

ডিবি পুলিশ আরও জানায়, গাড়ি চুরির একটি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে এ চোর চক্রের সন্ধান পায় ডিবি। পরে টানা ১ মাস চক্রের প্রত্যেক সদস্যের গতিবিধি নজরদারিতে রেখে গত ২১ মে অভিযানে নামে ডিবি। প্রথমে চক্রের দলনেতা রফিককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গাজীপুর, যশোর, নরসিংদী ও গোপালগঞ্জ জেলায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে অন্যদের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এরা দীর্ঘ ৮ থেকে ১০ বছর ধরে গাড়ি চুরির সঙ্গে জড়িত।

গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মধুসূদন দাস জানান, কোতয়ালি থানা ও ধানমন্ডি থানায় চুরির মামলা তদন্তকালে এই চোর ও ছিনতাই চক্রের সন্ধান পায় গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রফিকুল ও বাহাদুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য মতে, কেরানীগঞ্জ হতে ১টি চোরাই প্রোবক্স প্রাইভেটকার ও ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এরপর গাজীপুর থেকে ১টি প্রোবক্স প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়। অভিযানে গেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্য মতে যশোর হতে এ চক্রের সদস্য মশিউর, শহিদুল ও তরিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের চোরাই মালামালের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মালামাল গোপালগঞ্জ জেলায় আছে মর্মে স্বীকার করে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ জেলা হতে তাফসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে গোপালগঞ্জ থেকে ৭টি মোটরসাইকেল ও নরসিংদী হতে ৪টি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।

আরও খবর
‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ নিয়ে বাংলাদেশেও শঙ্কা
রোজিনার জামিনে প্রমাণ হয়েছে আদালত স্বাধীন : কাদের
যোগাযোগ পর্যটন ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ চান ব্যবসায়ী নেতারা
বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ইসরায়েল ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বহাল
শীঘ্রই চূড়ান্ত হচ্ছে গণমাধ্যম কর্মীদের আইন তথ্যমন্ত্রী
সেই গ্রীন হোমসের এমডি রাজুসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা
হেফাজতের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করতে এমপির আল্টিমেটাম
খিলগাঁওয়ের ত্রাস সন্ত্রাসী তিন স্বপন
৩৩৩ নম্বরে কল করে ত্রাণ চেয়ে শাস্তি পেলেন বৃদ্ধ
পাহাড়ে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার
মা মাছের আনাগোনা বাড়লেও শঙ্কায় ডিম সংগ্রহকারীরা

সোমবার, ২৪ মে ২০২১ , ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১১ শাওয়াল ১৪৪২

ছয় গাড়ি ছিনতাইকারী আটক

যাত্রীবেশে উঠে ড্রাইভারকে অচেতন করে গাড়ি নিয়ে চম্পট

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

আন্তঃজেলা গাড়ি চুরি ও ছিনতাই চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। ডিবির লালবাগ বিভাগের সহকারী কমিশনার মধুসূদন দাসের নেতৃত্বে টিম বিভিন্ন জেলায় ৩ দিন অভিযান চালিয়ে এ চক্রের সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে বিভিন্ন সময়ে চুরি করা ২টি প্রাইভেটকার, ৮টি মোটরসাইকেল এবং ২টি সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের নাম মো. রফিকুল ইসলাম (৩৩), মো. বাহাদুর ইসলাম (৩৫), মো. মশিউর রহমান (৩৭), মো. শহিদুল ইসলাম (২৬), মো. তরিকুল ইসলাম (৩৫) ও তাফসির উদ্দিন (২৫)। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি ও কলাবাগান থানায় দুটি মামলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য মতে ডিবি জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা যাত্রী বেশে গাড়িতে উঠে সুবিধাজনক স্থানে গিয়ে সুকৌশলে ড্রাইভারকে নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে অচেতন করে রাস্তার পাশে ফেলে দিত। এরপর তারা গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যেত। কখনও কখনও তারা জোরপূর্বক গাড়ি ছিনিয়ে নিত। কখনও পার্কিং করা গাড়ি মাস্টার কি দিয়ে খুলে চুরি করত। প্রাইভেটকার চুরির পর এগুলো আবার মোটরসাইকেল ও সিএনজি চুরির জন্য ব্যবহার করত।

ডিবি পুলিশ আরও জানায়, গাড়ি চুরির একটি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে এ চোর চক্রের সন্ধান পায় ডিবি। পরে টানা ১ মাস চক্রের প্রত্যেক সদস্যের গতিবিধি নজরদারিতে রেখে গত ২১ মে অভিযানে নামে ডিবি। প্রথমে চক্রের দলনেতা রফিককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গাজীপুর, যশোর, নরসিংদী ও গোপালগঞ্জ জেলায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে অন্যদের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এরা দীর্ঘ ৮ থেকে ১০ বছর ধরে গাড়ি চুরির সঙ্গে জড়িত।

গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মধুসূদন দাস জানান, কোতয়ালি থানা ও ধানমন্ডি থানায় চুরির মামলা তদন্তকালে এই চোর ও ছিনতাই চক্রের সন্ধান পায় গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রফিকুল ও বাহাদুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য মতে, কেরানীগঞ্জ হতে ১টি চোরাই প্রোবক্স প্রাইভেটকার ও ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এরপর গাজীপুর থেকে ১টি প্রোবক্স প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়। অভিযানে গেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্য মতে যশোর হতে এ চক্রের সদস্য মশিউর, শহিদুল ও তরিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের চোরাই মালামালের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মালামাল গোপালগঞ্জ জেলায় আছে মর্মে স্বীকার করে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ জেলা হতে তাফসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে গোপালগঞ্জ থেকে ৭টি মোটরসাইকেল ও নরসিংদী হতে ৪টি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।