সন্তানদের মধ্যে বৈষম্য নয়

সমাজে অধিকাংশ সময় ছেলে সন্তানদের তুলনায় কন্যা সন্তানদেরই বেশি বঞ্চিত হতে দেখা যায়। সমাজটা এমন ভাবে তৈরি হয়েছে যেটা বৈষম্যের বেড়াজালে আবদ্ধ। বলা হয়, ছেলে সন্তান হচ্ছে পরিবারের খুঁটি, তারা বংশ বাড়াবে, পিতামাতার আশ্রয়স্থল হবে তাই স্নেহ-মমতা এমনকি সম্পদেও তাদের হক, তাদের অধিকার বেশি। আর কন্যা, তারা তো আর পিতামাতার আশ্রয়স্থল হতে পারবে না। এমন ভাবনাই ছেলে ও মেয়ে সন্তানের মাঝে বৈষম্যের পেছনে দায়ী। মেয়েরা কোন দিক থেকেই কখনো দুর্বল কিংবা অযোগ্য না। তারাও পারে একটা ছেলের ন্যায় পরিবারের হাল ধরতে, তারাও পারে পিতা-মাতার বৃদ্ধ বয়সের আশ্রয়স্থল হতে। মেয়েরাও পড়ালেখার ক্ষেত্রে ছেলেদের ন্যায় সমান অধিকার রাখে। বর্তমানে রাষ্ট্রীয়ভাবেও মেয়েদের জন্য অনেক অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে এবং হচ্ছে। তাই সন্তানদের মাঝে কোন ধরণের বৈষম্য করা যাবে না এবং এ কাজে পরিবারকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। এখনও এমন অনেক পরিবার আছে যারা পুত্র-কন্যা সন্তানের মাঝে কোন ভেদাভেদ করে না। এমন অনেক ভাইয়েরা আছে যারা সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে বোনদের ঠকানোর কথা চিন্তায়ও আনে না। তারা কি ভাল নেই সমাজে? অবশ্যই আছে এবং মানসিকভাবে অনেক শান্তিতেই আছে।

এই বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পুত্র বলে অধিক স্নেহ বা কন্যা বলে অধিক স্নেহ কোনটাই করা যাবে না বরং পুত্র-কন্যা দুজনকেই সমান দৃষ্টিতে দেখতে হবে। কাউকেই তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।

আতিয়া ফাইরুজ ঐশী,

শিক্ষার্থী,

শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

সোমবার, ২৪ মে ২০২১ , ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১১ শাওয়াল ১৪৪২

সন্তানদের মধ্যে বৈষম্য নয়

সমাজে অধিকাংশ সময় ছেলে সন্তানদের তুলনায় কন্যা সন্তানদেরই বেশি বঞ্চিত হতে দেখা যায়। সমাজটা এমন ভাবে তৈরি হয়েছে যেটা বৈষম্যের বেড়াজালে আবদ্ধ। বলা হয়, ছেলে সন্তান হচ্ছে পরিবারের খুঁটি, তারা বংশ বাড়াবে, পিতামাতার আশ্রয়স্থল হবে তাই স্নেহ-মমতা এমনকি সম্পদেও তাদের হক, তাদের অধিকার বেশি। আর কন্যা, তারা তো আর পিতামাতার আশ্রয়স্থল হতে পারবে না। এমন ভাবনাই ছেলে ও মেয়ে সন্তানের মাঝে বৈষম্যের পেছনে দায়ী। মেয়েরা কোন দিক থেকেই কখনো দুর্বল কিংবা অযোগ্য না। তারাও পারে একটা ছেলের ন্যায় পরিবারের হাল ধরতে, তারাও পারে পিতা-মাতার বৃদ্ধ বয়সের আশ্রয়স্থল হতে। মেয়েরাও পড়ালেখার ক্ষেত্রে ছেলেদের ন্যায় সমান অধিকার রাখে। বর্তমানে রাষ্ট্রীয়ভাবেও মেয়েদের জন্য অনেক অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে এবং হচ্ছে। তাই সন্তানদের মাঝে কোন ধরণের বৈষম্য করা যাবে না এবং এ কাজে পরিবারকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। এখনও এমন অনেক পরিবার আছে যারা পুত্র-কন্যা সন্তানের মাঝে কোন ভেদাভেদ করে না। এমন অনেক ভাইয়েরা আছে যারা সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে বোনদের ঠকানোর কথা চিন্তায়ও আনে না। তারা কি ভাল নেই সমাজে? অবশ্যই আছে এবং মানসিকভাবে অনেক শান্তিতেই আছে।

এই বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পুত্র বলে অধিক স্নেহ বা কন্যা বলে অধিক স্নেহ কোনটাই করা যাবে না বরং পুত্র-কন্যা দুজনকেই সমান দৃষ্টিতে দেখতে হবে। কাউকেই তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।

আতিয়া ফাইরুজ ঐশী,

শিক্ষার্থী,

শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়