ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ

মাদারীপুরের ডাসারে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এলাকার যুবকদের মাদক সেবনে উদ্বুদ্ধ করা, প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, হতদরিদ্রদের চাল বিক্রি করে দেয়াসহ একাধিক অভিযোগ তুলে প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী। অভিযুক্ত ডাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমান সবুজ কাজীর বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেছেন স্থানীয়রা। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস দিয়েছে জেলা প্রশাসন। লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, সুবজ কাজীর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদকদ্রব্য সেবন ও মাদক বিস্তারের সঙ্গে জড়িত থাকায় এলাকায় বাড়ছে দিন দিন মাদকসেবীর সংখ্যা। চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় একাধিকবার সবুজ কাজী পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছেন। জেল থেকে বেরিয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। এলাকার যুবকদের মাদক সেবনে উদ্বুদ্ধ করছেন প্রতিনিয়ত। ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন কাজ না করেই বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দেয়া হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ না করেই বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন তিনি। এতে ক্ষুব্ধ হতদরিদ্ররা। তার কথা না শুনলে মারধরসহ নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

বিষয়টি প্রতিকার চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দা মালেক মিয়া বলেন, রাস্তা না করেই একাধিক রাস্তার টাকা মেরে খেয়েছেন এই চেয়ারম্যান। নলকূপ দেয়ার কথা বলেও মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যন সবুজ কাজী। তিনি বলেন, ‘অনেক আগে আমি সিগারেট খেতাম সেটাই এখন মাদক সেবন হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। অনিয়মের অভিযোগ সত্য নয়।’

এদিকে জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, খোঁজ নিয়ে ঘটনার সতত্যা পাওয়া গেলে নেয়া হবে কার্যকর ব্যবস্থা। আমি শিগগিরই বিষয়টি খবর নেব।

বুধবার, ২৬ মে ২০২১ , ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৩ শাওয়াল ১৪৪২

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ

জেলা বার্তা পরিবেশক, মাদারীপুর

মাদারীপুরের ডাসারে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এলাকার যুবকদের মাদক সেবনে উদ্বুদ্ধ করা, প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, হতদরিদ্রদের চাল বিক্রি করে দেয়াসহ একাধিক অভিযোগ তুলে প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী। অভিযুক্ত ডাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমান সবুজ কাজীর বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেছেন স্থানীয়রা। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস দিয়েছে জেলা প্রশাসন। লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, সুবজ কাজীর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদকদ্রব্য সেবন ও মাদক বিস্তারের সঙ্গে জড়িত থাকায় এলাকায় বাড়ছে দিন দিন মাদকসেবীর সংখ্যা। চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় একাধিকবার সবুজ কাজী পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছেন। জেল থেকে বেরিয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। এলাকার যুবকদের মাদক সেবনে উদ্বুদ্ধ করছেন প্রতিনিয়ত। ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন কাজ না করেই বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দেয়া হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ না করেই বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন তিনি। এতে ক্ষুব্ধ হতদরিদ্ররা। তার কথা না শুনলে মারধরসহ নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

বিষয়টি প্রতিকার চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দা মালেক মিয়া বলেন, রাস্তা না করেই একাধিক রাস্তার টাকা মেরে খেয়েছেন এই চেয়ারম্যান। নলকূপ দেয়ার কথা বলেও মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যন সবুজ কাজী। তিনি বলেন, ‘অনেক আগে আমি সিগারেট খেতাম সেটাই এখন মাদক সেবন হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। অনিয়মের অভিযোগ সত্য নয়।’

এদিকে জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, খোঁজ নিয়ে ঘটনার সতত্যা পাওয়া গেলে নেয়া হবে কার্যকর ব্যবস্থা। আমি শিগগিরই বিষয়টি খবর নেব।