শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ৭ আসামির জামিন

২০০২ সালে সাতক্ষীরায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নি¤œ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত ১৮ আসামির মধ্যে ৭ জনকে চার মাসের জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলার অন্য ১১ আসামির জামিন আদেশের জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেন।

জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, গোলাম রসুল, আবদুস সামাদ, আবদুস সাত্তার, রাকিব, শাহাবুদ্দিন ও মনিরুল ইসলাম। আদালতে জামিন আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও অ্যাডভোকেট গাজী মহসীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াহিয়া দুলাল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শাহীন।

এর আগে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় নিপীড়িত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক নারীকে দেখতে সাতক্ষীরা গিয়েছিলেন। যশোরে ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলা হয়। এতে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী আহত হন। ওই দিনই কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় তদন্ত শেষে হাবিবুল ইসলামসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০১৭ সালে আসামিপক্ষ মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করেন। এর তিন বছর পর আসামিপক্ষের আবেদন খারিজ করে ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির জন্য নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট বিভাগ।

চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবীর সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব, বিএনপি নেতা আরিফুর রহমান ও রিপনকে ১০ বছরের, কলারোয়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের বাচ্চুকে নয় বছরের এবং বাকি ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। পরে মামলা থেকে খালাস চেয়ে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন এবং জামিন চেয়ে আবেদন জানান।

বুধবার, ২৬ মে ২০২১ , ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৩ শাওয়াল ১৪৪২

শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ৭ আসামির জামিন

আদালত বার্তা পরিবেশক

২০০২ সালে সাতক্ষীরায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নি¤œ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত ১৮ আসামির মধ্যে ৭ জনকে চার মাসের জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলার অন্য ১১ আসামির জামিন আদেশের জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেন।

জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, গোলাম রসুল, আবদুস সামাদ, আবদুস সাত্তার, রাকিব, শাহাবুদ্দিন ও মনিরুল ইসলাম। আদালতে জামিন আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও অ্যাডভোকেট গাজী মহসীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াহিয়া দুলাল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শাহীন।

এর আগে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় নিপীড়িত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক নারীকে দেখতে সাতক্ষীরা গিয়েছিলেন। যশোরে ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলা হয়। এতে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী আহত হন। ওই দিনই কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় তদন্ত শেষে হাবিবুল ইসলামসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০১৭ সালে আসামিপক্ষ মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করেন। এর তিন বছর পর আসামিপক্ষের আবেদন খারিজ করে ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির জন্য নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট বিভাগ।

চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবীর সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব, বিএনপি নেতা আরিফুর রহমান ও রিপনকে ১০ বছরের, কলারোয়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের বাচ্চুকে নয় বছরের এবং বাকি ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। পরে মামলা থেকে খালাস চেয়ে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন এবং জামিন চেয়ে আবেদন জানান।