ফলে কেমিক্যাল : নজরদারি বাড়ান

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচুসহ বেশকিছু মৌসুমি ফল বাজারে আসতে শুরু করেছে। গ্রামের বাজার ও শহরের অলিগলিতে ইতোমধ্যে হরেক রকমের ফল পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রাকে ভরে মধুমাসের এসব ফল আসছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে। এসব ফলের অধিকাংশেই মেশানে হচ্ছে বিষ। বিষ মেশানো এসব ফল বিক্রি হচ্ছে সারা দেশের শহর, বন্দর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে। কিন্তু বাজারের এসব ফল কতটুকু নিরাপদ এ নিয়ে প্রশ্ন জাগে।

বর্তমানে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, বাঙ্গি, তরমুজসহ বেশ কিছু ফলে মেশানো হচ্ছে বিষ। বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানোর কারণে ফলে পুষ্টি ও স্বাদ কোনটাই পাওয়া যাচ্ছে না ঠিকমতো। অনেকে ভয়ে মৌসুমী এসব ফল কিনতে সাহস পাচ্ছেন না। আবার অনেকে বাজার থেকে আনা ফল খেয়ে অসুস্থও হয়ে পড়েছেন। অথচ করোনা মোকাবিলায় দৈহিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে মৌসুমী পুষ্টিকর ফল গ্রহণ করা আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্ত কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফ লাভের আশায় ফলকে দীর্ঘক্ষণ তাজা রাখার জন্য ব্যবহার করছে বিষাক্ত ফরমালিন যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিষ মেশানো এসব ফল খেয়ে প্রতিদিনই নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। নিরাপদ খাদ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। নিরাপদ খাদ্য মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অন্যতম পূর্বশর্তও বটে। বিষমুক্ত খাবার নিশ্চিত করতে অবশ্যই কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। পাশাপাশি জনগণের মাঝে সচেতনতাও তৈরি করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জনশক্তি ও কর্মপরিধি উভয়ই বৃদ্ধি করতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে। ফল ও খাদ্যদ্রব্যে বিষ প্রয়োগকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

আশরাফুল ইসলাম

বুধবার, ২৬ মে ২০২১ , ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৩ শাওয়াল ১৪৪২

ফলে কেমিক্যাল : নজরদারি বাড়ান

image

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচুসহ বেশকিছু মৌসুমি ফল বাজারে আসতে শুরু করেছে। গ্রামের বাজার ও শহরের অলিগলিতে ইতোমধ্যে হরেক রকমের ফল পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রাকে ভরে মধুমাসের এসব ফল আসছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে। এসব ফলের অধিকাংশেই মেশানে হচ্ছে বিষ। বিষ মেশানো এসব ফল বিক্রি হচ্ছে সারা দেশের শহর, বন্দর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে। কিন্তু বাজারের এসব ফল কতটুকু নিরাপদ এ নিয়ে প্রশ্ন জাগে।

বর্তমানে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, বাঙ্গি, তরমুজসহ বেশ কিছু ফলে মেশানো হচ্ছে বিষ। বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানোর কারণে ফলে পুষ্টি ও স্বাদ কোনটাই পাওয়া যাচ্ছে না ঠিকমতো। অনেকে ভয়ে মৌসুমী এসব ফল কিনতে সাহস পাচ্ছেন না। আবার অনেকে বাজার থেকে আনা ফল খেয়ে অসুস্থও হয়ে পড়েছেন। অথচ করোনা মোকাবিলায় দৈহিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে মৌসুমী পুষ্টিকর ফল গ্রহণ করা আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্ত কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফ লাভের আশায় ফলকে দীর্ঘক্ষণ তাজা রাখার জন্য ব্যবহার করছে বিষাক্ত ফরমালিন যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিষ মেশানো এসব ফল খেয়ে প্রতিদিনই নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। নিরাপদ খাদ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। নিরাপদ খাদ্য মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অন্যতম পূর্বশর্তও বটে। বিষমুক্ত খাবার নিশ্চিত করতে অবশ্যই কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। পাশাপাশি জনগণের মাঝে সচেতনতাও তৈরি করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জনশক্তি ও কর্মপরিধি উভয়ই বৃদ্ধি করতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে। ফল ও খাদ্যদ্রব্যে বিষ প্রয়োগকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

আশরাফুল ইসলাম