দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গত আড়াই মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ। এর আগে গত ১৮ মার্চ দেশে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর তা বাড়তে বাড়তে এপ্রিলের মাঝামাঝি একশ’ও ছাড়িয়েছিল। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৪৫৮ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৯৭ জন। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৭ লাখ ৯৩ হাজার ৬৯৩ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ১ হাজার ৫৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৬ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৪৮৬টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ সময়ে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৬ হাজার ৩৪২টি। সংগৃহীত নমুনার মধ্যে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১৬ হাজার ৪৩৪টি। গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ৫৮ লাখ ৭১ হাজার ৩৫৩টি।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪২ লাখ ৯২ হাজার ১৪০টি, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ লাখ ৭৯ হাজার ২১৩টি। নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৯ দশমিক ১১ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৫ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ৮, খুলনায় ১, বরিশালে ১, সিলেটে ১ এবং ময়মনসিংহে ১ জন মারা গেছেন। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং ৭ জন নারী। এদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়া ১২ হাজার ৪৫৮ জনের মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৫ জন এবং নারী ৩ হাজার ৪৫৩ জন। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১১ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১ জন রয়েছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে। এ বছরের মার্চ থেকে করোনার সংক্রমণ আবার বেড়ে যায়। মার্চের প্রথমার্ধেই দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের ওপর চলে যায়। বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৬ মার্চের বুলেটিনে ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনের মৃত্যু খবর দেয়া হয়, সেখানে এক মাস পর ২৫ এপ্রিলের বুলেটিনে ১০১ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা এখনও বহাল। এই বিধিনিষেধে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ ও দৈনিক মৃত্যু কমেছে। তবে আবার সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১ , ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৪ শাওয়াল ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গত আড়াই মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ। এর আগে গত ১৮ মার্চ দেশে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর তা বাড়তে বাড়তে এপ্রিলের মাঝামাঝি একশ’ও ছাড়িয়েছিল। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৪৫৮ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৯৭ জন। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৭ লাখ ৯৩ হাজার ৬৯৩ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ১ হাজার ৫৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৬ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৪৮৬টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ সময়ে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৬ হাজার ৩৪২টি। সংগৃহীত নমুনার মধ্যে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১৬ হাজার ৪৩৪টি। গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ৫৮ লাখ ৭১ হাজার ৩৫৩টি।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪২ লাখ ৯২ হাজার ১৪০টি, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ লাখ ৭৯ হাজার ২১৩টি। নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৯ দশমিক ১১ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৫ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ৮, খুলনায় ১, বরিশালে ১, সিলেটে ১ এবং ময়মনসিংহে ১ জন মারা গেছেন। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং ৭ জন নারী। এদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়া ১২ হাজার ৪৫৮ জনের মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৫ জন এবং নারী ৩ হাজার ৪৫৩ জন। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১১ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১ জন রয়েছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে। এ বছরের মার্চ থেকে করোনার সংক্রমণ আবার বেড়ে যায়। মার্চের প্রথমার্ধেই দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের ওপর চলে যায়। বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৬ মার্চের বুলেটিনে ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনের মৃত্যু খবর দেয়া হয়, সেখানে এক মাস পর ২৫ এপ্রিলের বুলেটিনে ১০১ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা এখনও বহাল। এই বিধিনিষেধে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ ও দৈনিক মৃত্যু কমেছে। তবে আবার সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।