বেসরকারি কলেজে অনার্সে পাঠদান বন্ধ করে দেয়া হবে শিক্ষামন্ত্রী

বেসরকারি কলেজ পর্যায়ে অনার্স-মাস্টার্স পাঠদান বন্ধ করে দেয়া হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, বৃত্তিমূলক শিক্ষা বাড়ানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

গতকাল এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সরকারের এই পরিকল্পনার কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘বেসরকারি কলেজ পর্যায়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পর্যায়ক্রমে এই অনার্স-মাস্টার্স বন্ধ করে দিয়ে সেখানে ডিগ্রি স্তরে (পাস কোর্স) শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করবে, ডিগ্রি পরীক্ষা দেবে। নানান ধরনের শর্টকোর্স, ডিপ্লোমা কোর্সগুলো করানো হবে। যেগুলো অনেক বেশি কর্মমুখী, আত্মকর্মসংস্থানে, উদ্যোক্তা তৈরিতে যেগুলো উপযুক্ত হবে।’

জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ৭৪৯টি বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত কলেজ ৩৫২টি, যার মধ্যে গত তিন-চার বছরে তিন শতাধিক কলেজ জাতীয়করণ করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়া ইন্টারমেডিয়েট ও ডিগ্রি (পাস কোর্স) পাঠদানকারী শিক্ষকরা এমপিও সুবিধা পাচ্ছেন; কিন্তু অনার্স-মাস্টার্স কোর্স পাঠদানকারী শিক্ষকদের এমপিও সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে না।

জনসংখ্যাকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তরিত করতেই অনার্স-মাস্টার্স বন্ধের পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সব কলেজে অনার্স-মাস্টার্সের তেমন কোন প্রয়োজন হয়তো নেই। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষিত বেকার তৈরি হচ্ছে। আমরা সেটা চাই না। আমরা জনসংখ্যাকে দক্ষ জনসম্পদে রূপ দিতে চাই। এ লক্ষ্যে উপযুক্ত শিক্ষা সম্প্রসারণের একটি প্রয়াস এটি।’

তবে এখনই বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স পাঠদান বন্ধ হচ্ছে না জানিয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, ‘এই কাজটি একদিনে হঠাৎ করে বন্ধ করে দিয়ে করা যাবে না। সেজন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমরা কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে কমিটি করে দেয়া হয়েছে। তারা পুরো বিষয়টি দেখছেন। আর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে নানা ধরনের পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে এই সিদ্ধান্তগুলো নিতে হবে।’

বেসরকারি কলেজে যারা এখন অনার্স-মাস্টার্সে ভর্তি হচ্ছেন, তাদের শিক্ষাজীবন শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যখন থেকে আমরা মনে করব, পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারব, তখন থেকেই আমরা বন্ধ করে দিব।’

জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৯২ সালে কলেজ পর্যায়ে অনার্স পাঠদান শুরু হয়। এরপর কলেজ পর্যায়ে মাস্টার্সও চালু হয়।

বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১ , ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৪ শাওয়াল ১৪৪২

বৃত্তিমূলক শিক্ষা বাড়াতে

বেসরকারি কলেজে অনার্সে পাঠদান বন্ধ করে দেয়া হবে শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বেসরকারি কলেজ পর্যায়ে অনার্স-মাস্টার্স পাঠদান বন্ধ করে দেয়া হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, বৃত্তিমূলক শিক্ষা বাড়ানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

গতকাল এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সরকারের এই পরিকল্পনার কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘বেসরকারি কলেজ পর্যায়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পর্যায়ক্রমে এই অনার্স-মাস্টার্স বন্ধ করে দিয়ে সেখানে ডিগ্রি স্তরে (পাস কোর্স) শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করবে, ডিগ্রি পরীক্ষা দেবে। নানান ধরনের শর্টকোর্স, ডিপ্লোমা কোর্সগুলো করানো হবে। যেগুলো অনেক বেশি কর্মমুখী, আত্মকর্মসংস্থানে, উদ্যোক্তা তৈরিতে যেগুলো উপযুক্ত হবে।’

জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ৭৪৯টি বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত কলেজ ৩৫২টি, যার মধ্যে গত তিন-চার বছরে তিন শতাধিক কলেজ জাতীয়করণ করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়া ইন্টারমেডিয়েট ও ডিগ্রি (পাস কোর্স) পাঠদানকারী শিক্ষকরা এমপিও সুবিধা পাচ্ছেন; কিন্তু অনার্স-মাস্টার্স কোর্স পাঠদানকারী শিক্ষকদের এমপিও সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে না।

জনসংখ্যাকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তরিত করতেই অনার্স-মাস্টার্স বন্ধের পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সব কলেজে অনার্স-মাস্টার্সের তেমন কোন প্রয়োজন হয়তো নেই। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষিত বেকার তৈরি হচ্ছে। আমরা সেটা চাই না। আমরা জনসংখ্যাকে দক্ষ জনসম্পদে রূপ দিতে চাই। এ লক্ষ্যে উপযুক্ত শিক্ষা সম্প্রসারণের একটি প্রয়াস এটি।’

তবে এখনই বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স পাঠদান বন্ধ হচ্ছে না জানিয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, ‘এই কাজটি একদিনে হঠাৎ করে বন্ধ করে দিয়ে করা যাবে না। সেজন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমরা কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে কমিটি করে দেয়া হয়েছে। তারা পুরো বিষয়টি দেখছেন। আর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে নানা ধরনের পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে এই সিদ্ধান্তগুলো নিতে হবে।’

বেসরকারি কলেজে যারা এখন অনার্স-মাস্টার্সে ভর্তি হচ্ছেন, তাদের শিক্ষাজীবন শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যখন থেকে আমরা মনে করব, পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারব, তখন থেকেই আমরা বন্ধ করে দিব।’

জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৯২ সালে কলেজ পর্যায়ে অনার্স পাঠদান শুরু হয়। এরপর কলেজ পর্যায়ে মাস্টার্সও চালু হয়।