মালির ক্ষমতা সাবেক অভ্যুত্থানকারীর হাতে

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে রাষ্ট্রক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন সাবেক অভ্যুত্থানকারী সেনা কর্মকর্তা কর্নেল আসিমি গোইতা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে আটকের পর ক্ষমতার দখল নেন তিনি। গোইতার দাবি, নতুন সরকার গঠনের আলোচনায় প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী ব্যর্থ হওয়ায় এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বছরই সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে দেশটিতে। আল-জাজিরা

সংঘাতকবলিত মালির প্রেসিডেন্ট বাহ দাও ও প্রধানমন্ত্রী মুকতার উয়ানেকে সোমবার আটক করে সেনারা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী সোলায়মান দুকুরও আটক হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজধানী বামাকোর কাছে কাতি সেনা ঘাঁটিতে তাদের আটকে রাখা হয়েছে। ৯ মাসের মধ্যে মালিতে দ্বিতীয় সেনা অভ্যুত্থান এটি।

গত বছরের আগস্টে সেনা অভ্যুত্থানে দেশটির সাবেক স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বুবাকার কেইতা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যেই ঘটল এ ঘটনা।

এ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কর্নেল আসিমি গোইতা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে যে লিখিত সমঝোতা হয়েছিল, স্পষ্টভাবেই তা লঙ্ঘন করতে যাচ্ছিলেন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। এ জন্যই এমন পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর আটকে দেয়া তাদের লক্ষ্য ছিল।’

সরকারের বিভিন্ন পদে রদবদলের পরই আটক হন দুই নেতা। রদবদলে কর্নেল গোইতাসহ গত বছরের অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া দুই শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয় দাও-উয়ানে সরকার।

যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে আটকের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে মালির সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে তারা। গত বছর কেইতার অপসারণকে মালির সাধারণ জনগণ স্বাগত জানালেও অন্তর্র্বতী সরকারে সেনাবাহিনীর প্রভাব বিস্তার নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল দেশটিতে। এ ছাড়া নতুন সরকারের দেয়া সংস্কারের আশ্বাসের বাস্তব প্রতিফলন ঘটছিল না মালিতে। ২০১২ সালের সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে কট্টরপন্থিরা ঘাঁটি গাড়ে মালির উত্তরাঞ্চলে। ২০১৩ সালে ইব্রাহিম কেইতা প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলেও অঞ্চলটিতে স্থিতিশীলতা ফেরেনি।

ফ্রান্সের সেনাবাহিনী মালিতে শান্তিরক্ষার দায়িত্ব নিলেও সন্ত্রাসী হামলা অব্যাহত আছে।

বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১ , ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৪ শাওয়াল ১৪৪২

মালির ক্ষমতা সাবেক অভ্যুত্থানকারীর হাতে

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে রাষ্ট্রক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন সাবেক অভ্যুত্থানকারী সেনা কর্মকর্তা কর্নেল আসিমি গোইতা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে আটকের পর ক্ষমতার দখল নেন তিনি। গোইতার দাবি, নতুন সরকার গঠনের আলোচনায় প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী ব্যর্থ হওয়ায় এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বছরই সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে দেশটিতে। আল-জাজিরা

সংঘাতকবলিত মালির প্রেসিডেন্ট বাহ দাও ও প্রধানমন্ত্রী মুকতার উয়ানেকে সোমবার আটক করে সেনারা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী সোলায়মান দুকুরও আটক হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজধানী বামাকোর কাছে কাতি সেনা ঘাঁটিতে তাদের আটকে রাখা হয়েছে। ৯ মাসের মধ্যে মালিতে দ্বিতীয় সেনা অভ্যুত্থান এটি।

গত বছরের আগস্টে সেনা অভ্যুত্থানে দেশটির সাবেক স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বুবাকার কেইতা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যেই ঘটল এ ঘটনা।

এ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কর্নেল আসিমি গোইতা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে যে লিখিত সমঝোতা হয়েছিল, স্পষ্টভাবেই তা লঙ্ঘন করতে যাচ্ছিলেন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। এ জন্যই এমন পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর আটকে দেয়া তাদের লক্ষ্য ছিল।’

সরকারের বিভিন্ন পদে রদবদলের পরই আটক হন দুই নেতা। রদবদলে কর্নেল গোইতাসহ গত বছরের অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া দুই শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয় দাও-উয়ানে সরকার।

যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে আটকের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে মালির সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে তারা। গত বছর কেইতার অপসারণকে মালির সাধারণ জনগণ স্বাগত জানালেও অন্তর্র্বতী সরকারে সেনাবাহিনীর প্রভাব বিস্তার নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল দেশটিতে। এ ছাড়া নতুন সরকারের দেয়া সংস্কারের আশ্বাসের বাস্তব প্রতিফলন ঘটছিল না মালিতে। ২০১২ সালের সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে কট্টরপন্থিরা ঘাঁটি গাড়ে মালির উত্তরাঞ্চলে। ২০১৩ সালে ইব্রাহিম কেইতা প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলেও অঞ্চলটিতে স্থিতিশীলতা ফেরেনি।

ফ্রান্সের সেনাবাহিনী মালিতে শান্তিরক্ষার দায়িত্ব নিলেও সন্ত্রাসী হামলা অব্যাহত আছে।