সবার স্বার্থ দেখেই বাজেট করা হচ্ছে : অর্থমন্ত্রী

দেশের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও ব্যবসায়ীসহ সবার স্বার্থ বিবেচনায় নিয়েই ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যই থাকবে দেশের মানুষকে বাঁচানো, ব্যবসায়ীদের বাঁচানো। সুতরাং সবার স্বার্থ দেখেই আমরা বাজেট করছি। আমাদের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষকে সঙ্গে রেখেই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

বাজেটে ব্যবসায়ীদের জন্য কোন সুখবর থাকবে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এসব বিষয়ের জন্য বাজেট ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যেসব তথ্য উপস্থাপিত হবে সেগুলো আমাদের সামনে চলে আসবে। আমরা এখনই কোন তথ্য ডিসক্লোজ করতে পারব না। সাধারণত আমরা বলতে পারি আমাদের লক্ষ্যই থাকবে দেশের মানুষকে বাঁচানো, ব্যবসায়ীদের বাঁচানো। সুতরাং সবার স্বার্থ দেখেই আমরা বাজেট করছি। আমাদের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষকে সঙ্গে রেখেই এগিয়ে যেতে চাই।

প্রকিউরমেন্ট রুল পরিবর্তনের বিষয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এ বিষয়গুলো আমরা দীর্ঘদিন ফলো করে আসছি। কোন সার্ভিস বা ম্যাটরিয়াল যদি আমরা প্রকিউর করি তার মধ্যে আমরা ১০ পার্সেন্ট প্লাস মাইনাস করতে পারি। আমরা মনে করি বিষয়টি আরও ভেবে দেখা দরকার। কারণ, টেন পার্সেন্ট প্লাস মাইনাস হলে এই কমপিটিটিভ এনভায়রনমেন্ট থাকে না, সবাই একই প্রাইজ করে। এটার ভালো দিকও আছে, খারাপ দিকও আছে। এটা যদি তুলে দেয়া হয়, তাহলে ৯০ পার্সেন্ট বা ১০০ পার্সেন্ট কম দেবে। দেখা গেলো এক পার্সেন্ট রাখবে। নইলে প্রাইজ যেটা হওয়া উচিত সেটা হয় না। সেজন্য এগুলো দেখা দরকার। এ কাজটি করার জন্য একটি কমিটি করে দিয়েছি। অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছি। তারা শীঘ্রই এ কাজটি সম্পন্ন করবে এবং কমিটির কাছে নিয়ে আসবে, আরও আলাপ আলোচনার জন্য।

শ্রীলঙ্কাকে ২০০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আগামী মিটিংয়ে আলোচনা করব। আমরা কত দিচ্ছি, আগামী মিটিংয়ে সেটা দেখব।

ভ্যাকসিনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, কোভিড-১৯ বিষয়ক কাজগুলোর মধ্যে যেগুলো মন্ত্রণালয় করতে পারে, সেগুলো তাদের দায়িত্ব দিয়ে দিয়েছি। আমরা অর্থনৈতিক সংক্রান্ত কমিটি সেটি অনুমোদন দিয়েছি। তারা নিজেরাই এগুলো করতে পারে।

শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১ , ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৫ শাওয়াল ১৪৪২

সবার স্বার্থ দেখেই বাজেট করা হচ্ছে : অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

দেশের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও ব্যবসায়ীসহ সবার স্বার্থ বিবেচনায় নিয়েই ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যই থাকবে দেশের মানুষকে বাঁচানো, ব্যবসায়ীদের বাঁচানো। সুতরাং সবার স্বার্থ দেখেই আমরা বাজেট করছি। আমাদের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষকে সঙ্গে রেখেই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

বাজেটে ব্যবসায়ীদের জন্য কোন সুখবর থাকবে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এসব বিষয়ের জন্য বাজেট ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যেসব তথ্য উপস্থাপিত হবে সেগুলো আমাদের সামনে চলে আসবে। আমরা এখনই কোন তথ্য ডিসক্লোজ করতে পারব না। সাধারণত আমরা বলতে পারি আমাদের লক্ষ্যই থাকবে দেশের মানুষকে বাঁচানো, ব্যবসায়ীদের বাঁচানো। সুতরাং সবার স্বার্থ দেখেই আমরা বাজেট করছি। আমাদের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষকে সঙ্গে রেখেই এগিয়ে যেতে চাই।

প্রকিউরমেন্ট রুল পরিবর্তনের বিষয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এ বিষয়গুলো আমরা দীর্ঘদিন ফলো করে আসছি। কোন সার্ভিস বা ম্যাটরিয়াল যদি আমরা প্রকিউর করি তার মধ্যে আমরা ১০ পার্সেন্ট প্লাস মাইনাস করতে পারি। আমরা মনে করি বিষয়টি আরও ভেবে দেখা দরকার। কারণ, টেন পার্সেন্ট প্লাস মাইনাস হলে এই কমপিটিটিভ এনভায়রনমেন্ট থাকে না, সবাই একই প্রাইজ করে। এটার ভালো দিকও আছে, খারাপ দিকও আছে। এটা যদি তুলে দেয়া হয়, তাহলে ৯০ পার্সেন্ট বা ১০০ পার্সেন্ট কম দেবে। দেখা গেলো এক পার্সেন্ট রাখবে। নইলে প্রাইজ যেটা হওয়া উচিত সেটা হয় না। সেজন্য এগুলো দেখা দরকার। এ কাজটি করার জন্য একটি কমিটি করে দিয়েছি। অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছি। তারা শীঘ্রই এ কাজটি সম্পন্ন করবে এবং কমিটির কাছে নিয়ে আসবে, আরও আলাপ আলোচনার জন্য।

শ্রীলঙ্কাকে ২০০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আগামী মিটিংয়ে আলোচনা করব। আমরা কত দিচ্ছি, আগামী মিটিংয়ে সেটা দেখব।

ভ্যাকসিনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, কোভিড-১৯ বিষয়ক কাজগুলোর মধ্যে যেগুলো মন্ত্রণালয় করতে পারে, সেগুলো তাদের দায়িত্ব দিয়ে দিয়েছি। আমরা অর্থনৈতিক সংক্রান্ত কমিটি সেটি অনুমোদন দিয়েছি। তারা নিজেরাই এগুলো করতে পারে।