সীমান্তে শিথিল স্বাস্থ্যবিধি কঠোর হোন

মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছে লালমনিরহাটের বুড়িমারি স্থলবন্দর। সরকারি নির্দেশ থাকার পরও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। ভারত ঘুরে যেসব বাংলাদেশি ট্রাক ড্রাইভার বন্দরে প্রবেশ করছেন, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশ থাকলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এতে বন্দরে কর্মরত কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষ, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকসহ স্থানীয়রা স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।

লালমনিরহাটের স্থলবন্দরে স্বাস্থ্যবিধি না মানার খবরটি উদ্বেগজনক। একই ধরনের খবর পাওয়া গেছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরেও। অথচ এসব বন্দর দিয়েই ভারত থেকে পণ্য আনা-নেয়ার কাজ হচ্ছে। স্থলবন্দরগুলো দিয়ে পরিবহনসংশ্লিষ্ট লোকজন ও সাধারণ যাত্রীদেরও আসা-যাওয়ার খবরও মিলেছে। সেখানে মানুষজন স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফলে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়ানোর আশঙ্কাও তৈরি হচ্ছে। ইতোমধ্যেই সীমান্তবর্তী সাত জেলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে যদি দ্রুত ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ে তাহলে তা মোকাবিলা করা বেশ কঠিন হয়ে পড়বে।

দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রোধে গত ২৬ এপ্রিল থেকে ১৪ দিনের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে রাখার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা এখনও বহাল আছে। তবে সরকারের এ ঘোষণা পর্যাপ্ত নয়। কারণ এ নির্দেশনা কড়াকড়িভাবে প্রয়োগ করা না গেলে তাতে কোন সুফল আসবে না। স্থলবন্দরগুলোতে যারা পণ্য আনা-নেয়ার কাজ করছে তাদের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বাধ্য করতে হবে। ভারত থেকে আসা ট্রাক ড্রাইভারদের কোয়োরেন্টিন নিশ্চিত করা জরুরি।

অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় নজরদারি বাড়াতে হবে। এসব জেলায় আক্রান্ত রোগীর নমুনা নিয়ে জিনোম সিকোয়েন্সিং করতে হবে। ভারতের ধরন শনাক্ত হলে মানসম্মত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে।

শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১ , ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৫ শাওয়াল ১৪৪২

সীমান্তে শিথিল স্বাস্থ্যবিধি কঠোর হোন

মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছে লালমনিরহাটের বুড়িমারি স্থলবন্দর। সরকারি নির্দেশ থাকার পরও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। ভারত ঘুরে যেসব বাংলাদেশি ট্রাক ড্রাইভার বন্দরে প্রবেশ করছেন, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশ থাকলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এতে বন্দরে কর্মরত কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষ, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকসহ স্থানীয়রা স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।

লালমনিরহাটের স্থলবন্দরে স্বাস্থ্যবিধি না মানার খবরটি উদ্বেগজনক। একই ধরনের খবর পাওয়া গেছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরেও। অথচ এসব বন্দর দিয়েই ভারত থেকে পণ্য আনা-নেয়ার কাজ হচ্ছে। স্থলবন্দরগুলো দিয়ে পরিবহনসংশ্লিষ্ট লোকজন ও সাধারণ যাত্রীদেরও আসা-যাওয়ার খবরও মিলেছে। সেখানে মানুষজন স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফলে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়ানোর আশঙ্কাও তৈরি হচ্ছে। ইতোমধ্যেই সীমান্তবর্তী সাত জেলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে যদি দ্রুত ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ে তাহলে তা মোকাবিলা করা বেশ কঠিন হয়ে পড়বে।

দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রোধে গত ২৬ এপ্রিল থেকে ১৪ দিনের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে রাখার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা এখনও বহাল আছে। তবে সরকারের এ ঘোষণা পর্যাপ্ত নয়। কারণ এ নির্দেশনা কড়াকড়িভাবে প্রয়োগ করা না গেলে তাতে কোন সুফল আসবে না। স্থলবন্দরগুলোতে যারা পণ্য আনা-নেয়ার কাজ করছে তাদের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বাধ্য করতে হবে। ভারত থেকে আসা ট্রাক ড্রাইভারদের কোয়োরেন্টিন নিশ্চিত করা জরুরি।

অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় নজরদারি বাড়াতে হবে। এসব জেলায় আক্রান্ত রোগীর নমুনা নিয়ে জিনোম সিকোয়েন্সিং করতে হবে। ভারতের ধরন শনাক্ত হলে মানসম্মত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে।