আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

গ্রেপ্তার ৬, বাসচালকের স্বীকারোক্তি, পাঁচজন ৩ দিনের রিমান্ডে

সাভারের আশুলিয়ায় গত শুক্রবার রাতে চলন্ত বাসে এক তরুণী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় বাসচালক, হেলপারসহ ছয়জনকে গেপ্তার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কুষ্টিয়ার তারাগুনা গ্রামের দৌলতপুর থানার মৃত আতিয়ারের ছেলে সাজু (২০), বগুড়ার খাটিয়ামারী গ্রামের ধুনট থানার সুলতান মিয়ার ছেলে সুমন (২৪), একই এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সোহাগ (২৫), নারায়ণগঞ্জের ধামঘর গ্রামের বন্দর থানার জহুর উদ্দিনের ছেলে মনোয়ার (২৪), বগুড়ার জিয়ানগর গ্রামের দুপচাচিয়া থানার সামছুলের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০) ও তুরাগ থানার গুলবাগের নজরুল ইসলামের ছেলে আরিয়ান (১৮ )।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বাসচালক সুমন (২৪)। অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে তিনদিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজিএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শাহাজাদী তাহমিদা গতকাল এই আদেশ দেন।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আশুলিয়া-সিঅ্যান্ডবি বাইপাস সড়কের গরুর হাট নামক স্থানে ধর্ষণের শিকার তরুণীর চিৎকারে টহল পুলিশ ওই ছয়জনকে আটক করে।

ভুক্তভোগী তরুণীর এজাহার থেকে জানা যায়, মানিকগঞ্জে বোনের বাসা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। রাত ৮টার দিকে আশুলিয়ার নবীনগন বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছান। তিনি নবীনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে নিউ গ্রামবাংলা মিনিবাসে (ঢাকা মেট্রো-জ-১১-১৬৪৮) টঙ্গীর স্টেশন রোডের উদ্দেশে রওনা হন। তবে বাসটি টঙ্গী না গিয়ে বাসের অন্য যাত্রীকে নামিয়ে দিয়ে ভুক্তভোগী তরুণীকে নিয়ে ফের নবীনগরের উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় পথে বাসের জানালা দরজা বন্ধ করে পালাক্রমে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণীর চিৎকারে টহল পুলিশ বাসটি থামিয়ে ওই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ছয় ব্যক্তিকে আটক করা হয়। ভুক্তভোগী তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে হেফাজতে নিয়ে তিনদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।

ছয় আসামিকে গতকাল ঢাকার আদালতে নিয়ে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পরিদর্শক জিয়াউল ইসলাম। তিনি পাঁচদিনের জন্য হেফাজতে রাখার আবেদন করলেও শুনানি শেষে মহানগর হাকিম শাহজাদী তাহমিদা ৩ দিন রিমান্ডের আদেশ দেন বলে আদালত পুলিশের কর্মকর্তা পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন। এছাড়া মামলার আসামি সুমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।

রবিবার, ৩০ মে ২০২১ , ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৭ শাওয়াল ১৪৪২

আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

গ্রেপ্তার ৬, বাসচালকের স্বীকারোক্তি, পাঁচজন ৩ দিনের রিমান্ডে

প্রতিনিধি, সাভার (ঢাকা)

সাভারের আশুলিয়ায় গত শুক্রবার রাতে চলন্ত বাসে এক তরুণী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় বাসচালক, হেলপারসহ ছয়জনকে গেপ্তার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কুষ্টিয়ার তারাগুনা গ্রামের দৌলতপুর থানার মৃত আতিয়ারের ছেলে সাজু (২০), বগুড়ার খাটিয়ামারী গ্রামের ধুনট থানার সুলতান মিয়ার ছেলে সুমন (২৪), একই এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সোহাগ (২৫), নারায়ণগঞ্জের ধামঘর গ্রামের বন্দর থানার জহুর উদ্দিনের ছেলে মনোয়ার (২৪), বগুড়ার জিয়ানগর গ্রামের দুপচাচিয়া থানার সামছুলের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০) ও তুরাগ থানার গুলবাগের নজরুল ইসলামের ছেলে আরিয়ান (১৮ )।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বাসচালক সুমন (২৪)। অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে তিনদিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজিএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শাহাজাদী তাহমিদা গতকাল এই আদেশ দেন।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আশুলিয়া-সিঅ্যান্ডবি বাইপাস সড়কের গরুর হাট নামক স্থানে ধর্ষণের শিকার তরুণীর চিৎকারে টহল পুলিশ ওই ছয়জনকে আটক করে।

ভুক্তভোগী তরুণীর এজাহার থেকে জানা যায়, মানিকগঞ্জে বোনের বাসা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। রাত ৮টার দিকে আশুলিয়ার নবীনগন বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছান। তিনি নবীনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে নিউ গ্রামবাংলা মিনিবাসে (ঢাকা মেট্রো-জ-১১-১৬৪৮) টঙ্গীর স্টেশন রোডের উদ্দেশে রওনা হন। তবে বাসটি টঙ্গী না গিয়ে বাসের অন্য যাত্রীকে নামিয়ে দিয়ে ভুক্তভোগী তরুণীকে নিয়ে ফের নবীনগরের উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় পথে বাসের জানালা দরজা বন্ধ করে পালাক্রমে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণীর চিৎকারে টহল পুলিশ বাসটি থামিয়ে ওই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ছয় ব্যক্তিকে আটক করা হয়। ভুক্তভোগী তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে হেফাজতে নিয়ে তিনদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।

ছয় আসামিকে গতকাল ঢাকার আদালতে নিয়ে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পরিদর্শক জিয়াউল ইসলাম। তিনি পাঁচদিনের জন্য হেফাজতে রাখার আবেদন করলেও শুনানি শেষে মহানগর হাকিম শাহজাদী তাহমিদা ৩ দিন রিমান্ডের আদেশ দেন বলে আদালত পুলিশের কর্মকর্তা পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন। এছাড়া মামলার আসামি সুমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।