রংপুরে গোপনে গোসলের ভিডিও ধারণ ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

রংপুর নগরীর তাজহাট চকবাজার আশরতপুরে গোপনে এক স্কুলছাত্রীর গোসলের ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সীমান্ত ইসলাম সোহেল (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের তাজহাট থানার ওসি আখতারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল দুপুরে ধর্র্ষিতা স্কুলছাত্রী রংপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে রংপুর নগরীর কলেজিয়েট স্কুলের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্র্র্থী কিশোরীর মামাতো ভাই সীমান্ত ইসলাম সোহেল গোপনে মোবাইল ফোনে মেয়োটির গোসলের ভিডিও ধারণ করে। পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে কয়েকবার ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত ১৯ মে আবারও মেয়েটিকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে স্থানীয় চকবাজার আশরতপুর এলাকার একটি বেসরকারি মেসে নিয়ে গিয়ে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে সীমান্ত ইসলাম সোহেল। এর পরদিন মেয়েটি বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে ঢাকায় এক আত্মীয়র বাসায় চলে যায়। পরে গত ২৭ মে সে বাড়িতে ফিরে আসে। এ নিয়ে পরিবারের লোকজন তাকে জিজ্ঞেস করলে সে ধর্ষণের বিষয়টি তার স্বজনদের জানায়।

এ ঘটনায় ধর্ষিতা মেয়েটির বাবা সেলিম মিয়া বাদী হয়ে গত শুক্রবার ২৮ মে তাজহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর শুক্রবার রাতেই অভিযুক্ত সীমান্ত ইসলাম সোহেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই সুলতানা খাতুন জানান, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গতকাল সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে নেয়া হয়, সেখানে তার পরীক্ষা শেষে দুপুরে রংপুরের জুডশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে।

জবানবন্দিতে তার ওপর পাশবিক নির্যাতনের বিস্তারিত বিষয় আদালতকে জানিয়েছে বলে জানান তিনি। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে ভিকটিমকে তার বাবা-মার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে তাজহাট থানার ওসি আখতারুজ্জামান প্রধান জানান, ধর্ষক সীমান্ত ইসলাম সোহেলের বাবার নাম শহিদুল ইসলাম কবিরাজ। আসামি রংপুর ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণীর ছাত্র। সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তাকে গতকাল বিকেলে আদালতে সোপর্দ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রবিবার, ৩০ মে ২০২১ , ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৭ শাওয়াল ১৪৪২

রংপুরে গোপনে গোসলের ভিডিও ধারণ ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

নিজস্ব বার্র্তা পরিবেশক, রংপুর

রংপুর নগরীর তাজহাট চকবাজার আশরতপুরে গোপনে এক স্কুলছাত্রীর গোসলের ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সীমান্ত ইসলাম সোহেল (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের তাজহাট থানার ওসি আখতারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল দুপুরে ধর্র্ষিতা স্কুলছাত্রী রংপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে রংপুর নগরীর কলেজিয়েট স্কুলের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্র্র্থী কিশোরীর মামাতো ভাই সীমান্ত ইসলাম সোহেল গোপনে মোবাইল ফোনে মেয়োটির গোসলের ভিডিও ধারণ করে। পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে কয়েকবার ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত ১৯ মে আবারও মেয়েটিকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে স্থানীয় চকবাজার আশরতপুর এলাকার একটি বেসরকারি মেসে নিয়ে গিয়ে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে সীমান্ত ইসলাম সোহেল। এর পরদিন মেয়েটি বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে ঢাকায় এক আত্মীয়র বাসায় চলে যায়। পরে গত ২৭ মে সে বাড়িতে ফিরে আসে। এ নিয়ে পরিবারের লোকজন তাকে জিজ্ঞেস করলে সে ধর্ষণের বিষয়টি তার স্বজনদের জানায়।

এ ঘটনায় ধর্ষিতা মেয়েটির বাবা সেলিম মিয়া বাদী হয়ে গত শুক্রবার ২৮ মে তাজহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর শুক্রবার রাতেই অভিযুক্ত সীমান্ত ইসলাম সোহেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই সুলতানা খাতুন জানান, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গতকাল সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে নেয়া হয়, সেখানে তার পরীক্ষা শেষে দুপুরে রংপুরের জুডশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে।

জবানবন্দিতে তার ওপর পাশবিক নির্যাতনের বিস্তারিত বিষয় আদালতকে জানিয়েছে বলে জানান তিনি। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে ভিকটিমকে তার বাবা-মার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে তাজহাট থানার ওসি আখতারুজ্জামান প্রধান জানান, ধর্ষক সীমান্ত ইসলাম সোহেলের বাবার নাম শহিদুল ইসলাম কবিরাজ। আসামি রংপুর ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণীর ছাত্র। সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তাকে গতকাল বিকেলে আদালতে সোপর্দ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।