চট্টগ্রামের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ চান বিশিষ্টজনরা

আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে চট্টগ্রামের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ চান চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। আগামী বাজেটে চট্টগ্রামবাসীর প্রত্যাশা নিয়ে সংবাদ কথা বলেছে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতা, শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে।

চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (সিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম আগামী বাজেটে চট্টগ্রামবাসীর প্রত্যাশার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, কর্ণফুলী টানেল, ডিপসি পোর্টসহ মেগা প্রকল্পগুলো যাতে যথাসময়ে শেষ হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেয়া এবং এসব প্রকল্পে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ আগামী বাজেটে দিতে হবে। তিনি বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল যাতে দ্রুত হয়, সেজন্য প্রয়োজন বিশেষ বরাদ্দ। চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনেরও সভাপতি। তার মতে, করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনীতির ভিত রক্ষায় আগামী বাজেটে ব্যবসাবান্ধব উদ্যোগ বাড়াতে হবে। এজন্য করপোরেট ট্যাক্স কমানো দরকার। পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে ব্যবসাবান্ধব উদ্যোগ প্রয়োজন। তার মতে, টার্নওভার ট্যাক্স ২০০৬-এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী কার্যকর হওয়া উচিত। টার্নওভার বেশি হলেও প্রফিট হচ্ছে না। তিনি বলেন, কোন শিল্পোদ্যোক্তার ১০টি প্রতিষ্ঠান যদি থাকে, এর মধ্যে একটি ঋণখেলাপি হলেও বাকিগুলো তো যাতে ঝুঁকিতে না পড়ে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। নয়ত অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা থাকে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান বাঁচাতে অনুকূল পরিবেশ এখনও গড়ে না উঠায় বড় শিল্প পরিবারগুলোরও পথে বসার নজির রয়েছে। করোনার শুরু থেকে বিশেষ প্রণোদনার উদ্যোগ নেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রণোদনার ধারাবাহিকতা চান সিসিসিআই সভাপতি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীন আকতার বলেন, করোনায় সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এমন উদ্যোগ প্রয়োজন, যাতে এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠা সম্ভব হয়। ভবিষ্যৎ নীতিনির্ধারকরা যাতে সত্যিকারের শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হন, সে লক্ষ্যে এবারের বাজেটে বেশি অর্থ বরাদ্দ করা উচিত। চবি উপাচার্য বলেন, একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে আমি চাইব, শিক্ষা খাতে বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হোক। বিশেষ প্রণোদনা দেয়া না হলে শিক্ষা খাতের ক্ষতি পোষানো সম্ভব হবে না।

টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আবদুল মান্নান বলেন, করোনাভাইরাসের থাবায় গত বছর থেকে বিপর্যস্ত হয়ে আছে অর্থনীতি। রপ্তানি আয় কমেছে, আমদানিও হ্রাস পেয়েছে। ব্যবসায়ী-কর্মচারীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ব্যবসায়ীরা যে ঋণ ২০২০ এ নিয়েছিল তা শোধ করার আগেই আবার ঋণে জর্জরিত হতে হয় ২০২১ এ। এ ক্ষতি পোষাতে ব্যবসায়ীদের ঋণের সুদ কমাতে হবে, ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখতে হবে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা যাতে প্রণোদনা পায় তা বিবেচনায় রাখতে হবে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা সুদমুক্ত, ভ্যাটের জন্য হয়রানি না হয় তা বাজেটের মাধ্যমে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ইমপেরিয়াল হাসপাতালের একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর ডা. একেএম. আরিফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেয়া উচিত। বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। উন্নয়ন বাজেটে উপজেলয় ও জেলায় টারসিয়ারি কেয়ার হাসপাতাল বাড়ানোর জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা উচিত। এছাড়া করোনা অতিমারী পরিস্থিতিতে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটসহ আর একটি বিশেষ বাজেটের ব্যবস্থা করা উচিত। অন্যদিকে অনুজীব বিজ্ঞান, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ রক্ষা খাত ও এসব বিষয়ে গবেষণায় অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো উচিত।

জার্মান ইনস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভ এনার্জি’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি করোনাযোদ্ধা প্রকৌশলী জ্যোতির্ময় ধর বলেন, করোনার কারণে সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও নতুন করে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেছে, তাই সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি অনেক জোরদার করতে হবে। করোনা আমাদের চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দৈন্যদশা ফুটিয়ে তুলেছে। তাই এবারের বাজেটের মাধ্যমে শুধু কোভিড মোকাবিলা নয়, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার সমাধান জরুরি। করোনায় স্বাস্থ্য খাতের সঙ্গে সঙ্গে অন্য খাতও বিপর্যস্ত। তাই বাজেটও সেই বিষয়গুলো মাথায় রেখেই করতে হবে। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রাম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আকতার কবির বলেন, বিলাসী নয়, করোনা বাস্তবতা বিবেচনাই মুখ্য। বিলাসী বাজেট নয়, করোনা বাস্তবতায় কর্মসংস্থানমুখী বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান খাতে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কেননা করোনার কারণে সেখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। তিনি বলেন, করোনার কারণে লাখ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়েছেন। প্রবাসী শ্রমিকরা অনেকেই দেশে ফিরে এসেছেন। এদের জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখতে শ্রমনির্ভর উদ্যোগে বিনিয়োগের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে, ভর্তুকি দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে প্রযুক্তিসামগ্রী, শিক্ষা সহায়ক সরঞ্জাম প্রদান করতে হবে।

রবিবার, ৩০ মে ২০২১ , ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৭ শাওয়াল ১৪৪২

চট্টগ্রামের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ চান বিশিষ্টজনরা

নিরুপম দাশগুপ্ত, চট্টগ্রাম

image

আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে চট্টগ্রামের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ চান চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। আগামী বাজেটে চট্টগ্রামবাসীর প্রত্যাশা নিয়ে সংবাদ কথা বলেছে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতা, শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে।

চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (সিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম আগামী বাজেটে চট্টগ্রামবাসীর প্রত্যাশার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, কর্ণফুলী টানেল, ডিপসি পোর্টসহ মেগা প্রকল্পগুলো যাতে যথাসময়ে শেষ হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেয়া এবং এসব প্রকল্পে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ আগামী বাজেটে দিতে হবে। তিনি বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল যাতে দ্রুত হয়, সেজন্য প্রয়োজন বিশেষ বরাদ্দ। চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনেরও সভাপতি। তার মতে, করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনীতির ভিত রক্ষায় আগামী বাজেটে ব্যবসাবান্ধব উদ্যোগ বাড়াতে হবে। এজন্য করপোরেট ট্যাক্স কমানো দরকার। পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে ব্যবসাবান্ধব উদ্যোগ প্রয়োজন। তার মতে, টার্নওভার ট্যাক্স ২০০৬-এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী কার্যকর হওয়া উচিত। টার্নওভার বেশি হলেও প্রফিট হচ্ছে না। তিনি বলেন, কোন শিল্পোদ্যোক্তার ১০টি প্রতিষ্ঠান যদি থাকে, এর মধ্যে একটি ঋণখেলাপি হলেও বাকিগুলো তো যাতে ঝুঁকিতে না পড়ে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। নয়ত অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা থাকে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান বাঁচাতে অনুকূল পরিবেশ এখনও গড়ে না উঠায় বড় শিল্প পরিবারগুলোরও পথে বসার নজির রয়েছে। করোনার শুরু থেকে বিশেষ প্রণোদনার উদ্যোগ নেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রণোদনার ধারাবাহিকতা চান সিসিসিআই সভাপতি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীন আকতার বলেন, করোনায় সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এমন উদ্যোগ প্রয়োজন, যাতে এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠা সম্ভব হয়। ভবিষ্যৎ নীতিনির্ধারকরা যাতে সত্যিকারের শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হন, সে লক্ষ্যে এবারের বাজেটে বেশি অর্থ বরাদ্দ করা উচিত। চবি উপাচার্য বলেন, একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে আমি চাইব, শিক্ষা খাতে বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হোক। বিশেষ প্রণোদনা দেয়া না হলে শিক্ষা খাতের ক্ষতি পোষানো সম্ভব হবে না।

টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আবদুল মান্নান বলেন, করোনাভাইরাসের থাবায় গত বছর থেকে বিপর্যস্ত হয়ে আছে অর্থনীতি। রপ্তানি আয় কমেছে, আমদানিও হ্রাস পেয়েছে। ব্যবসায়ী-কর্মচারীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ব্যবসায়ীরা যে ঋণ ২০২০ এ নিয়েছিল তা শোধ করার আগেই আবার ঋণে জর্জরিত হতে হয় ২০২১ এ। এ ক্ষতি পোষাতে ব্যবসায়ীদের ঋণের সুদ কমাতে হবে, ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখতে হবে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা যাতে প্রণোদনা পায় তা বিবেচনায় রাখতে হবে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা সুদমুক্ত, ভ্যাটের জন্য হয়রানি না হয় তা বাজেটের মাধ্যমে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ইমপেরিয়াল হাসপাতালের একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর ডা. একেএম. আরিফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেয়া উচিত। বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। উন্নয়ন বাজেটে উপজেলয় ও জেলায় টারসিয়ারি কেয়ার হাসপাতাল বাড়ানোর জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা উচিত। এছাড়া করোনা অতিমারী পরিস্থিতিতে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটসহ আর একটি বিশেষ বাজেটের ব্যবস্থা করা উচিত। অন্যদিকে অনুজীব বিজ্ঞান, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ রক্ষা খাত ও এসব বিষয়ে গবেষণায় অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো উচিত।

জার্মান ইনস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভ এনার্জি’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি করোনাযোদ্ধা প্রকৌশলী জ্যোতির্ময় ধর বলেন, করোনার কারণে সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও নতুন করে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেছে, তাই সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি অনেক জোরদার করতে হবে। করোনা আমাদের চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দৈন্যদশা ফুটিয়ে তুলেছে। তাই এবারের বাজেটের মাধ্যমে শুধু কোভিড মোকাবিলা নয়, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার সমাধান জরুরি। করোনায় স্বাস্থ্য খাতের সঙ্গে সঙ্গে অন্য খাতও বিপর্যস্ত। তাই বাজেটও সেই বিষয়গুলো মাথায় রেখেই করতে হবে। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রাম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আকতার কবির বলেন, বিলাসী নয়, করোনা বাস্তবতা বিবেচনাই মুখ্য। বিলাসী বাজেট নয়, করোনা বাস্তবতায় কর্মসংস্থানমুখী বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান খাতে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কেননা করোনার কারণে সেখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। তিনি বলেন, করোনার কারণে লাখ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়েছেন। প্রবাসী শ্রমিকরা অনেকেই দেশে ফিরে এসেছেন। এদের জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখতে শ্রমনির্ভর উদ্যোগে বিনিয়োগের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে, ভর্তুকি দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে প্রযুক্তিসামগ্রী, শিক্ষা সহায়ক সরঞ্জাম প্রদান করতে হবে।