চিঠিপত্র : এমন মৃত্যু চাই না

এমন মৃত্যু চাই না

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান।

ঈদের পরের দিন শনিবার সকালে হাফিজুর রহমান তার নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেদিন সন্ধ্যায় মা তার সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলেছেন। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যথারীতি থানায় অভিযোগও করা হয়।

নিখোঁজের আট দিন পর গত ২৩ মে হাফিজুর রহমানের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়। ঈদের পরের দিন (১৫ মে) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা থেকে পুলিশ তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

দুঃখজনক হলো, বেশ কদিন তার লাশ ‘অজ্ঞাতনামা’ পরিচয়ে হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল। হাফিজুর রহমানের রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়টা বাদ দিলাম। হত্যা নাকি আত্মহত্যা- সেই বিতর্কও বাদ দিলাম। তবুও, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ঘটনার দায় কিভাবে এড়াতে পারে? বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস থেকেই নিখোঁজ হয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকাতেই তাকে পাওয়া গেল। আর সেটা যে হাফিজুর রহমানের লাশ, এটা শনাক্ত করতে ৯ দিন চলে গেল!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দিনদিন শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ ছাত্রদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাওয়া শিক্ষার্থীর লাশ ‘অজ্ঞাতনামা’ পরিচয়ে দিনের পর দিন মর্গে থাকছে। অথচ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চুপ। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ। আমরা এ ধরণের দায়িত্বহীনতা আর দেখতে চাই না। এমন মৃত্যুও আর চাই না।

শেখ শাকিল হোসেন

শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে

নতুন প্রজন্মের বিশাল একটি অংশ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। এই হতাশার বিভিন্ন কারণ থাকলেও মূলত আর্থিক সংকটটাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রধান হয়ে দাড়ায়। দেশে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। আসন্ন বাজেট পরিকল্পনামাফিক তৈরি করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ এবং বেকারভাতার সৃষ্টির মাধ্যমে যুবসমাজকে হতাশা থেকে উত্তরণ করা সম্ভব। আবার দুঃখজনক হলেও সত্য, দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষার্থীদের মানসিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ কোন সেল নেই। থাকলেও কার্যকারিতা নেই। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দৃষ্টি দিতে হবে।

আব্দুর রউফ

আরও খবর

রবিবার, ৩০ মে ২০২১ , ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৭ শাওয়াল ১৪৪২

চিঠিপত্র : এমন মৃত্যু চাই না

এমন মৃত্যু চাই না

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান।

ঈদের পরের দিন শনিবার সকালে হাফিজুর রহমান তার নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেদিন সন্ধ্যায় মা তার সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলেছেন। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যথারীতি থানায় অভিযোগও করা হয়।

নিখোঁজের আট দিন পর গত ২৩ মে হাফিজুর রহমানের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়। ঈদের পরের দিন (১৫ মে) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা থেকে পুলিশ তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

দুঃখজনক হলো, বেশ কদিন তার লাশ ‘অজ্ঞাতনামা’ পরিচয়ে হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল। হাফিজুর রহমানের রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়টা বাদ দিলাম। হত্যা নাকি আত্মহত্যা- সেই বিতর্কও বাদ দিলাম। তবুও, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ঘটনার দায় কিভাবে এড়াতে পারে? বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস থেকেই নিখোঁজ হয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকাতেই তাকে পাওয়া গেল। আর সেটা যে হাফিজুর রহমানের লাশ, এটা শনাক্ত করতে ৯ দিন চলে গেল!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দিনদিন শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ ছাত্রদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাওয়া শিক্ষার্থীর লাশ ‘অজ্ঞাতনামা’ পরিচয়ে দিনের পর দিন মর্গে থাকছে। অথচ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চুপ। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ। আমরা এ ধরণের দায়িত্বহীনতা আর দেখতে চাই না। এমন মৃত্যুও আর চাই না।

শেখ শাকিল হোসেন

শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে

নতুন প্রজন্মের বিশাল একটি অংশ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। এই হতাশার বিভিন্ন কারণ থাকলেও মূলত আর্থিক সংকটটাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রধান হয়ে দাড়ায়। দেশে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। আসন্ন বাজেট পরিকল্পনামাফিক তৈরি করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ এবং বেকারভাতার সৃষ্টির মাধ্যমে যুবসমাজকে হতাশা থেকে উত্তরণ করা সম্ভব। আবার দুঃখজনক হলেও সত্য, দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষার্থীদের মানসিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ কোন সেল নেই। থাকলেও কার্যকারিতা নেই। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দৃষ্টি দিতে হবে।

আব্দুর রউফ