নোয়াখালীর চাটখিলে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার ২নং রামনারায়নপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের ধোয়া বাড়ির বাগানে এক কিশোরেকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের নাটক সাজিয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে মিথ্যা প্রচারণা করে ফেঁসে গেলেন ৩ কিশোর। এই ব্যাপারে চাটখিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
জানা যায়, ভুক্তভোগী ইসমাইল হোসেন (৩৫) বাদী হয়ে চাটখিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ ফেসবুকে ছবি দেখে তাৎক্ষণিক বিষয়টি তদন্ত করে জানতে পারে ঘটনাটি সাজানো । মিরাজের মায়ের সঙ্গে তার ফুফুর পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এতে মিরাজের সঙ্গে তার ছোট চাচা ইব্রাহীমের হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে চাচা মিরাজকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এই সুযোগে শুক্রবার সন্ধ্যায় মো.রাফি (১৭) ও মো.জিহাদ (১৫) -এর যোগসাজশে মিরাজ তাকে পার্শ্ববর্তী ধোয়া বাড়ির বাগানের সুপারি গাছের সঙ্গে পেছনের দিকে দুই হাত রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের নাটক সাজায়। তারপর নির্যাতনে সাজানো ছবি তুলে চাচাদের কে জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট দেয়।
পুলিশ মামলা সূত্র ধরে শুক্রবার দিবাগত রাতে মামলার প্রধান আসামি মো.মিরাজ হোসেন (১৬) কে আটক করে।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম জানান, পুলিশ তদন্তে মিরাজের সাজানো নাটকের সত্যতা পাওয়া মিরাজকে আটক করছে এবং আটককৃত মিরাজকে গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী জেলা বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া অন্য আসামিদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে।
সোমবার, ৩১ মে ২০২১ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৮ শাওয়াল ১৪৪২
প্রতিনিধি, চাটখিল (নোয়াখালী)
নোয়াখালীর চাটখিলে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার ২নং রামনারায়নপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের ধোয়া বাড়ির বাগানে এক কিশোরেকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের নাটক সাজিয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে মিথ্যা প্রচারণা করে ফেঁসে গেলেন ৩ কিশোর। এই ব্যাপারে চাটখিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
জানা যায়, ভুক্তভোগী ইসমাইল হোসেন (৩৫) বাদী হয়ে চাটখিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ ফেসবুকে ছবি দেখে তাৎক্ষণিক বিষয়টি তদন্ত করে জানতে পারে ঘটনাটি সাজানো । মিরাজের মায়ের সঙ্গে তার ফুফুর পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এতে মিরাজের সঙ্গে তার ছোট চাচা ইব্রাহীমের হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে চাচা মিরাজকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এই সুযোগে শুক্রবার সন্ধ্যায় মো.রাফি (১৭) ও মো.জিহাদ (১৫) -এর যোগসাজশে মিরাজ তাকে পার্শ্ববর্তী ধোয়া বাড়ির বাগানের সুপারি গাছের সঙ্গে পেছনের দিকে দুই হাত রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের নাটক সাজায়। তারপর নির্যাতনে সাজানো ছবি তুলে চাচাদের কে জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট দেয়।
পুলিশ মামলা সূত্র ধরে শুক্রবার দিবাগত রাতে মামলার প্রধান আসামি মো.মিরাজ হোসেন (১৬) কে আটক করে।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম জানান, পুলিশ তদন্তে মিরাজের সাজানো নাটকের সত্যতা পাওয়া মিরাজকে আটক করছে এবং আটককৃত মিরাজকে গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী জেলা বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া অন্য আসামিদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে।