পাঁচ ভবন বন্ধ রাখার নির্দেশ

ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে সিলেট। যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত শনিবার সাড়ে চার ঘণ্টার ব্যবধানে পাঁচবার কম্পনের পর গতকাল ভোরে ফের ভূমিকম্পের কারণে সর্বত্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে বাসবাড়ি ছেড়ে গ্রামে বা কোন টিনসেড ঘরে চলে যাচ্ছেন। ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষায় সিলেট সিটি করপোরেশনের নেতৃত্বে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ অন্তত পাঁচটি ভবন দশদিন বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

গত শনিবার সকালে প্রথম দফা অনুভূত হয় ১০টা ৩৬ মিনিটে। ভূমিকম্পের সময় অনেককেই কর্মস্থল থেকে বের হয়ে খোলা স্থান ও সড়কে চলে আসতে দেখা যায়। এর রেশ কাটতে না কাটতেই ১০টা ৫১ মিনিটে, বেলা সাড়ে ১১টা ও ১১টা ৩৪ মিনিটে আবারও মৃদু ঝাঁকুনি অনুভূত হয় সিলেট অঞ্চলে। সবশেষ বড় ঝাঁকুনি অনুভূত হয় বেলা ২টায়। তবে অনেকেই পাঁচবার ভূমিকম্প হয়েছে বলে দাবি করলেও সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চারবার ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্পগুলোর উৎপত্তিস্থল সিলেটের জৈন্তায়। এখানে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। সবশেষ বেলা ২টায় আরেক দফা ভূমিকম্প হয়। অবশ্য এর আগের দিন শুক্রবার সিলেটের অদূরে ভারতের আসাম রাজ্যে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। আর এই সিলেট অঞ্চম ভূমিকম্পের জন্য এক নম্বর জোন হিসেবে চিহ্নত করা আছে।

এদিকে, ভোরে ভূমিকম্প হওয়ায় ঘুমের কারণে অনেকেই টের পাননি। যারা টের পেয়েছেন তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। অনেকে বহুতল বাসা-বাড়ি থেকে নিচে নেমে আসেন। আগের দিন পাঁচবার ভূমিকম্প হওয়ায় এই ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্কটা ছিল একটু বেশি।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চল আগে থেকেই ঝুঁকিতে আছে। এই অঞ্চলে অতীতে তিনবার বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার ইতিহাস আছে। এর মধ্যে একটি হয়েছিল ১৮৬৯ সালে সিলেট অঞ্চলের আসামের কাছার এলাকায়। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬। তিনি বলেন, ছোট ছোট ভূমিকম্প হওয়ায় সেটি নাড়াচাড়া দিতে পারে। ছোট ছোট ভূমিকম্পের কারণে বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে।

গত শনিবার সিলেটের জৈন্তাপুরে এবং জগন্নাথপুরে ছোট মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। তিনি এও বলেন, যেভাবে ভবন হচ্ছে, সেখানে যদি বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়, তাহলে প্রস্তুতির অভাবে ভবন ধসে অনেক মানুষ হতাহত হওয়ার আশঙ্কা আছে। স্থানীয় সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে বাসাবাড়িগুলো ভূমিকম্পসহনীয় কিনা, সেটি দেখে সনদের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক জহির বিন আলম জানান, পর পর এতবার ভূমিকম্প সিলেট অঞ্চলের জন্য অশনিসংকেত। আগামী সাত থেকে দশদিন নগরবাসীকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।

আমাদের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম আফরান তার কাছে জানতে চেয়েছিলেন কেন সিলেটে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয়- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিলেট সাধারণত আর্থ কুইক জোন। আগে একদিনে দুইবার ভূমিকম্প দেখেছি। কিন্তু আজকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ৭/৮ বার হয়েছে। এটা অদূর ভবিষ্যতে সিলেটে বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে- এমন ইন্ডিকেশন। আগামী ৭-১০ দিন সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে কেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কারণ আজকে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয়েছে। এর সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৪.১। এটা অদূর ভবিষ্যতে সিলেটে বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার ইন্ডিকেশন।

তিনি বলেন, ১৯১৮ সালে সিলেটে বড় ভূমিকম্প হওয়ার আগে অনেকগুলো ছোট মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। কিন্তু ১৮৯৭ সালে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার আগে এমনটা হয়নি। আজকের ভূমিকম্পের সঙ্গে ওই সময়ের ভূমিকম্পের রিলেশন করা যাবে না। কারণ ভূমিকম্প প্রত্যেক সময়েই হচ্ছে। ১-২ মাত্রার হলে টের পাওয়া যায় না। এটা ২, ৩, ৪ মাত্রার হলে এর তীব্রতা টের পাই। ৫ মাত্রা হলে তীব্রতা আরও বেশি হয়। কিন্তু সিলেটে ১০-১২ বছরে যত ভবন নির্মাণ হয়ছে তা এতটা সহনীয় না। সিলেটে গ্যাস লাইন রয়েছে। গ্যাস লাইন লিকেজ হলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আমরা ইতোমধ্যে মেয়রের সঙ্গে বসেছি। তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন। সবাইকে নির্দেশনা মানতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে।

২০১৯ সালে সার্ভে করে নগরীর ২২টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, ২০১৯ সালে নগরীর ২২টি বহুতল ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ভবনগুলো হচ্ছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উত্তর পাশের কালেক্টরেট ভবন-৩, জেলরোডস্থ সমবায় ব্যাংক ভবন, একই এলাকায় মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার সাবেক কার্যালয় ভবন, সুরমা মার্কেট, বন্দরবাজারস্থ সিটি সুপার মার্কেট, জিন্দাবাজারের মিতালি ম্যানশন, দরগাগেইটের হোটেল আজমীর, বন্দরবাজারের মধুবন সুপার মার্কেট, টিলাগড় কালাশীলের মান্নান ভিউ, শেখঘাট শুভেচ্ছা-২২৬ নম্বর ভবন, যতরপুরের নবপুষ্প ২৬/এ বাসা, চৌকিদেখির ৫১/৩ সরকার ভবন, জিন্দাবাজারের রাজাম্যানশন, পুরানলেনের ৪/এ কিবরিয়া লজ, খারপাড়ার মিতালি-৭৪, মির্জাজাঙ্গাল মেঘনা এ-৩৯/২, পাঠানটুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর বাগবাড়ির একতা ৩৭৭/৭ ওয়ারিছ মঞ্জিল, একই এলাকার একতা ৩৭৭/৮ হোসেইন মঞ্জিল, একতা-৩৭৭/৯ শাহনাজ রিয়াজ ভিলা, বনকলাপাড়া নূরানী-১৪, ধোপাদিঘীর দক্ষিণ পাড়ের পৌরবিপণি মার্কেট ও ধোপাদিঘীরপাড়ের পৌর শপিং সেন্টার।

সোমবার, ৩১ মে ২০২১ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৮ শাওয়াল ১৪৪২

সিলেটে ফের ভূমিকম্প

পাঁচ ভবন বন্ধ রাখার নির্দেশ

আকাশ চৌধুরী, সিলেট

ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে সিলেট। যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত শনিবার সাড়ে চার ঘণ্টার ব্যবধানে পাঁচবার কম্পনের পর গতকাল ভোরে ফের ভূমিকম্পের কারণে সর্বত্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে বাসবাড়ি ছেড়ে গ্রামে বা কোন টিনসেড ঘরে চলে যাচ্ছেন। ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষায় সিলেট সিটি করপোরেশনের নেতৃত্বে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ অন্তত পাঁচটি ভবন দশদিন বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

গত শনিবার সকালে প্রথম দফা অনুভূত হয় ১০টা ৩৬ মিনিটে। ভূমিকম্পের সময় অনেককেই কর্মস্থল থেকে বের হয়ে খোলা স্থান ও সড়কে চলে আসতে দেখা যায়। এর রেশ কাটতে না কাটতেই ১০টা ৫১ মিনিটে, বেলা সাড়ে ১১টা ও ১১টা ৩৪ মিনিটে আবারও মৃদু ঝাঁকুনি অনুভূত হয় সিলেট অঞ্চলে। সবশেষ বড় ঝাঁকুনি অনুভূত হয় বেলা ২টায়। তবে অনেকেই পাঁচবার ভূমিকম্প হয়েছে বলে দাবি করলেও সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চারবার ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্পগুলোর উৎপত্তিস্থল সিলেটের জৈন্তায়। এখানে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। সবশেষ বেলা ২টায় আরেক দফা ভূমিকম্প হয়। অবশ্য এর আগের দিন শুক্রবার সিলেটের অদূরে ভারতের আসাম রাজ্যে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। আর এই সিলেট অঞ্চম ভূমিকম্পের জন্য এক নম্বর জোন হিসেবে চিহ্নত করা আছে।

এদিকে, ভোরে ভূমিকম্প হওয়ায় ঘুমের কারণে অনেকেই টের পাননি। যারা টের পেয়েছেন তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। অনেকে বহুতল বাসা-বাড়ি থেকে নিচে নেমে আসেন। আগের দিন পাঁচবার ভূমিকম্প হওয়ায় এই ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্কটা ছিল একটু বেশি।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চল আগে থেকেই ঝুঁকিতে আছে। এই অঞ্চলে অতীতে তিনবার বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার ইতিহাস আছে। এর মধ্যে একটি হয়েছিল ১৮৬৯ সালে সিলেট অঞ্চলের আসামের কাছার এলাকায়। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬। তিনি বলেন, ছোট ছোট ভূমিকম্প হওয়ায় সেটি নাড়াচাড়া দিতে পারে। ছোট ছোট ভূমিকম্পের কারণে বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে।

গত শনিবার সিলেটের জৈন্তাপুরে এবং জগন্নাথপুরে ছোট মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। তিনি এও বলেন, যেভাবে ভবন হচ্ছে, সেখানে যদি বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়, তাহলে প্রস্তুতির অভাবে ভবন ধসে অনেক মানুষ হতাহত হওয়ার আশঙ্কা আছে। স্থানীয় সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে বাসাবাড়িগুলো ভূমিকম্পসহনীয় কিনা, সেটি দেখে সনদের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক জহির বিন আলম জানান, পর পর এতবার ভূমিকম্প সিলেট অঞ্চলের জন্য অশনিসংকেত। আগামী সাত থেকে দশদিন নগরবাসীকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।

আমাদের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম আফরান তার কাছে জানতে চেয়েছিলেন কেন সিলেটে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয়- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিলেট সাধারণত আর্থ কুইক জোন। আগে একদিনে দুইবার ভূমিকম্প দেখেছি। কিন্তু আজকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ৭/৮ বার হয়েছে। এটা অদূর ভবিষ্যতে সিলেটে বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে- এমন ইন্ডিকেশন। আগামী ৭-১০ দিন সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে কেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কারণ আজকে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয়েছে। এর সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৪.১। এটা অদূর ভবিষ্যতে সিলেটে বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার ইন্ডিকেশন।

তিনি বলেন, ১৯১৮ সালে সিলেটে বড় ভূমিকম্প হওয়ার আগে অনেকগুলো ছোট মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। কিন্তু ১৮৯৭ সালে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার আগে এমনটা হয়নি। আজকের ভূমিকম্পের সঙ্গে ওই সময়ের ভূমিকম্পের রিলেশন করা যাবে না। কারণ ভূমিকম্প প্রত্যেক সময়েই হচ্ছে। ১-২ মাত্রার হলে টের পাওয়া যায় না। এটা ২, ৩, ৪ মাত্রার হলে এর তীব্রতা টের পাই। ৫ মাত্রা হলে তীব্রতা আরও বেশি হয়। কিন্তু সিলেটে ১০-১২ বছরে যত ভবন নির্মাণ হয়ছে তা এতটা সহনীয় না। সিলেটে গ্যাস লাইন রয়েছে। গ্যাস লাইন লিকেজ হলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আমরা ইতোমধ্যে মেয়রের সঙ্গে বসেছি। তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন। সবাইকে নির্দেশনা মানতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে।

২০১৯ সালে সার্ভে করে নগরীর ২২টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, ২০১৯ সালে নগরীর ২২টি বহুতল ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ভবনগুলো হচ্ছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উত্তর পাশের কালেক্টরেট ভবন-৩, জেলরোডস্থ সমবায় ব্যাংক ভবন, একই এলাকায় মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার সাবেক কার্যালয় ভবন, সুরমা মার্কেট, বন্দরবাজারস্থ সিটি সুপার মার্কেট, জিন্দাবাজারের মিতালি ম্যানশন, দরগাগেইটের হোটেল আজমীর, বন্দরবাজারের মধুবন সুপার মার্কেট, টিলাগড় কালাশীলের মান্নান ভিউ, শেখঘাট শুভেচ্ছা-২২৬ নম্বর ভবন, যতরপুরের নবপুষ্প ২৬/এ বাসা, চৌকিদেখির ৫১/৩ সরকার ভবন, জিন্দাবাজারের রাজাম্যানশন, পুরানলেনের ৪/এ কিবরিয়া লজ, খারপাড়ার মিতালি-৭৪, মির্জাজাঙ্গাল মেঘনা এ-৩৯/২, পাঠানটুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর বাগবাড়ির একতা ৩৭৭/৭ ওয়ারিছ মঞ্জিল, একই এলাকার একতা ৩৭৭/৮ হোসেইন মঞ্জিল, একতা-৩৭৭/৯ শাহনাজ রিয়াজ ভিলা, বনকলাপাড়া নূরানী-১৪, ধোপাদিঘীর দক্ষিণ পাড়ের পৌরবিপণি মার্কেট ও ধোপাদিঘীরপাড়ের পৌর শপিং সেন্টার।