টিকা দেয়া হয়েছে ৯৯ লাখ ৮১ হাজার ডোজ

দেশে এ পর্যন্ত করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪১ লাখ ৬১ হাজার ৭১৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৬ লাখ ৬০ হাজার ৭০৭ এবং নারী ১৫ লাখ ১ হাজার ৭ জন। আর এ টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন। এর মধ্যে ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৬৫ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৫০। প্রথম ও দ্বিতীয় মিলে টিকা দেয়া হয়েছে ৯৯ লাখ ৮১ হাজার ৭২৯ ডোজ। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিতরণ করা টিকা বাদ দিলে হাতে মজুদ আছে মাত্র ২ লাখ ১৮ হাজার ২৭১ ডোজ। ঘাটতি টিকার পরিমাণ ১৪ লাখ ৪০ হাজার।

অন্যদিকে, অনলাইনে নিবন্ধনও ২ মের পর থেকে বন্ধ রয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নিবন্ধন করেছেন ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, গত ২৫ মে থেকে দেশে চীনের সিনোফার্মার টিকার পর্যবেক্ষণমূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। চারটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোট ২১৪২ জনকে চীনের টিকা দেয়া হয়েছে। গতকাল দেয়া হয়েছে ৯০৩ জনকে। এদের মধ্যে ১ হাজার ৫৭০ জন পুরুষ এবং ৫৭২ জন নারী রয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১৯ হাজার ৪৫৯ জন অ্যাস্ট্রেজেনেকার কোভিশিল্ড টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ৭৬০ এবং নারী ৭ হাজার ৬৯৯ জন।

এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ১০২ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৭ লাখ ৫৯২ হাজার ৮৫৯ জন। ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৮ লাখ ৮ হাজার ৭৮ জন ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন ৯ লাখ ২০ হাজার ১০৭ জন।

ময়মনসিংহ বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৮৭ হাজার ৪৬ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ২৩৩ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮ লাখ ৪৮ হাজার ১৭০ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৭৮ হাজার ২০৪ জন। রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৬ হাজার ১৯৬ জন, প্রথম ডোজ ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬৭ জন। রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ৮৪ হাজার ২৭১ জন, প্রথম ডোজ ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪৩ জন। খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৮০২ জন, প্রথম ডোজ ৭ লাখ ৩১ হাজার ৮৯ জন। বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ২৮৬ জন, প্রথম ডোজ ২ লাখ ৫১ হাজার ৩৪৫ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ১৮ হাজার ৮৪৮ জন, প্রথম ডোজ ৩ লাখ ১ হাজার ১৫৬ জন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওইদিন ২১ জনকে টিকা দেয়া হয়। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেয়ার ৬০ দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে।

সোমবার, ৩১ মে ২০২১ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৮ শাওয়াল ১৪৪২

টিকা দেয়া হয়েছে ৯৯ লাখ ৮১ হাজার ডোজ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

দেশে এ পর্যন্ত করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪১ লাখ ৬১ হাজার ৭১৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৬ লাখ ৬০ হাজার ৭০৭ এবং নারী ১৫ লাখ ১ হাজার ৭ জন। আর এ টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন। এর মধ্যে ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৬৫ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৫০। প্রথম ও দ্বিতীয় মিলে টিকা দেয়া হয়েছে ৯৯ লাখ ৮১ হাজার ৭২৯ ডোজ। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিতরণ করা টিকা বাদ দিলে হাতে মজুদ আছে মাত্র ২ লাখ ১৮ হাজার ২৭১ ডোজ। ঘাটতি টিকার পরিমাণ ১৪ লাখ ৪০ হাজার।

অন্যদিকে, অনলাইনে নিবন্ধনও ২ মের পর থেকে বন্ধ রয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নিবন্ধন করেছেন ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, গত ২৫ মে থেকে দেশে চীনের সিনোফার্মার টিকার পর্যবেক্ষণমূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। চারটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোট ২১৪২ জনকে চীনের টিকা দেয়া হয়েছে। গতকাল দেয়া হয়েছে ৯০৩ জনকে। এদের মধ্যে ১ হাজার ৫৭০ জন পুরুষ এবং ৫৭২ জন নারী রয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১৯ হাজার ৪৫৯ জন অ্যাস্ট্রেজেনেকার কোভিশিল্ড টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ৭৬০ এবং নারী ৭ হাজার ৬৯৯ জন।

এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ১০২ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৭ লাখ ৫৯২ হাজার ৮৫৯ জন। ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৮ লাখ ৮ হাজার ৭৮ জন ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন ৯ লাখ ২০ হাজার ১০৭ জন।

ময়মনসিংহ বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৮৭ হাজার ৪৬ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ২৩৩ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮ লাখ ৪৮ হাজার ১৭০ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৭৮ হাজার ২০৪ জন। রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৬ হাজার ১৯৬ জন, প্রথম ডোজ ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬৭ জন। রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ৮৪ হাজার ২৭১ জন, প্রথম ডোজ ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪৩ জন। খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৮০২ জন, প্রথম ডোজ ৭ লাখ ৩১ হাজার ৮৯ জন। বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ২৮৬ জন, প্রথম ডোজ ২ লাখ ৫১ হাজার ৩৪৫ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ১৮ হাজার ৮৪৮ জন, প্রথম ডোজ ৩ লাখ ১ হাজার ১৫৬ জন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওইদিন ২১ জনকে টিকা দেয়া হয়। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেয়ার ৬০ দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে।