অনলাইন ব্যবসায় প্রতারণা বন্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

অনলাইনের মাধ্যমে সাশ্রয়ী দামে গ্রাহক পর্যায়ে সরাসরি পণ্য পৌঁছে দিতে দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ই-কমার্স ব্যবসা। তবে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী চক্র গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। চাহিদা অনুযায়ী কাক্সিক্ষত পণ্য সরবরাহ না করা এবং করলেও নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ করার ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলছে। এছাড়া প্রি-অর্ডারের নামে ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে না। অনলাইন উদ্যোক্তাদের সংগঠন ই-ক্যাবও বলছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতারণা হচ্ছে। ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন। সময়মতো ও সঠিক পণ্য ক্রেতারা পাচ্ছেন না।

অনলাইনে পণ্য কেনাবেচায় প্রতারণার খবরটি উদ্বেগজনক। এ অনাচার অনেক দিন ধরেই চলছে। তবে করোনাকালে এর হার বেড়েছে। বিধিনিষেধের কারণে গৃহবন্দী মানুষের পক্ষে প্রয়োজনীয় বা পছন্দের পণ্যটি যখন বাজারে গিয়ে কেনা সম্ভব হচ্ছে না, তখন তিনি তা অর্ডার করছেন অনলাইনে। কিন্তু যে পণ্যটি অর্ডার করা হচ্ছে, প্রতারকরা সেটি না দিয়ে দিচ্ছে নিম্নমানের বা অর্ডারের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন আরেকটি পণ্য।

এ ধরনের প্রতারণা বন্ধে প্রয়োজন ভোক্তা অধিকার আইনে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা। যারা অনলাইন ব্যবসার নামে প্রতারণা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এতে অনলাইন কেনাকাটায় মানুষের আস্থা ফিরে আসবে। তবে এটাও দেখতে হবে যে, কড়া নিয়ম ও বিধিবিধানের কারণে ভালো উদ্যোক্তাদের যেন কোন সমস্যা না হয়।

অনলাইনে পণ্য কেনাকাটায় প্রথমেই যা প্রয়োজন তা হলো সচেতনতা। কোন আকর্ষণীয় বা লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখেই হুট করে অর্ডার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রথমেই প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা এবং মালিকের নাম-ঠিকানায় সামঞ্জস্য আছে কিনা তা ভালোভাবে দেখতে হবে। অনেক অনলাইন প্রতিষ্ঠান ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে। ওয়েবসাইটে ট্রেড লাইসেন্সের কপি আছে কিনা তা দেখতে হবে। যদি না থাকে তাহলে ট্রেড লাইসেন্স করা আছে কিনা তা জেনে নিতে হবে।

সোমবার, ৩১ মে ২০২১ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৮ শাওয়াল ১৪৪২

অনলাইন ব্যবসায় প্রতারণা বন্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

অনলাইনের মাধ্যমে সাশ্রয়ী দামে গ্রাহক পর্যায়ে সরাসরি পণ্য পৌঁছে দিতে দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ই-কমার্স ব্যবসা। তবে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী চক্র গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। চাহিদা অনুযায়ী কাক্সিক্ষত পণ্য সরবরাহ না করা এবং করলেও নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ করার ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলছে। এছাড়া প্রি-অর্ডারের নামে ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে না। অনলাইন উদ্যোক্তাদের সংগঠন ই-ক্যাবও বলছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতারণা হচ্ছে। ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন। সময়মতো ও সঠিক পণ্য ক্রেতারা পাচ্ছেন না।

অনলাইনে পণ্য কেনাবেচায় প্রতারণার খবরটি উদ্বেগজনক। এ অনাচার অনেক দিন ধরেই চলছে। তবে করোনাকালে এর হার বেড়েছে। বিধিনিষেধের কারণে গৃহবন্দী মানুষের পক্ষে প্রয়োজনীয় বা পছন্দের পণ্যটি যখন বাজারে গিয়ে কেনা সম্ভব হচ্ছে না, তখন তিনি তা অর্ডার করছেন অনলাইনে। কিন্তু যে পণ্যটি অর্ডার করা হচ্ছে, প্রতারকরা সেটি না দিয়ে দিচ্ছে নিম্নমানের বা অর্ডারের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন আরেকটি পণ্য।

এ ধরনের প্রতারণা বন্ধে প্রয়োজন ভোক্তা অধিকার আইনে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা। যারা অনলাইন ব্যবসার নামে প্রতারণা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এতে অনলাইন কেনাকাটায় মানুষের আস্থা ফিরে আসবে। তবে এটাও দেখতে হবে যে, কড়া নিয়ম ও বিধিবিধানের কারণে ভালো উদ্যোক্তাদের যেন কোন সমস্যা না হয়।

অনলাইনে পণ্য কেনাকাটায় প্রথমেই যা প্রয়োজন তা হলো সচেতনতা। কোন আকর্ষণীয় বা লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখেই হুট করে অর্ডার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রথমেই প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা এবং মালিকের নাম-ঠিকানায় সামঞ্জস্য আছে কিনা তা ভালোভাবে দেখতে হবে। অনেক অনলাইন প্রতিষ্ঠান ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে। ওয়েবসাইটে ট্রেড লাইসেন্সের কপি আছে কিনা তা দেখতে হবে। যদি না থাকে তাহলে ট্রেড লাইসেন্স করা আছে কিনা তা জেনে নিতে হবে।