যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি

আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য জাতীয় বাজেটে শ্রমিকদের ন্যায্য হিস্যা, বাজেট প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় শ্রমিক প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তি এবং সব যুব শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের জন্য অধিকতর বাজেট বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের যুব নেতারা। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস্ সহযোগী জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের যুব নেতাদের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা এ দাবি জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, করোনাকালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রায় সব খাতেই সাধারণ শ্রমিকদের আয় কমে গেছে। এমন অবস্থায় ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য জাতীয় বাজেট প্রণীত হতে যাচ্ছে। কিন্তু বাজেট প্রণয়ন কার্যক্রম এবং নীতি নিধারণে শ্রমিক নেতাদের মতামত ও অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হয়নি। তাছাড়া বর্তমান কোভিড-১৯ মহামারীতে শ্রমজীবীদের কর্মহীনতার কারণে অব্যাহত দুস্থতা, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে শ্রমনির্ভর জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি না থাকা, সর্বোপরি শ্রমজীবীদের নিরাপত্তার জন্য সুনির্দিষ্ট কাঠামো ও বাজেট বরাদ্দ না থাকায় বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের ঘোষণা কোনভাবেই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

তারা বলেন, সরকার প্রতিবছর বাজেটের আগে ব্যবসায়ী মহলসহ এফবিসিসিআই, এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন, বিভিন্ন চেম্বার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে থাকে। ব্যবসায়ী ও মালিকদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সুপারিশ গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু দেশের উৎপাদন এবং অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি শ্রমিক-কর্মচারীদের কোন মতামত গ্রহণ করা হয় না। তাই আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে শ্রমিক নেতাদের অংশগ্রহণ ও মতামত গ্রহণ, শ্রমজীবীদের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ এবং কর্মক্ষম যুব শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের জন্য অধিকতর বাজেট বরাদ্দ রাখার দাবি জানান তারা।

এ সময় বক্তারা কেবল প্রবৃদ্ধি নির্ভর নয়, কর্মসংস্থান তৈরির উপযোগী বাজেট প্রণয়ন, কোভিড অতিমারীতে বিদ্যমান টিকা কার্যক্রমে শ্রমজীবীদের অগ্রাধিকার প্রদান, বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিধি বাড়ানো এবং প্রদেয় অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করা এবং নারী শ্রমিকসহ সব শ্রমিকদের জন্য বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানান।

জাতীয় যুব শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বাচ্চু মিয়ার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় শ্রমিক লীগের ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ হোসাইন, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এ এম ফয়েজ হোসাইন, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের দপ্তর সম্পাদক শাহিদা পারভীন শিখা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের মো. খোরশেদ আলম প্রমুখ। এছাড়া মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন নেতারা, যুব নেতৃবৃন্দ, নারী নেতৃবৃন্দ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার, ০১ জুন ২০২১ , ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৯ শাওয়াল ১৪৪২

যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস্ সহযোগী জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের যুব নেতাদের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি

আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য জাতীয় বাজেটে শ্রমিকদের ন্যায্য হিস্যা, বাজেট প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় শ্রমিক প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তি এবং সব যুব শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের জন্য অধিকতর বাজেট বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের যুব নেতারা। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস্ সহযোগী জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের যুব নেতাদের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা এ দাবি জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, করোনাকালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রায় সব খাতেই সাধারণ শ্রমিকদের আয় কমে গেছে। এমন অবস্থায় ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য জাতীয় বাজেট প্রণীত হতে যাচ্ছে। কিন্তু বাজেট প্রণয়ন কার্যক্রম এবং নীতি নিধারণে শ্রমিক নেতাদের মতামত ও অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হয়নি। তাছাড়া বর্তমান কোভিড-১৯ মহামারীতে শ্রমজীবীদের কর্মহীনতার কারণে অব্যাহত দুস্থতা, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে শ্রমনির্ভর জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি না থাকা, সর্বোপরি শ্রমজীবীদের নিরাপত্তার জন্য সুনির্দিষ্ট কাঠামো ও বাজেট বরাদ্দ না থাকায় বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের ঘোষণা কোনভাবেই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

তারা বলেন, সরকার প্রতিবছর বাজেটের আগে ব্যবসায়ী মহলসহ এফবিসিসিআই, এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন, বিভিন্ন চেম্বার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে থাকে। ব্যবসায়ী ও মালিকদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সুপারিশ গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু দেশের উৎপাদন এবং অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি শ্রমিক-কর্মচারীদের কোন মতামত গ্রহণ করা হয় না। তাই আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে শ্রমিক নেতাদের অংশগ্রহণ ও মতামত গ্রহণ, শ্রমজীবীদের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ এবং কর্মক্ষম যুব শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের জন্য অধিকতর বাজেট বরাদ্দ রাখার দাবি জানান তারা।

এ সময় বক্তারা কেবল প্রবৃদ্ধি নির্ভর নয়, কর্মসংস্থান তৈরির উপযোগী বাজেট প্রণয়ন, কোভিড অতিমারীতে বিদ্যমান টিকা কার্যক্রমে শ্রমজীবীদের অগ্রাধিকার প্রদান, বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিধি বাড়ানো এবং প্রদেয় অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করা এবং নারী শ্রমিকসহ সব শ্রমিকদের জন্য বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানান।

জাতীয় যুব শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বাচ্চু মিয়ার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় শ্রমিক লীগের ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ হোসাইন, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এ এম ফয়েজ হোসাইন, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের দপ্তর সম্পাদক শাহিদা পারভীন শিখা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের মো. খোরশেদ আলম প্রমুখ। এছাড়া মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন নেতারা, যুব নেতৃবৃন্দ, নারী নেতৃবৃন্দ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।