নির্মাণের ৭ মাসেই ভেঙে পড়েছে রহনপুর পৌরসভার সীমানা প্রাচীর

নির্মাণের ৭ মাসের মাথায় ভেঙ্গে পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর পৌরসভার সীমানা প্রাচীর এবং ফাটল ধরেছে মূল ভবনের বেশকিছু জায়গায়। এ নিয়ে রহনপুর পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী বেশ শঙ্কায় রয়েছে। গত রোববার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রহনপুর পৌরসভার নবনির্মিত ভবনের ওপর হেলে পড়েছে সীমানা প্রাচীর। রহনপুর পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে নভেম্বর মাসে ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৫৩ হাজার ৫শত ৪৬ টাকা ব্যয়ে নতুন এ ভবনটির কার্যাদেশ পায় বরিশালের মেসার্স আমীর ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ না করলেও সাব ঠিকাদার হিসেবে কাজ সম্পন্ন করে মেসার্স আনসারী কনস্ট্রাকশন। গতবছর মে মাসে ভবনটির কাজ শেষ হয় এবং গত ২০২০ সালে ১৮ অক্টোবর সাবেক পৌর মেয়র তারিক আহমদ ভবনের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের ৭ মাস পার হতে না হতেই ভবনটির সীমানা প্রাচীরসহ বিভিন্ন ওয়ালে দেখা দিয়েছে ফাটল। এ বিষয়ে সাব ঠিকাদার মেসার্স আনসারী কনস্ট্রাকশন পরিচালক শরিফ আনসারী বলেন, গত কয়েকদিন অতিরিক্ত পানি হবার কারণে এই সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে পড়েছে। এ বিষয়ে রহনপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সাগর মন্ডল জানান, কি কারণে প্রাচীর ভেঙ্গে পড়েছে তা অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রহনপুর পৌর মেয়র মতিউর রহমান খাঁন জানান, নিম্নœমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিষয়গুলো স্থানীয় সরকার বিভাগকে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, রহনপুর পৌরসভার নবনির্মিত এ ভবনটির কাজ শেষ হবার আগেই ভবনটি নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের চিত্র, স্লাব তৈরিতে রডের বদলে বাঁশের পাতি ও মূল ফটকের ড্রেনের ওপর স্লাবে রড ব্যবহার না করে স্লাব ভেঙ্গে পড়া এর সংবাদ বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হলে এর কোন ব্যবস্থা নেয়নি তৎকালীন পৌর মেয়র তারিক আহমদ। ফলে এলাকায় বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সরেজমিন পরিদর্শন করলে ভবন নির্মাণের আসল চিত্র জানতে পারবেন বলে এলকাবাসী মনে করেন।

মঙ্গলবার, ০১ জুন ২০২১ , ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৯ শাওয়াল ১৪৪২

নির্মাণের ৭ মাসেই ভেঙে পড়েছে রহনপুর পৌরসভার সীমানা প্রাচীর

প্রতিনিধি, গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)

image

গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) : ভেঙেপড়া রহনপুর পৌরসভার সীমানা প্রাচীর -সংবাদ

নির্মাণের ৭ মাসের মাথায় ভেঙ্গে পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর পৌরসভার সীমানা প্রাচীর এবং ফাটল ধরেছে মূল ভবনের বেশকিছু জায়গায়। এ নিয়ে রহনপুর পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী বেশ শঙ্কায় রয়েছে। গত রোববার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রহনপুর পৌরসভার নবনির্মিত ভবনের ওপর হেলে পড়েছে সীমানা প্রাচীর। রহনপুর পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে নভেম্বর মাসে ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৫৩ হাজার ৫শত ৪৬ টাকা ব্যয়ে নতুন এ ভবনটির কার্যাদেশ পায় বরিশালের মেসার্স আমীর ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ না করলেও সাব ঠিকাদার হিসেবে কাজ সম্পন্ন করে মেসার্স আনসারী কনস্ট্রাকশন। গতবছর মে মাসে ভবনটির কাজ শেষ হয় এবং গত ২০২০ সালে ১৮ অক্টোবর সাবেক পৌর মেয়র তারিক আহমদ ভবনের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের ৭ মাস পার হতে না হতেই ভবনটির সীমানা প্রাচীরসহ বিভিন্ন ওয়ালে দেখা দিয়েছে ফাটল। এ বিষয়ে সাব ঠিকাদার মেসার্স আনসারী কনস্ট্রাকশন পরিচালক শরিফ আনসারী বলেন, গত কয়েকদিন অতিরিক্ত পানি হবার কারণে এই সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে পড়েছে। এ বিষয়ে রহনপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সাগর মন্ডল জানান, কি কারণে প্রাচীর ভেঙ্গে পড়েছে তা অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রহনপুর পৌর মেয়র মতিউর রহমান খাঁন জানান, নিম্নœমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিষয়গুলো স্থানীয় সরকার বিভাগকে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, রহনপুর পৌরসভার নবনির্মিত এ ভবনটির কাজ শেষ হবার আগেই ভবনটি নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের চিত্র, স্লাব তৈরিতে রডের বদলে বাঁশের পাতি ও মূল ফটকের ড্রেনের ওপর স্লাবে রড ব্যবহার না করে স্লাব ভেঙ্গে পড়া এর সংবাদ বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হলে এর কোন ব্যবস্থা নেয়নি তৎকালীন পৌর মেয়র তারিক আহমদ। ফলে এলাকায় বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সরেজমিন পরিদর্শন করলে ভবন নির্মাণের আসল চিত্র জানতে পারবেন বলে এলকাবাসী মনে করেন।