টিকা দেয়া হয়েছে এক কোটি ৬ হাজার ডোজ

দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত টিকা দেয়া হয়েছে এক কোটি ৬ হাজার ২৫৮ ডোজ। এগুলো পুরোটাই দেয়া হয়েছে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। ভারত থেকে এ পর্যন্ত দেশে এই টিকা এসেছে এক কোটি দুই লাখ ডোজ। সেই হিসাবে এখন টিকা মজুত আছে মাত্র ১ লাখ ৯৩ হাজার ৭৪২ ডোজ। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশে এ পর্যন্ত করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ২৪৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২৬ লাখ ৭৫ হাজার ৬৭০ এবং নারী ১৫ লাখ ১০ হাজার ৫৭৩ জন। আর টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন। এরমধ্যে ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৬৫ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৫০।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, প্রথম ডোজ নেয়া ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জনের মধ্যে ১৪ লাখের বেশি মানুষের দ্বিতীয় ডোজ নেয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে সংকট। এদের সবাইকেই অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। কেননা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও দুই কোম্পানির দুই ডোজের টিকা গ্রহণের কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১২ হাজার ৩১৩ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ৩৮৫ এবং নারী ৪ হাজার ৯২৮ জন। এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৯৩ জন। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৮ লাখ ২ হাজার ৩৫০ জন। ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৮ লাখ ৮ হাজার ৭৮ জন ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন ৯ লাখ ২০ হাজার ১০৭ জন।

ময়মনসিংহ বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ২৩৩ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৪১ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৭৮ হাজার ২০৪ জন। রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৭ হাজার ৮১৮ জন, প্রথম ডোজ ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬৭ জন। রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৮৮৭ জন, প্রথম ডোজ ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪৩ জন। খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৯০ হাজার ৫২ জন, প্রথম ডোজ ৭ লাখ ৩১ হাজার ৮৯ জন। বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬১২ জন, প্রথম ডোজ ২ লাখ ৫১ হাজার ৩৪৫ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ১৯ হাজার ৬৭২ জন, প্রথম ডোজ ৩ লাখ ১ হাজার ১৫৬ জন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেয়া হয়। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেয়ার ৬০দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে।

বুধবার, ০২ জুন ২০২১ , ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২০ শাওয়াল ১৪৪২

টিকা দেয়া হয়েছে এক কোটি ৬ হাজার ডোজ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত টিকা দেয়া হয়েছে এক কোটি ৬ হাজার ২৫৮ ডোজ। এগুলো পুরোটাই দেয়া হয়েছে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। ভারত থেকে এ পর্যন্ত দেশে এই টিকা এসেছে এক কোটি দুই লাখ ডোজ। সেই হিসাবে এখন টিকা মজুত আছে মাত্র ১ লাখ ৯৩ হাজার ৭৪২ ডোজ। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশে এ পর্যন্ত করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ২৪৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২৬ লাখ ৭৫ হাজার ৬৭০ এবং নারী ১৫ লাখ ১০ হাজার ৫৭৩ জন। আর টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন। এরমধ্যে ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৬৫ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৫০।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, প্রথম ডোজ নেয়া ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জনের মধ্যে ১৪ লাখের বেশি মানুষের দ্বিতীয় ডোজ নেয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে সংকট। এদের সবাইকেই অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। কেননা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও দুই কোম্পানির দুই ডোজের টিকা গ্রহণের কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১২ হাজার ৩১৩ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ৩৮৫ এবং নারী ৪ হাজার ৯২৮ জন। এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৯৩ জন। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৮ লাখ ২ হাজার ৩৫০ জন। ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৮ লাখ ৮ হাজার ৭৮ জন ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন ৯ লাখ ২০ হাজার ১০৭ জন।

ময়মনসিংহ বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ২৩৩ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৪১ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৭৮ হাজার ২০৪ জন। রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৭ হাজার ৮১৮ জন, প্রথম ডোজ ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬৭ জন। রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৮৮৭ জন, প্রথম ডোজ ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪৩ জন। খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৯০ হাজার ৫২ জন, প্রথম ডোজ ৭ লাখ ৩১ হাজার ৮৯ জন। বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬১২ জন, প্রথম ডোজ ২ লাখ ৫১ হাজার ৩৪৫ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ১৯ হাজার ৬৭২ জন, প্রথম ডোজ ৩ লাখ ১ হাজার ১৫৬ জন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেয়া হয়। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেয়ার ৬০দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে।