খুলনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুটি হল রুমে পড়ে রয়েছে মাধ্যমিকের প্রায় ১০ টন বই। বছরের পর বছর অযত্ন-অবহেলায় মেঝেতে পড়ে থাকায় পাঠ্যবইগুলো এখন উইপোকার খাবারে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া জানালার পাল্লা না থাকায় বৃষ্টিতে ভিজছে বই। দীর্ঘদিন পড়ে থেকে নষ্ট হলেও এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।
খুলনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এম. আবুল বাসার মোল্লা জানান, রুমদুটি মাধ্যমিকের বই-পুস্তক রাখার জন্য ব্যবহার হতো। তবে এখন তা স্থান পরিবর্তন করে বয়রায় স্থানান্তর করা হয়েছে। কিন্তু ওই জায়গা থেকে বইগুলো সরানো হয়নি।
তিনি বলেন, দায়িত্বশীলদের এ বিষয়ে জানানো হয়েছে কিন্তু তারা পদক্ষেপ নেননি।
সরেজমিন দেখা গেছে, ভবনটির দুইরুমে ২০১৬ থেকে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের বই পড়ে রয়েছে সেখানে। এর মধ্যে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর বাংলাদেশ বিশ্ব পরিচিতি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। ৭ম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ইংলিশ ফর টুডে, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা। ৮ম শ্রেণীর ইংরেজী গ্রামার অ্যান্ড কম্পোজিশন, বিজ্ঞান। ৯ম-১০ম-এর জীববিজ্ঞান, ক্যারিয়ার শিক্ষা, ইংরেজি, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতাসহ মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষার বিভিন্ন বই রয়েছে।
এ বিষয়ে সদর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মোমিন জানান, ২০১০ সাল থেকে ওই দুইরুমে বই রাখা হচ্ছে। ২০১৬ থেকে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ১০ টন বই রয়েছে সেখানে।
তিনি বলেন, পুরাতনবই তারা বিক্রি করে দেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত বই বিক্রির বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না আসায় বইগুলো ওখানে রয়ে গেছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার রুহুল আমিন জানান, আগে খুলনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওই দুইরুমে মাধ্যমিকসহ মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষার বই-পুস্তক রাখা হতো। এখন বয়রা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হচ্ছে। কিছু পুরাতন বই আগের জায়গায় রয়েছে। তবে সেগুলো পলিথিন বিছিয়ে মেডিসিন দিয়ে রাখতে বলা হয়েছিল।
এ বিষয়ে থানা পর্যায়ের দায়িত্বশীলের
সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
বুধবার, ০২ জুন ২০২১ , ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২০ শাওয়াল ১৪৪২
জেলা বার্তা পরিবেশক, খুলনা
খুলনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুটি হল রুমে পড়ে রয়েছে মাধ্যমিকের প্রায় ১০ টন বই। বছরের পর বছর অযত্ন-অবহেলায় মেঝেতে পড়ে থাকায় পাঠ্যবইগুলো এখন উইপোকার খাবারে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া জানালার পাল্লা না থাকায় বৃষ্টিতে ভিজছে বই। দীর্ঘদিন পড়ে থেকে নষ্ট হলেও এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।
খুলনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এম. আবুল বাসার মোল্লা জানান, রুমদুটি মাধ্যমিকের বই-পুস্তক রাখার জন্য ব্যবহার হতো। তবে এখন তা স্থান পরিবর্তন করে বয়রায় স্থানান্তর করা হয়েছে। কিন্তু ওই জায়গা থেকে বইগুলো সরানো হয়নি।
তিনি বলেন, দায়িত্বশীলদের এ বিষয়ে জানানো হয়েছে কিন্তু তারা পদক্ষেপ নেননি।
সরেজমিন দেখা গেছে, ভবনটির দুইরুমে ২০১৬ থেকে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের বই পড়ে রয়েছে সেখানে। এর মধ্যে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর বাংলাদেশ বিশ্ব পরিচিতি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। ৭ম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ইংলিশ ফর টুডে, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা। ৮ম শ্রেণীর ইংরেজী গ্রামার অ্যান্ড কম্পোজিশন, বিজ্ঞান। ৯ম-১০ম-এর জীববিজ্ঞান, ক্যারিয়ার শিক্ষা, ইংরেজি, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতাসহ মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষার বিভিন্ন বই রয়েছে।
এ বিষয়ে সদর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মোমিন জানান, ২০১০ সাল থেকে ওই দুইরুমে বই রাখা হচ্ছে। ২০১৬ থেকে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ১০ টন বই রয়েছে সেখানে।
তিনি বলেন, পুরাতনবই তারা বিক্রি করে দেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত বই বিক্রির বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না আসায় বইগুলো ওখানে রয়ে গেছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার রুহুল আমিন জানান, আগে খুলনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওই দুইরুমে মাধ্যমিকসহ মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষার বই-পুস্তক রাখা হতো। এখন বয়রা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হচ্ছে। কিছু পুরাতন বই আগের জায়গায় রয়েছে। তবে সেগুলো পলিথিন বিছিয়ে মেডিসিন দিয়ে রাখতে বলা হয়েছিল।
এ বিষয়ে থানা পর্যায়ের দায়িত্বশীলের
সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।