সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয় ৪০ শতাংশ আম
চাঁপাইয়ের পরে আম উৎপাদনে রাজশাহীর অবস্থান। দুই জেলার আম সারাদেশের গ-ি পেরিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। তবে নেই আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা। ফলে প্রতিবছরই নষ্ট হচ্ছে লাখ লাখ টাকার আম। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ আশপাশের এলাকাতেও চলছে লকডাউন। লকডাউনের ফলে স্বপ্ন ভঙ্গ হলো আমচাষিদের।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র বলছে, প্রতিবছর শুধু কৃষক ও এলাকাভিত্তিক উৎপাদিত ৩০ শতাংশ আম নষ্ট হয়। সেই সঙ্গে সংরক্ষণের অভাবে প্রায় ১০ শতাংশ ধরা গেলে দাঁড়ায় ৪০ শতাংশ। প্রতিবছর অবহেলাজনিত কারণে আমের ৪০ শতাংশ নষ্ট হচ্ছে।
সরেজমিনে গতকাল দুপুরে পুঠিয়ার বানেশ্বরহাটের জমজমাট আম কেনা-বেচার চিত্র দেখা গেছে। উত্তরের দ্বিতীয় বৃহৎ আমের এই হাট থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ ট্রাক আম যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। প্রতি ট্রাকে গড়ে ১৩ টন করে আম ধরা হলে দাঁড়ায় ২৬০ টন। সপ্তাখানেক পরে আরও বাড়বে বলে জানান হাটের ইজারাদার ওসমান আলী।
তিনি বলেন, ‘জমজমাট আমের ব্যবসা চলবে প্রায় আড়াই মাস। তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে তুলনামূলক ব্যবসায়ী কম আসছে হাটে। তারা স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রতিনিধির মাধ্যমে আম কিনেছেন।
হাট ঘুরে দেখা গেছে, গোপালভোগ প্রকারভেদে খুচরায় বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা দরে। একই আম পাইকারি প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা মণ দরে। এছাড়া খিরশাপাত খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা দরে। পাইকারি ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে।
করোনা ও লকডাউনে আম বেচাকেনার প্রভাব সম্পর্কে বানেশ্বর হাটের ব্যবসায়ীরা জানান, করোনা ও লকডাউন দুই মিলে ক্রেতার সংখ্যা অন্য বছেরের তুলনায় কিছুটা কম। তবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলা ও বিভাগের ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি রয়েছেন। তারা আম কিনছেন, সেগুলো কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে।
ব্যবসায়ী রাজিবুল ইসলাম জানান, তিনি ঢাকা থেকে আম কিনতে এসেছেন। তার ঢাকায় আমের আড়ত রয়েছে। যদিও রাজশাহীতে তার ব্যবসায়িক প্রতিনিধি আছে। তিনি আম কিনে পাঠান। তবে সপ্তায় এক বার আসেন তিনি।
তিনি আরও জানান, আম বিক্রি খুব একটা ভালো না। এখন বেশিরভাগ মানুষ মোবাইল ফোন বা অনলাইনে অর্ডার করছেন। এর ফলে তাদের ব্যবসা কমেছে। তবে যে ক্রেতারা আম দেখে, খেয়ে কিনবেন তারা দোকানেই আসেন। আর রাজশাহীর আম অনেক সুস্বাদু।
তবে এই অঞ্চলে আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই বলে জানান বাঘা চাষি সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, তিন বছর থেকে তারা ইউরোপে আম পাঠাচ্ছেন। ট্রাকে আম বোঝাই দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে প্যাকেজিং হাউজে রাখা হচ্ছে।
বিদেশে আম রপ্তানির বিষয়ে বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানান, আমের ‘সর্টিং ও গ্রেডিং’ করতে হয়। আমের গায়ে কোন দাগ থাকা চলে না। এ জন্য ফ্রুট ব্যাগিং করতে হয়। নির্দিষ্ট পরিমাণ বোঁটাও আমের সঙ্গে রেখে কাঁচি দিয়ে কেটে নিতে হয়। এসব নিশ্চিত করে কৃষি বিভাগ থেকে প্রত্যয়ণপত্র নিতে হয়।
তিনি আরও জানান, রাজশাহী থেকে আম নিয়ে যাওয়ার পর ঢাকার সেন্ট্রাল প্যাকেজিং হাউজে আমগুলো ‘হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট’ করা হয়। তারপর সেখানে ‘কোয়ারেন্টিন পেস্ট’ করাতে হয়। সে সময় আমে কোন লালমাছির ডিম বা লার্ভা যদি একটিতেও পাওয়া যায়, তাহলে আমের গোটা চালানই বাতিল করা হয়। সেই জায়গা থেকে আমচাষি ও ব্যবসায়ীকে সচেতন হতে হবে।
এদিকে শিবগঞ্জ ম্যাঙ্গো প্রডিউসার ও কো-অপারেটিভের সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল খান শামিম জানান, আম লকডাউনের অওতামুক্ত থাকলেও চাষিরা আম ভাঙতে সাহস পাচ্ছে না। বাইরে থেকে ক্রেতা না আসলে বাজার জমবে না। বিক্রিও বাড়বে না। এজন্য আমাদের অনলাইনে বেচাকেনা বাড়ানোর পাশাপাশি নিজ দায়িত্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও বাইরের ক্রেতাদের নিরাপদ স্থানে থাকার নিশ্চয়তা দিতে হবে। নয়লে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।
তিনি আরও জানান, বিদেশি এক ক্রেতা ঢাকার একজনের মাধ্যমে ৪ টন আম রপ্তানির আদেশ দিলেও করোনা প্রদুর্ভাবের কথা শুনে সেই বিদেশি ক্রেতা দেড় টন আমের রপ্তানি আদেশ বাতিল করেছেন। এতে আম সংশ্লিষ্টরা বিপাকে পড়েছে।
এ ব্যাপারে আম আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক টিপু জানান, কানসাট বাজারে অন্যান্য বছর এ সময় অন্তত শতাধিক ট্রাক আম পরিবহনের জন্য লোড হয়, কিন্তু এ বছর দিনে সর্বোচ্চ ৫-৭ টি ট্রাকে আম লোড করা সম্ভব হচ্ছে।
অন্যদিকে কানসাট হাট ইজারাদার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু জানান, তিনি কানসাটের ৩টি হাট প্রায় কোটি টাকা দিয়ে কিনে পথে বসার মতো অবস্থা। গরু ও সাপ্তাহিক হাট বন্ধ থাকলেও তিনি আশাবাদী ছিলেন আমের হাটটি নিয়ে, কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২১ মে আমার উদ্বোধনের পরও কানসাট আম বাজারটি ফাঁকা।
চাষিরা লকডাউনের ভয়ে বাজারে আম নামাতে সাহস পাচ্ছেন না। এতে তিনি পুঁজি হারিয়ে পথে বসার পাশাপাশি চাঁপাইনবাবগঞ্জের অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে যাবে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কেজেএম আবদুল আউয়াল জানান, পরীক্ষামূলক সংরক্ষণের জন্য রাজশাহী বিভাগের দুইটি জেলায় কোল্ড স্টোরেজ করা হচ্ছে। যার একটি রাজশাহীর শিবপুরহাট ও অন্যটি নটোরের আহম্মদপুরে। সেখানে ৪ মেট্রিকটন করে আম সংরক্ষণ সম্ভব হবে। পরীক্ষার ফল সন্তোষজনক হলে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মনিরুজ্জামান জানান, করোনা ও লকডাউনের ফলে আম বিক্রিতে কিছুটা প্রভাব পড়ছে। রাজশাহী থেকে আম পাঠাতে না পারলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেই কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু করেছেন। তবে আশার কথা হচ্ছে, সংরক্ষণের জন্য পরীক্ষামূলক রাজশাহী বিভাগে দুটি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন হতে যাচ্ছে। যার একটি রাজশাহীর শিবপুরহাট ও অন্যটি নাটোরের আহম্মদপুরে স্থাপিত হবে। দুই স্টোরেজে রাখা যাবে ৮ মেট্রিক টন আম।
বুধবার, ০২ জুন ২০২১ , ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২০ শাওয়াল ১৪৪২
সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয় ৪০ শতাংশ আম
জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী
চাঁপাইয়ের পরে আম উৎপাদনে রাজশাহীর অবস্থান। দুই জেলার আম সারাদেশের গ-ি পেরিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। তবে নেই আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা। ফলে প্রতিবছরই নষ্ট হচ্ছে লাখ লাখ টাকার আম। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ আশপাশের এলাকাতেও চলছে লকডাউন। লকডাউনের ফলে স্বপ্ন ভঙ্গ হলো আমচাষিদের।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র বলছে, প্রতিবছর শুধু কৃষক ও এলাকাভিত্তিক উৎপাদিত ৩০ শতাংশ আম নষ্ট হয়। সেই সঙ্গে সংরক্ষণের অভাবে প্রায় ১০ শতাংশ ধরা গেলে দাঁড়ায় ৪০ শতাংশ। প্রতিবছর অবহেলাজনিত কারণে আমের ৪০ শতাংশ নষ্ট হচ্ছে।
সরেজমিনে গতকাল দুপুরে পুঠিয়ার বানেশ্বরহাটের জমজমাট আম কেনা-বেচার চিত্র দেখা গেছে। উত্তরের দ্বিতীয় বৃহৎ আমের এই হাট থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ ট্রাক আম যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। প্রতি ট্রাকে গড়ে ১৩ টন করে আম ধরা হলে দাঁড়ায় ২৬০ টন। সপ্তাখানেক পরে আরও বাড়বে বলে জানান হাটের ইজারাদার ওসমান আলী।
তিনি বলেন, ‘জমজমাট আমের ব্যবসা চলবে প্রায় আড়াই মাস। তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে তুলনামূলক ব্যবসায়ী কম আসছে হাটে। তারা স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রতিনিধির মাধ্যমে আম কিনেছেন।
হাট ঘুরে দেখা গেছে, গোপালভোগ প্রকারভেদে খুচরায় বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা দরে। একই আম পাইকারি প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা মণ দরে। এছাড়া খিরশাপাত খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা দরে। পাইকারি ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে।
করোনা ও লকডাউনে আম বেচাকেনার প্রভাব সম্পর্কে বানেশ্বর হাটের ব্যবসায়ীরা জানান, করোনা ও লকডাউন দুই মিলে ক্রেতার সংখ্যা অন্য বছেরের তুলনায় কিছুটা কম। তবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলা ও বিভাগের ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি রয়েছেন। তারা আম কিনছেন, সেগুলো কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে।
ব্যবসায়ী রাজিবুল ইসলাম জানান, তিনি ঢাকা থেকে আম কিনতে এসেছেন। তার ঢাকায় আমের আড়ত রয়েছে। যদিও রাজশাহীতে তার ব্যবসায়িক প্রতিনিধি আছে। তিনি আম কিনে পাঠান। তবে সপ্তায় এক বার আসেন তিনি।
তিনি আরও জানান, আম বিক্রি খুব একটা ভালো না। এখন বেশিরভাগ মানুষ মোবাইল ফোন বা অনলাইনে অর্ডার করছেন। এর ফলে তাদের ব্যবসা কমেছে। তবে যে ক্রেতারা আম দেখে, খেয়ে কিনবেন তারা দোকানেই আসেন। আর রাজশাহীর আম অনেক সুস্বাদু।
তবে এই অঞ্চলে আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই বলে জানান বাঘা চাষি সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, তিন বছর থেকে তারা ইউরোপে আম পাঠাচ্ছেন। ট্রাকে আম বোঝাই দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে প্যাকেজিং হাউজে রাখা হচ্ছে।
বিদেশে আম রপ্তানির বিষয়ে বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানান, আমের ‘সর্টিং ও গ্রেডিং’ করতে হয়। আমের গায়ে কোন দাগ থাকা চলে না। এ জন্য ফ্রুট ব্যাগিং করতে হয়। নির্দিষ্ট পরিমাণ বোঁটাও আমের সঙ্গে রেখে কাঁচি দিয়ে কেটে নিতে হয়। এসব নিশ্চিত করে কৃষি বিভাগ থেকে প্রত্যয়ণপত্র নিতে হয়।
তিনি আরও জানান, রাজশাহী থেকে আম নিয়ে যাওয়ার পর ঢাকার সেন্ট্রাল প্যাকেজিং হাউজে আমগুলো ‘হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট’ করা হয়। তারপর সেখানে ‘কোয়ারেন্টিন পেস্ট’ করাতে হয়। সে সময় আমে কোন লালমাছির ডিম বা লার্ভা যদি একটিতেও পাওয়া যায়, তাহলে আমের গোটা চালানই বাতিল করা হয়। সেই জায়গা থেকে আমচাষি ও ব্যবসায়ীকে সচেতন হতে হবে।
এদিকে শিবগঞ্জ ম্যাঙ্গো প্রডিউসার ও কো-অপারেটিভের সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল খান শামিম জানান, আম লকডাউনের অওতামুক্ত থাকলেও চাষিরা আম ভাঙতে সাহস পাচ্ছে না। বাইরে থেকে ক্রেতা না আসলে বাজার জমবে না। বিক্রিও বাড়বে না। এজন্য আমাদের অনলাইনে বেচাকেনা বাড়ানোর পাশাপাশি নিজ দায়িত্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও বাইরের ক্রেতাদের নিরাপদ স্থানে থাকার নিশ্চয়তা দিতে হবে। নয়লে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।
তিনি আরও জানান, বিদেশি এক ক্রেতা ঢাকার একজনের মাধ্যমে ৪ টন আম রপ্তানির আদেশ দিলেও করোনা প্রদুর্ভাবের কথা শুনে সেই বিদেশি ক্রেতা দেড় টন আমের রপ্তানি আদেশ বাতিল করেছেন। এতে আম সংশ্লিষ্টরা বিপাকে পড়েছে।
এ ব্যাপারে আম আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক টিপু জানান, কানসাট বাজারে অন্যান্য বছর এ সময় অন্তত শতাধিক ট্রাক আম পরিবহনের জন্য লোড হয়, কিন্তু এ বছর দিনে সর্বোচ্চ ৫-৭ টি ট্রাকে আম লোড করা সম্ভব হচ্ছে।
অন্যদিকে কানসাট হাট ইজারাদার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু জানান, তিনি কানসাটের ৩টি হাট প্রায় কোটি টাকা দিয়ে কিনে পথে বসার মতো অবস্থা। গরু ও সাপ্তাহিক হাট বন্ধ থাকলেও তিনি আশাবাদী ছিলেন আমের হাটটি নিয়ে, কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২১ মে আমার উদ্বোধনের পরও কানসাট আম বাজারটি ফাঁকা।
চাষিরা লকডাউনের ভয়ে বাজারে আম নামাতে সাহস পাচ্ছেন না। এতে তিনি পুঁজি হারিয়ে পথে বসার পাশাপাশি চাঁপাইনবাবগঞ্জের অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে যাবে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কেজেএম আবদুল আউয়াল জানান, পরীক্ষামূলক সংরক্ষণের জন্য রাজশাহী বিভাগের দুইটি জেলায় কোল্ড স্টোরেজ করা হচ্ছে। যার একটি রাজশাহীর শিবপুরহাট ও অন্যটি নটোরের আহম্মদপুরে। সেখানে ৪ মেট্রিকটন করে আম সংরক্ষণ সম্ভব হবে। পরীক্ষার ফল সন্তোষজনক হলে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মনিরুজ্জামান জানান, করোনা ও লকডাউনের ফলে আম বিক্রিতে কিছুটা প্রভাব পড়ছে। রাজশাহী থেকে আম পাঠাতে না পারলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেই কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু করেছেন। তবে আশার কথা হচ্ছে, সংরক্ষণের জন্য পরীক্ষামূলক রাজশাহী বিভাগে দুটি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন হতে যাচ্ছে। যার একটি রাজশাহীর শিবপুরহাট ও অন্যটি নাটোরের আহম্মদপুরে স্থাপিত হবে। দুই স্টোরেজে রাখা যাবে ৮ মেট্রিক টন আম।