জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএসসিসি কর্মকর্তারা মাঠে থাকবে

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আগামী দুই মাস আমাদের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী মাঠে থাকবে। যেখানেই জলাবদ্ধতা সেখানেই অতিদ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল নগর ভবনের ব্যাংক ফ্লোরে করপোরেশনের ধলপুর-তেলেগু সম্প্রদায়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মধ্যে ‘পরিচ্ছন্নকর্মী নিবাস’ এর বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএসসিসি নিজস্ব অর্থায়নে ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য সাধারণ বৃষ্টিপাত হলে যাতে ঢাকা শহরে পানি না জমে সে কাজ অতিদ্রুত সম্পন্ন করা। এছাড়া অতিভারি বৃষ্টি হলে আমরা যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি যেন তিন ঘণ্টার মধ্যে সব পানি নে?মে যেতে পারে। আর ভারি বর্ষণ হলে দুই ঘণ্টার মধ্যে পানি নেমে যাবে, পাশাপাশি মাঝারি বৃষ্টি হলে এক ঘণ্টার মধ্যে পানি যেন নেমে যেতে পারে আমরা সেই লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।

তিনি আরও বলেন, গতকাল অতিভারি যে বৃষ্টিপাত হয়েছে সে বৃষ্টিপাতে অনেক জায়গাতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে যেসব জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছে তা অন্যবারের তুলনায় কম সময় ছিল। বর্ষা মৌসুম আসছে, আমাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, তেলেগু সম্প্রদায়ের মধ্যে পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসের চাবি হস্তান্তরের মাধ্যমে, আজ থেকে দালাল চক্রের অবসান ঘটলো। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এখন থেকে আর দালালি করার সুযোগ পাওয়া যাবে না। যারা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী, যারা এ বাসার হকদার তারাই এ বাসাগুলো পাবে। কোন হকদার যেন বঞ্চিত না হয়, আমরা সেটা নিশ্চিত করব। মেয়র তাপস বলেন, অতীতে এমন উদাহরণ অনেক রয়েছে, বাসা বরাদ্দ পেয়েছে একজন, দখল করেছে আরেক জন। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এখন থেকে আর কোন দখলবাজি চলবে না। সিটি করপোরেশনের জায়গা দখল প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মেয়র তাপস আরও বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনেক জায়গা উত্তর সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা দখল করে রেখেছেন। আমরা সেগুলো দখলমুক্ত করার কার্যক্রম গ্রহণ করব। যারা উত্তর সিটি করপোরেশনে চাকরি করেন তাদের উত্তর সিটি করপোরেশনের জায়গায় চলে যেতে হবে। যারা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে চাকরি করেন কেবল তারাই দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এসব সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে মেয়র তাপস বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে নতুন করে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি এখন থেকে উন্মুক্ত স্থানে আর বর্জ্য পাওয়া যাবে না। পর্যায়ক্রমে আমরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে সম্পূর্ণরূপে বর্জ্য মুক্ত করব। আমি ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করব আপনারা কেউ উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলবেন না।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। সভা শেষে মেয়র তাপস তেলেগু সম্প্রদায়ের ৯৫ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মধ্যে পরিচ্ছন্ন কর্মী নিবাসের বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর করেন।

image

ঢাকা নগরীর সড়ক জলাবদ্ধতায় বিশুদ্ধ পানির সংকটে চরম দুর্ভোগে মানুষ। গতকাল পুরান ঢাকার নগরবাসীর পানির সংগ্রহের চেষ্টা -সংবাদ

আরও খবর
দেশে টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে
গজারিয়ায় কয়লা নয়, সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প করবে আরপিসিএল
লন্ডন জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর স্বার্থ সমুন্নত করবে আশা প্রধানমন্ত্রীর
৭ জুনের পর ফাইজারের টিকা প্রয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
টিকটক : রাজশাহীতে ৯ জন গ্রেপ্তার বস রাফিসহ রিমান্ডে ৪
ভাসানচর রোহিঙ্গাদের কাছে কক্সবাজারের চেয়ে ভালো
আশুলিয়ায় শিশুসহ দগ্ধ ৬
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ হল-ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার দাবি
বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ, ধর্ষককে ভাগিয়ে দিল দুই ইউপি সদস্য

বৃহস্পতিবার, ০৩ জুন ২০২১ , ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২১ শাওয়াল ১৪৪২

জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএসসিসি কর্মকর্তারা মাঠে থাকবে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

ঢাকা নগরীর সড়ক জলাবদ্ধতায় বিশুদ্ধ পানির সংকটে চরম দুর্ভোগে মানুষ। গতকাল পুরান ঢাকার নগরবাসীর পানির সংগ্রহের চেষ্টা -সংবাদ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আগামী দুই মাস আমাদের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী মাঠে থাকবে। যেখানেই জলাবদ্ধতা সেখানেই অতিদ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল নগর ভবনের ব্যাংক ফ্লোরে করপোরেশনের ধলপুর-তেলেগু সম্প্রদায়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মধ্যে ‘পরিচ্ছন্নকর্মী নিবাস’ এর বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএসসিসি নিজস্ব অর্থায়নে ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য সাধারণ বৃষ্টিপাত হলে যাতে ঢাকা শহরে পানি না জমে সে কাজ অতিদ্রুত সম্পন্ন করা। এছাড়া অতিভারি বৃষ্টি হলে আমরা যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি যেন তিন ঘণ্টার মধ্যে সব পানি নে?মে যেতে পারে। আর ভারি বর্ষণ হলে দুই ঘণ্টার মধ্যে পানি নেমে যাবে, পাশাপাশি মাঝারি বৃষ্টি হলে এক ঘণ্টার মধ্যে পানি যেন নেমে যেতে পারে আমরা সেই লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।

তিনি আরও বলেন, গতকাল অতিভারি যে বৃষ্টিপাত হয়েছে সে বৃষ্টিপাতে অনেক জায়গাতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে যেসব জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছে তা অন্যবারের তুলনায় কম সময় ছিল। বর্ষা মৌসুম আসছে, আমাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, তেলেগু সম্প্রদায়ের মধ্যে পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসের চাবি হস্তান্তরের মাধ্যমে, আজ থেকে দালাল চক্রের অবসান ঘটলো। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এখন থেকে আর দালালি করার সুযোগ পাওয়া যাবে না। যারা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী, যারা এ বাসার হকদার তারাই এ বাসাগুলো পাবে। কোন হকদার যেন বঞ্চিত না হয়, আমরা সেটা নিশ্চিত করব। মেয়র তাপস বলেন, অতীতে এমন উদাহরণ অনেক রয়েছে, বাসা বরাদ্দ পেয়েছে একজন, দখল করেছে আরেক জন। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এখন থেকে আর কোন দখলবাজি চলবে না। সিটি করপোরেশনের জায়গা দখল প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মেয়র তাপস আরও বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনেক জায়গা উত্তর সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা দখল করে রেখেছেন। আমরা সেগুলো দখলমুক্ত করার কার্যক্রম গ্রহণ করব। যারা উত্তর সিটি করপোরেশনে চাকরি করেন তাদের উত্তর সিটি করপোরেশনের জায়গায় চলে যেতে হবে। যারা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে চাকরি করেন কেবল তারাই দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এসব সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে মেয়র তাপস বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে নতুন করে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি এখন থেকে উন্মুক্ত স্থানে আর বর্জ্য পাওয়া যাবে না। পর্যায়ক্রমে আমরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে সম্পূর্ণরূপে বর্জ্য মুক্ত করব। আমি ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করব আপনারা কেউ উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলবেন না।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। সভা শেষে মেয়র তাপস তেলেগু সম্প্রদায়ের ৯৫ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মধ্যে পরিচ্ছন্ন কর্মী নিবাসের বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর করেন।