আশুলিয়ায় শিশুসহ দগ্ধ ৬

ঢাকার আশুলিয়ায় গ্যাস বিস্ফোরণে ৬ জন দগ্ধ হয়েছে। গতকাল আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ কবরস্থান রোডের হুমায়ন কবিরের সেমিপাকা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বিস্ফোরণে দেয়াল ফেটে যাওয়ায় বাড়িটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস। পাশাপাশি বাড়িটির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এদিকে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর নবোদয় হাইজিংয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকা-ের ঘটনায় ছেলের মৃত্যুর পর বাবা সোহেলেরও (৩৫) মৃত্যু হয়েছে।

আশুলিয়ার ঘটনায় দগ্ধরা হলেন, স্থানীয় জেন্টাল পার্ক নামে পোশাক তৈরি কারখানার অপারেটর রেনু বেগম (২৮), তার স্বামী প্যান্ট কারখানার শ্রমিক আউয়াল ইসলাম (৩৫) ও তাদের মেয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আরফিয়া (৯), ঢাকা ইপিজেডের সুইং অপারেটর আদুরী খাতুন (৩০) ও তার স্বামী ঢাকা নতুন ইপিজেডের ফিনিশিং আয়রনম্যান আবদুল হাকিম (৩৫) এবং জেন্টাল পার্কের টাইম কিপার আফরোজা বেগম (৪০)। বার্ন ইনস্টিটিউটের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানান, তাদের সবারই হাত মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে দগ্ধ হয়েছে। এ মধ্যে রেনুর শরীরের ১৫ শতাংশ, আউয়ালের ২৫ শতাংশ, আরফিয়ার ২২ শতাংশ, আদুরীর ১২ শতাংশ, হাকিম ২৩ শতাংশ ও আফরোজার শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

দগ্ধ আদুরী খাতুন জানান, স্বামীসহ তিনি ওই বাসায় সাড়ে ৩ বছর ধরে ভাড়া থাকেন। সেমিপাকা ওই বাড়িটিতে ১০টা রুমে থাকা সব ভড়াটিয়াই ওই এলাকার বিভিন্ন পোশাক তৈরি কারখানায় কাজ করে। মঙ্গলবার রাতে সবাই বাসায় ঘুমিয়েছিলেন। তিনি রান্নার জন্য ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন। এরপর বাথরুমে গেলে তখন বাসায় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। বাথরুম থেকে বের হতে হতে তিনিও দগ্ধ হন। কিভাবে আগুন লেগেছে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। তবে গত মঙ্গলবার থেকে গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছিলেন তিনি। সেই গ্যাসের কারণে এই আগুনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে তাদের ধারণা।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, ভোর ৫টার দিকে রান্না করার জন্য গ্যাসের চুলা জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গেই অগ্নিদগ্ধের ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাদের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউশনে স্থানান্তর করা হয়। বাসাটির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর জমে থাকা গ্যাসের কারণেই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে ফায়ার সার্ভিসের ধারণা।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা জোন-৪ এর সহকারী পরিচালক আবদুল আলীম বলেন, বিস্ফোরণের কারণে বাড়িটির তিনটি কক্ষের সবগুলো দেয়ালেই ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে বাড়িটি বসবাসের জন্য পুরোপুরি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তাই সিনটেপ দিয়ে সাময়িকভাবে বাড়িটি বন্ধ করে দিয়েছি, যাতে কেউ এখানে থাকতে বা যাতায়াত করতে না পারেন। সাভার আঞ্চলিক তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির উপ-ব্যবস্থাপক আবদুল মান্নান বলেন, বাড়িটিতে বিস্ফোরণের ঘটনার পরপর পরিদর্শন করা হয়েছে। টয়লেটের বায়োগ্যাস থেকে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। তারপরও আমরা নিরাপত্তার জন্য বাড়িটির গ্যাস সংযোগ আপাতত বিচ্ছিন্ন করেছি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সংযোগ দেয়া হবে।

ছেলের পর চলে গেলেন বাবাও

রাজধানীর মোহাম্মদপুর নবোদয় হাইজিংয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকা-ের ঘটনায় ছেলের মৃত্যুর পর এবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বাবা সোহেল (৩৫)। গত মঙ্গলবার ১টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৭৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে, তার শিশু সন্তান মোরসালিনের (২) মৃত্যু হয়।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল জানান, নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেলের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ সোহেলের স্ত্রী লাবনী এখনও ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছে। তার শরীরে ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাত পৌনে ৩টার দিকে নবোদয় হাউজিংয়ের সি ব্লকের ২ নম্বর টিনসেড বাড়িতে অগ্নিকা-ে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ হয়। রুমের ভিতর জমাট বাধা গ্যাস মশার কয়েলের সংস্পর্শে এলে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা ফায়ার সার্ভিসের।

মিরপুরে পুড়লো ৬ দোকান

রাজধানীর মিরপুরে বাউনিয়াবাঁধ এলাকায় অগ্নিকা-ে ৬টি দোকান পুড়ে গেছে। গতকাল বেলা সোয়া ১২টার দিকে একটি ঝাড়–র গোডাউন থেকে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট আধা ঘণ্টার চেষ্টায় পৌনে ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, কি কারণে আগুন লেগেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আরও খবর
দেশে টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে
গজারিয়ায় কয়লা নয়, সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প করবে আরপিসিএল
লন্ডন জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর স্বার্থ সমুন্নত করবে আশা প্রধানমন্ত্রীর
জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএসসিসি কর্মকর্তারা মাঠে থাকবে
৭ জুনের পর ফাইজারের টিকা প্রয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
টিকটক : রাজশাহীতে ৯ জন গ্রেপ্তার বস রাফিসহ রিমান্ডে ৪
ভাসানচর রোহিঙ্গাদের কাছে কক্সবাজারের চেয়ে ভালো
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ হল-ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার দাবি
বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ, ধর্ষককে ভাগিয়ে দিল দুই ইউপি সদস্য

বৃহস্পতিবার, ০৩ জুন ২০২১ , ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২১ শাওয়াল ১৪৪২

গ্যাস বিস্ফোরণ

আশুলিয়ায় শিশুসহ দগ্ধ ৬

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ঢাকার আশুলিয়ায় গ্যাস বিস্ফোরণে ৬ জন দগ্ধ হয়েছে। গতকাল আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ কবরস্থান রোডের হুমায়ন কবিরের সেমিপাকা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বিস্ফোরণে দেয়াল ফেটে যাওয়ায় বাড়িটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস। পাশাপাশি বাড়িটির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এদিকে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর নবোদয় হাইজিংয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকা-ের ঘটনায় ছেলের মৃত্যুর পর বাবা সোহেলেরও (৩৫) মৃত্যু হয়েছে।

আশুলিয়ার ঘটনায় দগ্ধরা হলেন, স্থানীয় জেন্টাল পার্ক নামে পোশাক তৈরি কারখানার অপারেটর রেনু বেগম (২৮), তার স্বামী প্যান্ট কারখানার শ্রমিক আউয়াল ইসলাম (৩৫) ও তাদের মেয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আরফিয়া (৯), ঢাকা ইপিজেডের সুইং অপারেটর আদুরী খাতুন (৩০) ও তার স্বামী ঢাকা নতুন ইপিজেডের ফিনিশিং আয়রনম্যান আবদুল হাকিম (৩৫) এবং জেন্টাল পার্কের টাইম কিপার আফরোজা বেগম (৪০)। বার্ন ইনস্টিটিউটের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানান, তাদের সবারই হাত মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে দগ্ধ হয়েছে। এ মধ্যে রেনুর শরীরের ১৫ শতাংশ, আউয়ালের ২৫ শতাংশ, আরফিয়ার ২২ শতাংশ, আদুরীর ১২ শতাংশ, হাকিম ২৩ শতাংশ ও আফরোজার শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

দগ্ধ আদুরী খাতুন জানান, স্বামীসহ তিনি ওই বাসায় সাড়ে ৩ বছর ধরে ভাড়া থাকেন। সেমিপাকা ওই বাড়িটিতে ১০টা রুমে থাকা সব ভড়াটিয়াই ওই এলাকার বিভিন্ন পোশাক তৈরি কারখানায় কাজ করে। মঙ্গলবার রাতে সবাই বাসায় ঘুমিয়েছিলেন। তিনি রান্নার জন্য ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন। এরপর বাথরুমে গেলে তখন বাসায় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। বাথরুম থেকে বের হতে হতে তিনিও দগ্ধ হন। কিভাবে আগুন লেগেছে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। তবে গত মঙ্গলবার থেকে গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছিলেন তিনি। সেই গ্যাসের কারণে এই আগুনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে তাদের ধারণা।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, ভোর ৫টার দিকে রান্না করার জন্য গ্যাসের চুলা জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গেই অগ্নিদগ্ধের ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাদের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউশনে স্থানান্তর করা হয়। বাসাটির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর জমে থাকা গ্যাসের কারণেই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে ফায়ার সার্ভিসের ধারণা।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা জোন-৪ এর সহকারী পরিচালক আবদুল আলীম বলেন, বিস্ফোরণের কারণে বাড়িটির তিনটি কক্ষের সবগুলো দেয়ালেই ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে বাড়িটি বসবাসের জন্য পুরোপুরি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তাই সিনটেপ দিয়ে সাময়িকভাবে বাড়িটি বন্ধ করে দিয়েছি, যাতে কেউ এখানে থাকতে বা যাতায়াত করতে না পারেন। সাভার আঞ্চলিক তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির উপ-ব্যবস্থাপক আবদুল মান্নান বলেন, বাড়িটিতে বিস্ফোরণের ঘটনার পরপর পরিদর্শন করা হয়েছে। টয়লেটের বায়োগ্যাস থেকে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। তারপরও আমরা নিরাপত্তার জন্য বাড়িটির গ্যাস সংযোগ আপাতত বিচ্ছিন্ন করেছি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সংযোগ দেয়া হবে।

ছেলের পর চলে গেলেন বাবাও

রাজধানীর মোহাম্মদপুর নবোদয় হাইজিংয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকা-ের ঘটনায় ছেলের মৃত্যুর পর এবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বাবা সোহেল (৩৫)। গত মঙ্গলবার ১টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৭৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে, তার শিশু সন্তান মোরসালিনের (২) মৃত্যু হয়।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল জানান, নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেলের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ সোহেলের স্ত্রী লাবনী এখনও ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছে। তার শরীরে ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাত পৌনে ৩টার দিকে নবোদয় হাউজিংয়ের সি ব্লকের ২ নম্বর টিনসেড বাড়িতে অগ্নিকা-ে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ হয়। রুমের ভিতর জমাট বাধা গ্যাস মশার কয়েলের সংস্পর্শে এলে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা ফায়ার সার্ভিসের।

মিরপুরে পুড়লো ৬ দোকান

রাজধানীর মিরপুরে বাউনিয়াবাঁধ এলাকায় অগ্নিকা-ে ৬টি দোকান পুড়ে গেছে। গতকাল বেলা সোয়া ১২টার দিকে একটি ঝাড়–র গোডাউন থেকে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট আধা ঘণ্টার চেষ্টায় পৌনে ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, কি কারণে আগুন লেগেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।