শিক্ষা ও গণশিক্ষায় বরাদ্দ ৭১ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা গ্র্যাজুয়েটদের জন্য ইন্টার্নশিপ

আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে শিক্ষা খাতে মোট ৭১ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমান ২০২০-২১ অর্থবছরে এ খাতে মোট বরাদ্দ ছিল ৬৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রস্তাবিত অর্থবছরে শিক্ষা খাতে পাঁচ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গতকাল জাতীয় সংসদে আসন্ন অর্থবছরের জন্য এই বরাদ্দের প্রস্তাব করেন।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি বছর আমাদের দেশে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে চাকরিতে প্রবেশের উপযোগী হচ্ছে। এসব সদ্য গ্র্যাজুয়েটরা যাতে সহজেই স্বীয় ক্ষেত্রে চাকরি পেতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরের মাধ্যমে তাদের জন্য ইন্টার্নশিপ কার্যক্রম চালুর ওপর জোর দেবে। সে লক্ষ্যে আমি ঘোষণা প্রদান করছি, এই ইন্টার্নশিপ কার্যক্রম অবিলম্বে চালুর জন্য আগামী অর্থবছরে এ বিষয়ে একটি ‘পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক’ প্রণয়ন করা হবে।’

করোনা সংক্রমণের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়টি উঠে আসে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায়।

দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় টেলিভিশন ও অনলাইনে ক্লাস নেয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাকালে শুধু মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে অনলাইনে ২৯ লাখ ৯ হাজার ৮৪৪টি ক্লাসের আয়োজন করা হয়। মোট ২০ হাজার ৪৯৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫ হাজার ৬৭৬টি এবং চার হাজার ২৩৮টি কলেজের মধ্যে ৭০০টিতে অনলাইনে ক্লাস চালু করা হয়েছে।’

করোনাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনলাইনে মোট চার লাখ ৯৭ হাজার ২০০টি ক্লাসের আয়োজন করা হয় জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এসব ক্লাসে দুই কোটি ৭৬ লাখ ৯১ হাজার ৪০৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। বিদ্যালয় পর্যায়ে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কেনার জন্য ৪১ হাজার ৫০১ জন শিক্ষার্থীকে সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২৬ হাজার ৩১১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন। চলতি অর্থবছরে (২০২০-২১) এই মন্ত্রণালয়ের অধীনে বরাদ্দ ছিল ২৪ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য প্রস্তাবিত অর্থবছরে ৩৬ হাজার ৪৮৬ কোটি

টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। যা চলতি অর্থবছরে এ বিভাগের অধীনে বরাদ্দ ছিল ৩৩ হাজার ১১৮ কোটি টাকা।

একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য প্রস্তাবিত অর্থবছরে ৯ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দের করা হয়েছে। বর্তমান অর্থবছরে এ বিভাগের অধীনে বরাদ্দ ছিল আট হাজার ৩৪৫ টাকা।

শুক্রবার, ০৪ জুন ২০২১ , ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২২ শাওয়াল ১৪৪২

শিক্ষা ও গণশিক্ষায় বরাদ্দ ৭১ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা গ্র্যাজুয়েটদের জন্য ইন্টার্নশিপ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে শিক্ষা খাতে মোট ৭১ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমান ২০২০-২১ অর্থবছরে এ খাতে মোট বরাদ্দ ছিল ৬৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রস্তাবিত অর্থবছরে শিক্ষা খাতে পাঁচ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গতকাল জাতীয় সংসদে আসন্ন অর্থবছরের জন্য এই বরাদ্দের প্রস্তাব করেন।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি বছর আমাদের দেশে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে চাকরিতে প্রবেশের উপযোগী হচ্ছে। এসব সদ্য গ্র্যাজুয়েটরা যাতে সহজেই স্বীয় ক্ষেত্রে চাকরি পেতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরের মাধ্যমে তাদের জন্য ইন্টার্নশিপ কার্যক্রম চালুর ওপর জোর দেবে। সে লক্ষ্যে আমি ঘোষণা প্রদান করছি, এই ইন্টার্নশিপ কার্যক্রম অবিলম্বে চালুর জন্য আগামী অর্থবছরে এ বিষয়ে একটি ‘পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক’ প্রণয়ন করা হবে।’

করোনা সংক্রমণের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়টি উঠে আসে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায়।

দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় টেলিভিশন ও অনলাইনে ক্লাস নেয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাকালে শুধু মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে অনলাইনে ২৯ লাখ ৯ হাজার ৮৪৪টি ক্লাসের আয়োজন করা হয়। মোট ২০ হাজার ৪৯৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫ হাজার ৬৭৬টি এবং চার হাজার ২৩৮টি কলেজের মধ্যে ৭০০টিতে অনলাইনে ক্লাস চালু করা হয়েছে।’

করোনাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনলাইনে মোট চার লাখ ৯৭ হাজার ২০০টি ক্লাসের আয়োজন করা হয় জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এসব ক্লাসে দুই কোটি ৭৬ লাখ ৯১ হাজার ৪০৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। বিদ্যালয় পর্যায়ে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কেনার জন্য ৪১ হাজার ৫০১ জন শিক্ষার্থীকে সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২৬ হাজার ৩১১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন। চলতি অর্থবছরে (২০২০-২১) এই মন্ত্রণালয়ের অধীনে বরাদ্দ ছিল ২৪ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য প্রস্তাবিত অর্থবছরে ৩৬ হাজার ৪৮৬ কোটি

টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। যা চলতি অর্থবছরে এ বিভাগের অধীনে বরাদ্দ ছিল ৩৩ হাজার ১১৮ কোটি টাকা।

একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য প্রস্তাবিত অর্থবছরে ৯ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দের করা হয়েছে। বর্তমান অর্থবছরে এ বিভাগের অধীনে বরাদ্দ ছিল আট হাজার ৩৪৫ টাকা।