বাজেট কল্পনাপ্রসূত, এটি বাস্তবায়নযোগ্য নয় : জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট কল্পনাপ্রসূত, এটি বাস্তবায়নযোগ্য নয়। গতকাল বিকেলে জাতীয় সংসদের বাইরে বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তব্যের শুরুতে বলেছেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে একটি অস্থিরতা বিরাজ করছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কোন কিছুই সুনির্দিষ্টভাবে জানা যাচ্ছে না। বিশেষ করে, সামনের দিকে কী হবে তাও ভালোমতো ফোকাস করা যাচ্ছে না। সে কারণে বাজেটে অনেক কিছু তাকে ধারণার বশবর্তী হয়ে করতে হয়েছে। তাই তার বক্তব্য থেকে এটাই মনে হয়েছে যে, সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূত বাজেট তৈরি করেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এটি অবাস্তবায়নযোগ্য বাজেট। তিনি আরও বলেন, এই বাজেট সঙ্গে বাস্তবতার সম্পর্ক কমই থাকবে। এই বাজেট কোনভাবেই বাস্তবায়নযোগ্য হবে বলে মনে হচ্ছে না আমাদের। এর সংশোধন হয়তো সামনে করতে হবে। আমরা মনে করি, এই বাজেট এতোই সংশোধন করতে হবে যে, মূল বাজেটের কোন রূপরেখা রাখা সম্ভব হবে না।

জিএম কাদের বলেন, গত বছরের বাজেট ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার। এবার ৩৫ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৮১ কোটি টাকা। কিন্তু রাজস্ব ১০ শতাংশ বাড়িয়েছে। এটার কোন দরকার ছিল না। কারণ করোনার কারণে অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। গতবছর যে রাজস্ব ধরা হয়েছিল গত ১০ মাসে সেটা ৬০ শতাংশ আদায় করতে পারেনি। সামনে দুই মাসে কতটুকু পারবে সেটা তারা নিজেরাও জানে না। আমার জানা মতে, বাংলাদেশের ইতিহাসে এতো রেকর্ড পরিমাণ ঘাটতি আর কখনও ছিল না। ৬ দশমিক ২ শতাংশের মতো জিডিপি ঘাটতি বাজেট এর আগে কখনও হয়নি।

তিনি বলেন, করোনার কারণে যারা কর্মহীন ও দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে তাদের জন্য কর্মসংস্থান বা আর্থিক সহায়তার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন দিকনির্দেশনা বাজেটে নেই। স্বাস্থ্যখাত নিয়ে মানুষের আশা আকাক্সক্ষা ছিল ব্যাপক। ধারণা করা হচ্ছিল এ খাতে ব্যাপক বরাদ্দ বাড়বে। কিন্তু বাস্তবে খুব সামান্যই বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।

বাজেটে ঘাটতি মেটানোর জন্য যেসব খাত থেকে অর্থ আসবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে তা অনিশ্চিত উল্লেখ করে সাবেক এ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তারা দেশি বিদেশি বিনিয়োগ খাত থেকে ঋণ নেয়ার কথা বলছে। কিন্তু অর্থনীতি যে দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে সামনে কী পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে বলা সম্ভব নয়। কাজেই সার্বিকভাবে মনে করি, এই বাজেট অবাস্তব। যা কোনভাবেই বাস্তবায়নযোগ্য নয়।

আরও খবর
সীমান্তের বিভিন্ন জেলায় লকডাউন কার্যকর
জাতীয় চা দিবস আজ
লুটপাট বন্ধ না হলে বাজেটের কাক্সিক্ষত ফল পাওয়া যাবে না
বাজেট সংকটকালীন সময়োপযোগী : কাদের
রংপুর চেম্বার অব কমার্সের হতাশা
রেলের টিকিট কাউন্টারে বিক্রি ৮ জুন থেকে
করোনার নমুনা পরীক্ষা ও সংক্রমণ কমেছে
বাদীর সন্দেহ সাবলেট কানিজকে, ফিঙ্গার প্রিন্টে খুনি শনাক্তের চেষ্টা
বাড়ির নকশা অনুমোদন নিতে টিআইএন লাগবে
বাজেটে কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ ঘোষণা না দেয়ায় সাধুবাদ টিআইবির
হল না খুললে ৬ জুন থেকে বিক্ষোভ করবে ঢাবি শিক্ষার্থীরা
রাবিতে সশরীরে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত খুলছে না হল
গফরগাঁওয়ে দুই বোনকে ভারতে পাচার, অনুপ্রবেশের দায়ে আটক

শুক্রবার, ০৪ জুন ২০২১ , ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২২ শাওয়াল ১৪৪২

বাজেট কল্পনাপ্রসূত, এটি বাস্তবায়নযোগ্য নয় : জিএম কাদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট কল্পনাপ্রসূত, এটি বাস্তবায়নযোগ্য নয়। গতকাল বিকেলে জাতীয় সংসদের বাইরে বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তব্যের শুরুতে বলেছেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে একটি অস্থিরতা বিরাজ করছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কোন কিছুই সুনির্দিষ্টভাবে জানা যাচ্ছে না। বিশেষ করে, সামনের দিকে কী হবে তাও ভালোমতো ফোকাস করা যাচ্ছে না। সে কারণে বাজেটে অনেক কিছু তাকে ধারণার বশবর্তী হয়ে করতে হয়েছে। তাই তার বক্তব্য থেকে এটাই মনে হয়েছে যে, সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূত বাজেট তৈরি করেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এটি অবাস্তবায়নযোগ্য বাজেট। তিনি আরও বলেন, এই বাজেট সঙ্গে বাস্তবতার সম্পর্ক কমই থাকবে। এই বাজেট কোনভাবেই বাস্তবায়নযোগ্য হবে বলে মনে হচ্ছে না আমাদের। এর সংশোধন হয়তো সামনে করতে হবে। আমরা মনে করি, এই বাজেট এতোই সংশোধন করতে হবে যে, মূল বাজেটের কোন রূপরেখা রাখা সম্ভব হবে না।

জিএম কাদের বলেন, গত বছরের বাজেট ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার। এবার ৩৫ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৮১ কোটি টাকা। কিন্তু রাজস্ব ১০ শতাংশ বাড়িয়েছে। এটার কোন দরকার ছিল না। কারণ করোনার কারণে অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। গতবছর যে রাজস্ব ধরা হয়েছিল গত ১০ মাসে সেটা ৬০ শতাংশ আদায় করতে পারেনি। সামনে দুই মাসে কতটুকু পারবে সেটা তারা নিজেরাও জানে না। আমার জানা মতে, বাংলাদেশের ইতিহাসে এতো রেকর্ড পরিমাণ ঘাটতি আর কখনও ছিল না। ৬ দশমিক ২ শতাংশের মতো জিডিপি ঘাটতি বাজেট এর আগে কখনও হয়নি।

তিনি বলেন, করোনার কারণে যারা কর্মহীন ও দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে তাদের জন্য কর্মসংস্থান বা আর্থিক সহায়তার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন দিকনির্দেশনা বাজেটে নেই। স্বাস্থ্যখাত নিয়ে মানুষের আশা আকাক্সক্ষা ছিল ব্যাপক। ধারণা করা হচ্ছিল এ খাতে ব্যাপক বরাদ্দ বাড়বে। কিন্তু বাস্তবে খুব সামান্যই বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।

বাজেটে ঘাটতি মেটানোর জন্য যেসব খাত থেকে অর্থ আসবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে তা অনিশ্চিত উল্লেখ করে সাবেক এ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তারা দেশি বিদেশি বিনিয়োগ খাত থেকে ঋণ নেয়ার কথা বলছে। কিন্তু অর্থনীতি যে দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে সামনে কী পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে বলা সম্ভব নয়। কাজেই সার্বিকভাবে মনে করি, এই বাজেট অবাস্তব। যা কোনভাবেই বাস্তবায়নযোগ্য নয়।