পূর্বধলা সদরে নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা : ভোগান্তি চরমে

নেত্রকোনার পূর্বধলা সদরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। সামান্য বৃষ্টি হলেই দোকান ও বাসাবাড়ির পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এমনকি উপজেলার বিভিন্ন অফিসেও পানি থৈ থৈ করে। পূর্বধলা বাজারের থানা রোড হতে জামতলা, স্টেশন বাজার হতে খাদ্যগুদাম রোড, বালিকা বিদ্যালয় রোড, জামতলা বাজার, উপজেলা পরিষদে’র কোনো কোনো অংশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগন। পূর্বধলা বাজার, স্টেশন রোডের সোনালী ব্যাংক ও স্টেশন বাজারের আংশিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও তা পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা নাজুক। পরিচ্ছন্ন কর্মী না থাকায় এসব ড্রেনের বেশির ভাগই সময়মতো পরিস্কার হয়না। পাশাপাশি কতিপয় কিছু লোক কাঁচা-পাকা ড্রেনের পাশে ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলার পাশাপাশি বালু পাথরের মত নির্মাণ সামগ্রী রেখেও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা রুদ্ধ করছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিন দিন ঘনবসতির কারণে পুকুর ডোবা ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই ফলে একটু বৃষ্টিতেই রাস্তাসহ বাসাবাড়িতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে নানা অসুবিধা হচ্ছে। বর্ষাকালে ব্যবসায়ী ও স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা যাতায়েত করতে পারেনা। তারা আরো জানান, বাতিলকৃত পৌরসভা পুনঃস্থাপিত হলে পরিকল্পিত নগরায়ন এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা পৌরসভার মাধ্যমে বাস্তবায়ন হতো। পৌরসভা না থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়তই তবে স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে উদ্যোগী হচ্ছেনা অনেকেই মনে করেন। স্থানীয়দের দাবি যেন দ্রুত ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং যথাসময়ে পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেয়া। উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন বলেন, নতুন অর্থ বছরে সারা উপজেলা সদর ড্রেনেজ ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে সে পরিকল্পনা নিয়েই কাজ করছি। আর ভরাট ড্রেনগুলো পরিস্কার করার কাজও আমার নিজ উদ্যোগে চলমান আছে।

পূর্বধলা উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আলীম লিটন বলেন, বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। তবে আগামী অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

শনিবার, ০৫ জুন ২০২১ , ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৩ শাওয়াল ১৪৪২

পূর্বধলা সদরে নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা : ভোগান্তি চরমে

প্রতিনিধি, পূর্বধলা (নেত্রকোনা)

image

পূর্বধলা (নেত্রকোনা) : সদরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় -সংবাদ

নেত্রকোনার পূর্বধলা সদরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। সামান্য বৃষ্টি হলেই দোকান ও বাসাবাড়ির পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এমনকি উপজেলার বিভিন্ন অফিসেও পানি থৈ থৈ করে। পূর্বধলা বাজারের থানা রোড হতে জামতলা, স্টেশন বাজার হতে খাদ্যগুদাম রোড, বালিকা বিদ্যালয় রোড, জামতলা বাজার, উপজেলা পরিষদে’র কোনো কোনো অংশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগন। পূর্বধলা বাজার, স্টেশন রোডের সোনালী ব্যাংক ও স্টেশন বাজারের আংশিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও তা পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা নাজুক। পরিচ্ছন্ন কর্মী না থাকায় এসব ড্রেনের বেশির ভাগই সময়মতো পরিস্কার হয়না। পাশাপাশি কতিপয় কিছু লোক কাঁচা-পাকা ড্রেনের পাশে ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলার পাশাপাশি বালু পাথরের মত নির্মাণ সামগ্রী রেখেও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা রুদ্ধ করছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিন দিন ঘনবসতির কারণে পুকুর ডোবা ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই ফলে একটু বৃষ্টিতেই রাস্তাসহ বাসাবাড়িতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে নানা অসুবিধা হচ্ছে। বর্ষাকালে ব্যবসায়ী ও স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা যাতায়েত করতে পারেনা। তারা আরো জানান, বাতিলকৃত পৌরসভা পুনঃস্থাপিত হলে পরিকল্পিত নগরায়ন এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা পৌরসভার মাধ্যমে বাস্তবায়ন হতো। পৌরসভা না থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়তই তবে স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে উদ্যোগী হচ্ছেনা অনেকেই মনে করেন। স্থানীয়দের দাবি যেন দ্রুত ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং যথাসময়ে পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেয়া। উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন বলেন, নতুন অর্থ বছরে সারা উপজেলা সদর ড্রেনেজ ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে সে পরিকল্পনা নিয়েই কাজ করছি। আর ভরাট ড্রেনগুলো পরিস্কার করার কাজও আমার নিজ উদ্যোগে চলমান আছে।

পূর্বধলা উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আলীম লিটন বলেন, বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। তবে আগামী অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।