বাস্তবতার নিরিখে বাজেট, বাস্তবায়নই সমস্যা মির্জা আজিজুল ইসলাম

প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বিশাল অংকের বাজেট বাস্তবতার নিরিখে সমর্থন যোগ্য হলেও বাস্তবায়নের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বাজেটে যেসব লক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে, তা দেশের প্রয়োজন ও করোনা মহামারীর কারণে সমর্থনযোগ্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় অতীত অভিজ্ঞার আলোকে বলতে পারি, আমাদের বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা নেই, তাই এই বাজেটেও বাস্তবয়ন হবে না।

চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণে এনবিআরের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে এনবিআরের রাজস্ব আদায় করেছে ১ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। আগামী ২ মাসে ১ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব নয়। আগামী অর্থবছরেও প্রায় সমপরিমাণ টার্গেট ধরা হয়েছে। এই টার্গেটও বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব নয়।

তবে, বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতকেও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বাজেটে বেশ কিছু প্রণোদনা ও ভর্তুকির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, এগুলো পজেটিভ। এক কথায় বলা যায়, বাজেটে সরকারের লক্ষমাত্রা প্রয়োজনের নিরিখে সমর্থনযোগ্য।

প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নে সরকারকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট অফিস ও দপ্তরগুলোর দক্ষতা বাড়াতে হবে। সংশ্লিষ্টদের পুরস্কারের পাশাপাশি তিরস্কারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। নতুবা প্রত্যেক বছরের মতো আগামী অর্থবছরেও বাজেট পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।

শনিবার, ০৫ জুন ২০২১ , ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৩ শাওয়াল ১৪৪২

বাজেট প্রতিক্রিয়া

বাস্তবতার নিরিখে বাজেট, বাস্তবায়নই সমস্যা মির্জা আজিজুল ইসলাম

প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বিশাল অংকের বাজেট বাস্তবতার নিরিখে সমর্থন যোগ্য হলেও বাস্তবায়নের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বাজেটে যেসব লক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে, তা দেশের প্রয়োজন ও করোনা মহামারীর কারণে সমর্থনযোগ্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় অতীত অভিজ্ঞার আলোকে বলতে পারি, আমাদের বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা নেই, তাই এই বাজেটেও বাস্তবয়ন হবে না।

চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণে এনবিআরের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে এনবিআরের রাজস্ব আদায় করেছে ১ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। আগামী ২ মাসে ১ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব নয়। আগামী অর্থবছরেও প্রায় সমপরিমাণ টার্গেট ধরা হয়েছে। এই টার্গেটও বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব নয়।

তবে, বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতকেও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বাজেটে বেশ কিছু প্রণোদনা ও ভর্তুকির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, এগুলো পজেটিভ। এক কথায় বলা যায়, বাজেটে সরকারের লক্ষমাত্রা প্রয়োজনের নিরিখে সমর্থনযোগ্য।

প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নে সরকারকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট অফিস ও দপ্তরগুলোর দক্ষতা বাড়াতে হবে। সংশ্লিষ্টদের পুরস্কারের পাশাপাশি তিরস্কারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। নতুবা প্রত্যেক বছরের মতো আগামী অর্থবছরেও বাজেট পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।