কীর্তনখোলার তলদেশ ভরাটে

সামান্য বৃষ্টিতেই নগরী প্লাবিত

দুর্বল পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার সঙ্গে কীর্তনখোলা নদীর তলদেশ ক্রমেই ভরাট হয়ে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই বরিশাল মহানগরীর বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এমনকি মৌসুমি জোয়ারের সময়ও বিনা বৃষ্টিপাতে নগরীর ড্রেন উপচে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাও পানিতে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। নগরীর অনেক নিচু এলাকাও জোয়ারের পানিতে সয়লাব হচ্ছে। দিনের পর দিন জলাবদ্ধতার শিকার অনেক এলাকায় মানবিক বিপর্যয়রেও সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর প্রভাবে ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ১৬.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতেই নগরীর বেশিরভাগ রাস্তাঘাট ছিল পানির নিচে। বৃষ্টির পানির বদলে ওইদিন মূলত জেয়ারের পানি কীর্তনখোলায় সংযুক্ত ৭টি খাল দিয়ে নগরীতে প্রবেশ করে জনজীবন অচল করে দেয়।

এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন কারিগরি জরিপ পরিচালিত না হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের একাধিক দায়িত্বশীল প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে মহানগরীর পাশে প্রবহমান কীর্তনখোলা নদীর তলদেশ ভরাটের বিষয়টি স্বীকার করেন। এ কারণে শুধু পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাই নয়, ভবিষ্যতে নগরীর অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা আরও দীর্ঘ সময় পানির তলায় থাকার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন প্রকৌশলীরা। পরিস্থিতি উত্তরণে কীর্তনখোলার সঙ্গে সংযুক্ত খালগুলোর মুখে রেগুলেটর ও পাম্প হাউজ নির্মাণসহ মহানগরীর সবগুলো খাল পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি তা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণেরও তাগিদ দিয়েছেন কারিগরি বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে একটি পরিপূর্ণ ‘মডেল স্ট্যাডি’ করে বরিশাল বন্দরে দীর্ঘমেয়াদি ড্রেজিং করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন প্রকৌশলীরা।

গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বরিশাল নদীবন্দরের নাব্য রক্ষায় বিআইডব্লিটিএ কর্র্তৃক কীর্তনখোলায় অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজিং করে নদীতেই সেই পলি ফেলে দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে কারিগরি কমিটির দিকনির্দেশনা ছিল মূল ভাটার সময় বন্দরের সামনের পলি অপসারণ করে তা কীর্তনখোলার অন্য পাড়ের ভাঙনকবলিত এলাকায় ফেলার। প্রয়োজনে এ লক্ষ্যে বন্দরের নৌ-চলাচল প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা বন্ধ রাখারও সুপারিশ করা হয়েছিল।

কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ সে নির্দেশনা অনুসরণ না করে জোয়ার-ভাটার চিন্তা না করেই তাদের সময় সুযোগ মতো ড্রেজিং করে লঞ্চঘাট ও নৌযানের গতিপথ ঠিক রাখার জন্য নদীর মধ্যভাগে পলি অপসরণ করেছে। ফলে গত প্রায় ২০ বছরে নীরবে বরিশাল বন্দর থেকে ভাটি এলাকার দপদপিয়ায় সেতু পর্যন্ত কীর্তনখোলার তলদেশ ক্রমেই ভড়াট হয়ে গেছে। যারই ফলশ্রুতিতে একটি বড় জোয়ার হলেই এখন বরিশাল মহানগরীর রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি উত্তরণে তেমন কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেই। বরিশাল সিটি করপোরেশন গত প্রায় ৫ বছর ধরে নগরীর কিছু খাল খনন করে পুনরুদ্ধারের প্রকল্প নিয়ে মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশনে দৌঁড়ঝাপ করলেও তা অনুমোদন লাভ করেনি এবং প্রতিবছরই খাল পুনরুদ্ধারের নামে প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করে অর্থাভাবে তা শেষ করতে পারছে না। সাবেক নগর পরিষদের সময় এ লক্ষ্যে প্রায় সোয়া ২শ’ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে মন্ত্রণালয়ে একটি ‘উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তবনা-ডিপিপি’ দাখিল করলেও ইতোমধ্যে নতুন নগর পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণ করে। বর্তমান পরিষদ প্রায় সাড়ে ১১শ’ কোটি টাকার একটি ভিন্ন ডিপিপি দাখিল করে। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে পরমার্শক নিয়োগ করে প্রকল্প ব্যয় কমিয়ে ডিপিপিটি পুনর্গঠনের দিকনির্দেশনা দিয়ে তা ফেরত দেয়।

নগর কর্তৃপক্ষ পরবর্তিতে পরামর্শকের মাধ্যেমে প্রায় ২ হাজার ২শ’ কেটি টাকার একটি সংশোধিত ডিপিপি দাখিল করলেও মন্ত্রণালয় তা অনুমোদন না করে ফেরত পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এসব ডিপিপি প্রস্তুতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করা হয়নি বলে একটি অসমর্থিক সূত্রে জানা গেছে।

অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড অনেকটা স্বপ্রণোদিত হয়ে বরিশাল মহানগরীর ৭টি খাল সংস্কারে ১০.৭৫ কোটি টাকার একটি ডিপিপি মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছে বলে জানা গেছে। আগামী অর্থবছরে নগরীর পলাশপুর খাল, আমনতগঞ্জ খাল, জেলখাল, ভাটার খাল, চাঁদমারী খাল, সাগরদী খাল ও রূপাতলী খালগুলোর প্রায় ১৮ কিলোমিটার অংশ সংস্কার করার প্রস্তাবনা রয়েছে ডিপিপিতে। প্রকল্পের আওতায় এসব খালের দু’ধারে ওয়াকওয়ে নির্মাণসহ লোকজনের বসার জন্য কিছু অবকাঠামো নির্মাণের কথাও বলা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এসব খাল সংস্কার করে দিলেও তার পরবর্তী মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনকেই বহন করতে হবে বলে জানা গেছে। তবে নবগ্রাম রোড খালটি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত না করায় নগরীর পশ্চিম অংশের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায় অনিশ্চয়তা থেকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক প্রকৌশলী।

পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ড কয়েকটি খাল সংস্কার করার উদ্যোগ নিলেও নগর ভবনকে নগরীর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়নের পাশাপাশি তা রক্ষণাবেক্ষণে অধিকতর মনোযোগী হওয়ারও পরামর্শ নিয়েছেন একাধিক পরিবেশবিদ।

image

বৃষ্টিতে ডুবে যাওয়া বরিশাল মহানগরী -সংবাদ

আরও খবর
বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার টোল আদায় সেতুমন্ত্রী
অর্থ পাচারে সরকারি দলের এমপির ক্ষোভ
ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস আজ
জিটিসির হাত ধরে তৃতীয়বারের মতো লাভের মুখ দেখছে
বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষা আর্মি স্টেডিয়ামে
টিকা নিয়ে নয়ছয়, জনজীবন হুমকির মুখে সংসদে রুমিন ফারহানা
সীমান্ত নিরাপত্তা দুর্বলতায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আসছে হারুনুর রশীদ
রেকর্ড পাচার, নষ্ট বা হ্যাক করলে জেল-জরিমানা
বিধি তৈরি না করেই ভারতে নাগরিকত্ব আইন!
নদী খননে দুর্নীতি ও প্রতারণা হচ্ছে বাপা
হল বন্ধ, ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার ঢাবি ছাত্রীর লাশ
কেরামত হুজুরের কেরামতির নামে ধর্ষণ, মামলা, গ্রেপ্তার

সোমবার, ০৭ জুন ২০২১ , ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৫ শাওয়াল ১৪৪২

কীর্তনখোলার তলদেশ ভরাটে

সামান্য বৃষ্টিতেই নগরী প্লাবিত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

image

বৃষ্টিতে ডুবে যাওয়া বরিশাল মহানগরী -সংবাদ

দুর্বল পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার সঙ্গে কীর্তনখোলা নদীর তলদেশ ক্রমেই ভরাট হয়ে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই বরিশাল মহানগরীর বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এমনকি মৌসুমি জোয়ারের সময়ও বিনা বৃষ্টিপাতে নগরীর ড্রেন উপচে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাও পানিতে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। নগরীর অনেক নিচু এলাকাও জোয়ারের পানিতে সয়লাব হচ্ছে। দিনের পর দিন জলাবদ্ধতার শিকার অনেক এলাকায় মানবিক বিপর্যয়রেও সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর প্রভাবে ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ১৬.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতেই নগরীর বেশিরভাগ রাস্তাঘাট ছিল পানির নিচে। বৃষ্টির পানির বদলে ওইদিন মূলত জেয়ারের পানি কীর্তনখোলায় সংযুক্ত ৭টি খাল দিয়ে নগরীতে প্রবেশ করে জনজীবন অচল করে দেয়।

এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন কারিগরি জরিপ পরিচালিত না হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের একাধিক দায়িত্বশীল প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে মহানগরীর পাশে প্রবহমান কীর্তনখোলা নদীর তলদেশ ভরাটের বিষয়টি স্বীকার করেন। এ কারণে শুধু পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাই নয়, ভবিষ্যতে নগরীর অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা আরও দীর্ঘ সময় পানির তলায় থাকার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন প্রকৌশলীরা। পরিস্থিতি উত্তরণে কীর্তনখোলার সঙ্গে সংযুক্ত খালগুলোর মুখে রেগুলেটর ও পাম্প হাউজ নির্মাণসহ মহানগরীর সবগুলো খাল পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি তা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণেরও তাগিদ দিয়েছেন কারিগরি বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে একটি পরিপূর্ণ ‘মডেল স্ট্যাডি’ করে বরিশাল বন্দরে দীর্ঘমেয়াদি ড্রেজিং করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন প্রকৌশলীরা।

গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বরিশাল নদীবন্দরের নাব্য রক্ষায় বিআইডব্লিটিএ কর্র্তৃক কীর্তনখোলায় অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজিং করে নদীতেই সেই পলি ফেলে দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে কারিগরি কমিটির দিকনির্দেশনা ছিল মূল ভাটার সময় বন্দরের সামনের পলি অপসারণ করে তা কীর্তনখোলার অন্য পাড়ের ভাঙনকবলিত এলাকায় ফেলার। প্রয়োজনে এ লক্ষ্যে বন্দরের নৌ-চলাচল প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা বন্ধ রাখারও সুপারিশ করা হয়েছিল।

কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ সে নির্দেশনা অনুসরণ না করে জোয়ার-ভাটার চিন্তা না করেই তাদের সময় সুযোগ মতো ড্রেজিং করে লঞ্চঘাট ও নৌযানের গতিপথ ঠিক রাখার জন্য নদীর মধ্যভাগে পলি অপসরণ করেছে। ফলে গত প্রায় ২০ বছরে নীরবে বরিশাল বন্দর থেকে ভাটি এলাকার দপদপিয়ায় সেতু পর্যন্ত কীর্তনখোলার তলদেশ ক্রমেই ভড়াট হয়ে গেছে। যারই ফলশ্রুতিতে একটি বড় জোয়ার হলেই এখন বরিশাল মহানগরীর রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি উত্তরণে তেমন কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেই। বরিশাল সিটি করপোরেশন গত প্রায় ৫ বছর ধরে নগরীর কিছু খাল খনন করে পুনরুদ্ধারের প্রকল্প নিয়ে মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশনে দৌঁড়ঝাপ করলেও তা অনুমোদন লাভ করেনি এবং প্রতিবছরই খাল পুনরুদ্ধারের নামে প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করে অর্থাভাবে তা শেষ করতে পারছে না। সাবেক নগর পরিষদের সময় এ লক্ষ্যে প্রায় সোয়া ২শ’ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে মন্ত্রণালয়ে একটি ‘উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তবনা-ডিপিপি’ দাখিল করলেও ইতোমধ্যে নতুন নগর পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণ করে। বর্তমান পরিষদ প্রায় সাড়ে ১১শ’ কোটি টাকার একটি ভিন্ন ডিপিপি দাখিল করে। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে পরমার্শক নিয়োগ করে প্রকল্প ব্যয় কমিয়ে ডিপিপিটি পুনর্গঠনের দিকনির্দেশনা দিয়ে তা ফেরত দেয়।

নগর কর্তৃপক্ষ পরবর্তিতে পরামর্শকের মাধ্যেমে প্রায় ২ হাজার ২শ’ কেটি টাকার একটি সংশোধিত ডিপিপি দাখিল করলেও মন্ত্রণালয় তা অনুমোদন না করে ফেরত পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এসব ডিপিপি প্রস্তুতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করা হয়নি বলে একটি অসমর্থিক সূত্রে জানা গেছে।

অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড অনেকটা স্বপ্রণোদিত হয়ে বরিশাল মহানগরীর ৭টি খাল সংস্কারে ১০.৭৫ কোটি টাকার একটি ডিপিপি মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছে বলে জানা গেছে। আগামী অর্থবছরে নগরীর পলাশপুর খাল, আমনতগঞ্জ খাল, জেলখাল, ভাটার খাল, চাঁদমারী খাল, সাগরদী খাল ও রূপাতলী খালগুলোর প্রায় ১৮ কিলোমিটার অংশ সংস্কার করার প্রস্তাবনা রয়েছে ডিপিপিতে। প্রকল্পের আওতায় এসব খালের দু’ধারে ওয়াকওয়ে নির্মাণসহ লোকজনের বসার জন্য কিছু অবকাঠামো নির্মাণের কথাও বলা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এসব খাল সংস্কার করে দিলেও তার পরবর্তী মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনকেই বহন করতে হবে বলে জানা গেছে। তবে নবগ্রাম রোড খালটি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত না করায় নগরীর পশ্চিম অংশের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায় অনিশ্চয়তা থেকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক প্রকৌশলী।

পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ড কয়েকটি খাল সংস্কার করার উদ্যোগ নিলেও নগর ভবনকে নগরীর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়নের পাশাপাশি তা রক্ষণাবেক্ষণে অধিকতর মনোযোগী হওয়ারও পরামর্শ নিয়েছেন একাধিক পরিবেশবিদ।