বিরোধী দলের কাছে

অর্থ পাচারকারীদের তালিকা চাইলেন অর্থমন্ত্রী

বিদেশে টাকা পাচার নিয়ে সংসদে বিরোধী দলের সদস্যদের সমালোচনার জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, কারা বিদেশে টাকা নিয়ে যায়, সেটা তার জানা নেই। এ ধরনের তালিকাও তার কাছে নেই।

এই দুর্নীতি প্রতিরোধে বিরোধী দলের সদস্যদের কাছে অর্থপাচারকারীদের নামের তালিকা চেয়েছেন তিনি।

গতকাল জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের মঞ্জুরি দাবির ছাঁটাই প্রস্তাব উত্থাপনের বক্তব্যে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা বিদেশে টাকা পাচার, পুঁজিবাজারের অব্যবস্থাপনাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নানা সমালোচনা করেন।

জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কারা বিদেশে টাকা নিয়ে যায়, তা আমার জানা নেই। লিস্ট আমার কাছে নেই। নামগুলো আমাদের দেন। কাজটি করলে আমাদের জন্য সহজ হবে। এখনও অনেকেই জেলে আছেন। বিচার হচ্ছে। আগে যেমন ঢালাওভাবে চলে যেত, এখন তেমন নেই।’

এর আগে মঞ্জুরি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ছাঁটাই প্রস্তাব তোলার সময় বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, ‘বিদেশে এক লাখ কোটি টাকার ওপরে চলে যাচ্ছে। ওভার আর আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে যাচ্ছে। এর বাইরে হুন্ডির পরিমাণ ধরলে আল্লাহ মাবুদ জানেন কত টাকা বিদেশে গেছে!’ তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করে পরিবারের হাতে ব্যাংক তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনগণের টাকার হরিলুট হচ্ছে। সংসদে ঋণখেলাপির তালিকা দেয়া হলো। তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হলো? ’

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘এক ব্যাংকের পরিচালক আরেক ব্যাংকের টাকা নিচ্ছে। টাকা নিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাঠাচ্ছে। পিকে হালদার এত টাকা নিল। ৯ মিনিটের জন্য পিকে হালদারকে ধরতে পারেনি। তাহলে ৯ ঘণ্টা আগে ধরতে পারলেন না কেন?’ তিনি বলেন, ‘দুদকের একটি অফিস কানাডা, মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় করুন। তাহলে দেখা যাবে কে কত টাকা নিয়েছে।’

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান বলেন, ‘ব্যাংকিং খাত, আর্থিক প্রতিষ্ঠান নির্যাতিত এতিমদের মতো। দেখার কেউ নেই। লুটপাট হচ্ছে, দুর্নীতি হচ্ছে, কিছুই হয় না, শাস্তি হয় না।’

সম্পূরক বাজেটের সমাপনী বক্তব্যে বিরোধী দলের সদস্যদের অভিযোগের জবাবে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের মানুষের কষ্টে অর্জিত টাকা বিদেশে চলে যাবে, আপনাদের যেমন লাগে, আমারও লাগে। আমি অনিয়ম, বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে। আমরা সবাই চাই, এগুলো বন্ধ করতে হবে। বন্ধ হচ্ছে, আগের মতো অবস্থা নেই। আগে সিমেন্টের নাম করে বালি আসত। একটার নাম করে আরেকটা আসত। আন্ডার ইনভয়েসিং, ওভার ইনভয়েসিং আগের মতো হয় না। একদম বন্ধ হয়ে গেছে বলব না, পত্রপত্রিকায় দেখতে পাই না।’

আর্থিক খাতের অনিয়ম বন্ধে আগামী এক বছরের মধ্যে ১৫টি আইন করার কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজে জানি, কীভাবে এগুলো হয়। কারা করে জানি না। অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, অকার্যকর সিস্টেমের জন্য এগুলো হয়। আমরা সংস্কারমুখী কাজ করব। নতুন নতুন আইন করব। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে দায় নিয়ে কাজ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করে দেব। কোন টলারেন্স নেই এখানে, টাকা এখন দেশে আসে।’

অর্থ পাচার নিয়ে সংসদে সরকারি দলের সদস্যরাও বিভিন্ন সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণার পরেও দেশের ‘অর্থ পাচার হওয়ায়’ ক্ষোভ প্রকাশ করে গত রোববার সরকারি দলের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ বলেন, ‘লড়াই করেছিলাম বঙ্গবন্ধু নেতৃত্বে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। সেই দেশ আজকে ঘৃণা, লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায়। এত বড় বড় কিছু চোর, যাদের নাম উঠে। এসবের বিরুদ্ধে যথেষ্ঠ শক্ত পদক্ষেপ নেয়া দরকার।’

বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার করে কানাডার ‘বেগম পাড়া’সহ বিভিন্ন দেশে কয়েক কোটি টাকায় বাড়ি কেনার খবর গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় এসেছে। এসব ক্ষেত্রে অভিযোগের তীর ছিল মূলত রাজনীতিবিদদের দিকে।

গত বছর নভেম্বরে ঢাকায় সাংবাদিকদের এক অনুষ্ঠানে এই তালিকায় সরকারি আমলাদের এগিয়ে থাকার কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ক্যানাডায় টাকা পাচারের যে গুঞ্জন আছে, তার কিছুটা সত্যতা তিনি পেয়েছেন। প্রাথমিকভাবে আঠাশটি ঘটনার তথ্য তারা পেয়েছেন যেগুলোর মধ্যে সরকারি কর্মচারীই বেশি। রাজনীতিবিদ চারজন। এছাড়া কিছু ব্যবসায়ীর নাম আছে। তবে টাকা পাচারকারীদের কারও নাম তিনি উল্লেখ করেননি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন নজরে আসার পর গত ২২ নভেম্বর হাইকোর্ট অর্থ পাচারকারী, দুর্বৃত্তদের নাম-ঠিকানার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা, তা জানতে চান।

নির্দেশ অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়।

কিন্তু আদালতে তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। আদালত আবার অর্থ পাচারকারীদের নাম-ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য চেয়ে পুনরায় তারিখ দেয়।

এর আগে ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালে বাণিজ্যে কারসাজির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এটি প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ। বাংলাদেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানির সময় এ কারসাজি করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্প্রতি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের স্ত্রীর নামে কানাডায় বাড়ি কেনার অভিযোগের খবর গণমাধ্যমে এসেছে।

মঙ্গলবার, ০৮ জুন ২০২১ , ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৬ শাওয়াল ১৪৪২

বিরোধী দলের কাছে

অর্থ পাচারকারীদের তালিকা চাইলেন অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

বিদেশে টাকা পাচার নিয়ে সংসদে বিরোধী দলের সদস্যদের সমালোচনার জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, কারা বিদেশে টাকা নিয়ে যায়, সেটা তার জানা নেই। এ ধরনের তালিকাও তার কাছে নেই।

এই দুর্নীতি প্রতিরোধে বিরোধী দলের সদস্যদের কাছে অর্থপাচারকারীদের নামের তালিকা চেয়েছেন তিনি।

গতকাল জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের মঞ্জুরি দাবির ছাঁটাই প্রস্তাব উত্থাপনের বক্তব্যে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা বিদেশে টাকা পাচার, পুঁজিবাজারের অব্যবস্থাপনাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নানা সমালোচনা করেন।

জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কারা বিদেশে টাকা নিয়ে যায়, তা আমার জানা নেই। লিস্ট আমার কাছে নেই। নামগুলো আমাদের দেন। কাজটি করলে আমাদের জন্য সহজ হবে। এখনও অনেকেই জেলে আছেন। বিচার হচ্ছে। আগে যেমন ঢালাওভাবে চলে যেত, এখন তেমন নেই।’

এর আগে মঞ্জুরি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ছাঁটাই প্রস্তাব তোলার সময় বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, ‘বিদেশে এক লাখ কোটি টাকার ওপরে চলে যাচ্ছে। ওভার আর আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে যাচ্ছে। এর বাইরে হুন্ডির পরিমাণ ধরলে আল্লাহ মাবুদ জানেন কত টাকা বিদেশে গেছে!’ তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করে পরিবারের হাতে ব্যাংক তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনগণের টাকার হরিলুট হচ্ছে। সংসদে ঋণখেলাপির তালিকা দেয়া হলো। তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হলো? ’

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘এক ব্যাংকের পরিচালক আরেক ব্যাংকের টাকা নিচ্ছে। টাকা নিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাঠাচ্ছে। পিকে হালদার এত টাকা নিল। ৯ মিনিটের জন্য পিকে হালদারকে ধরতে পারেনি। তাহলে ৯ ঘণ্টা আগে ধরতে পারলেন না কেন?’ তিনি বলেন, ‘দুদকের একটি অফিস কানাডা, মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় করুন। তাহলে দেখা যাবে কে কত টাকা নিয়েছে।’

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান বলেন, ‘ব্যাংকিং খাত, আর্থিক প্রতিষ্ঠান নির্যাতিত এতিমদের মতো। দেখার কেউ নেই। লুটপাট হচ্ছে, দুর্নীতি হচ্ছে, কিছুই হয় না, শাস্তি হয় না।’

সম্পূরক বাজেটের সমাপনী বক্তব্যে বিরোধী দলের সদস্যদের অভিযোগের জবাবে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের মানুষের কষ্টে অর্জিত টাকা বিদেশে চলে যাবে, আপনাদের যেমন লাগে, আমারও লাগে। আমি অনিয়ম, বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে। আমরা সবাই চাই, এগুলো বন্ধ করতে হবে। বন্ধ হচ্ছে, আগের মতো অবস্থা নেই। আগে সিমেন্টের নাম করে বালি আসত। একটার নাম করে আরেকটা আসত। আন্ডার ইনভয়েসিং, ওভার ইনভয়েসিং আগের মতো হয় না। একদম বন্ধ হয়ে গেছে বলব না, পত্রপত্রিকায় দেখতে পাই না।’

আর্থিক খাতের অনিয়ম বন্ধে আগামী এক বছরের মধ্যে ১৫টি আইন করার কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজে জানি, কীভাবে এগুলো হয়। কারা করে জানি না। অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, অকার্যকর সিস্টেমের জন্য এগুলো হয়। আমরা সংস্কারমুখী কাজ করব। নতুন নতুন আইন করব। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে দায় নিয়ে কাজ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করে দেব। কোন টলারেন্স নেই এখানে, টাকা এখন দেশে আসে।’

অর্থ পাচার নিয়ে সংসদে সরকারি দলের সদস্যরাও বিভিন্ন সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণার পরেও দেশের ‘অর্থ পাচার হওয়ায়’ ক্ষোভ প্রকাশ করে গত রোববার সরকারি দলের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ বলেন, ‘লড়াই করেছিলাম বঙ্গবন্ধু নেতৃত্বে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। সেই দেশ আজকে ঘৃণা, লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায়। এত বড় বড় কিছু চোর, যাদের নাম উঠে। এসবের বিরুদ্ধে যথেষ্ঠ শক্ত পদক্ষেপ নেয়া দরকার।’

বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার করে কানাডার ‘বেগম পাড়া’সহ বিভিন্ন দেশে কয়েক কোটি টাকায় বাড়ি কেনার খবর গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় এসেছে। এসব ক্ষেত্রে অভিযোগের তীর ছিল মূলত রাজনীতিবিদদের দিকে।

গত বছর নভেম্বরে ঢাকায় সাংবাদিকদের এক অনুষ্ঠানে এই তালিকায় সরকারি আমলাদের এগিয়ে থাকার কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ক্যানাডায় টাকা পাচারের যে গুঞ্জন আছে, তার কিছুটা সত্যতা তিনি পেয়েছেন। প্রাথমিকভাবে আঠাশটি ঘটনার তথ্য তারা পেয়েছেন যেগুলোর মধ্যে সরকারি কর্মচারীই বেশি। রাজনীতিবিদ চারজন। এছাড়া কিছু ব্যবসায়ীর নাম আছে। তবে টাকা পাচারকারীদের কারও নাম তিনি উল্লেখ করেননি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন নজরে আসার পর গত ২২ নভেম্বর হাইকোর্ট অর্থ পাচারকারী, দুর্বৃত্তদের নাম-ঠিকানার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা, তা জানতে চান।

নির্দেশ অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়।

কিন্তু আদালতে তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। আদালত আবার অর্থ পাচারকারীদের নাম-ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য চেয়ে পুনরায় তারিখ দেয়।

এর আগে ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালে বাণিজ্যে কারসাজির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এটি প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ। বাংলাদেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানির সময় এ কারসাজি করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্প্রতি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের স্ত্রীর নামে কানাডায় বাড়ি কেনার অভিযোগের খবর গণমাধ্যমে এসেছে।