মায়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির প্রধান নেতা অং সান সু চির বিচার আগামী ১৪ জুন থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। সু চির আইনজীবী এ তথ্য জানিয়েছেন। এএফপি

নোবেল জয়ী ৭৫ বছর বয়সী সু চি তার অন্য প্রায় চার হাজার নেতাকর্মীর মতো বন্দী আছেন। সেনাবাহিনী তার বিরুদ্ধে গত বছরের নির্বাচনী প্রচারণার সময় করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ ভঙ্গ ও রাষ্ট্রীয় গোপন আইন ভঙ্গ করে অবৈধভাবে ওয়াকিটকি রাখার অভিযোগ দায়ের করেছে।

সু চির আইনজীবী বলেন, তিনি মানুষের সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন। বলেছেন আমাদের দল মানুষের জন্য তৈরি হয়েছিল। তাই মানুষ যতদিন পাশে থাকবে, পার্টি থাকবে।

জান্তা সরকারের হাতে গৃহবন্দী হওয়ার পর থেকে সু চির আইনজীবী মাত্র দু’বার তার সঙ্গে দেখা করতে পেরেছেন। এ সময় বারবার তার মামলার তারিখ পেছানো হয়েছে এবং তার সঙ্গে দেখা করতে আইনজীবীকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।

তার বিচারকে কেন্দ্র করে আদালতের কাছে নেপিদো কাউন্সিলে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে। সে জায়গার আশপাশে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

জান্তা সরকার ইতোমধ্যে সু চির দল এনএলডি বিলুপ্ত করার হুমকিও দিয়েছে। জান্তা সমর্থিত নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ, ২০২০ সালের নির্বাচনে এনএলডি জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। ওই নির্বাচনে জয়লাভ করে সু চির দল ন্যাশনাল লীগ আর ডেমোক্রেসি।

তবে গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চিকে গ্রেপ্তার করে জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে জান্তা সরকার। সুচি ও সরকারের প্রেসিডেন্টসহ অনেক আইনপ্রণেতাকে আটক করে সেনাবাহিনী।

অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশটির জনসাধারণ জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণবিক্ষোভ শুরু করে। এসব বিক্ষোভ অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে দমন করেছে জান্তা সরকার। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এ পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় ৮৫০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।