গত দেড় বছর করোনা পরিস্থিতি ঘুণ ধরিয়ে দিয়েছে শিক্ষাব্যবস্থায়। করোনার কারণে এক বছরেরও বেশি সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। শিক্ষার্থীদের বর্তমানে পাঠ্য পুস্তকের সঙ্গে সম্পর্ক কমে গেছে। বইয়ে ধুলো জমে গেছে। আর অলস সময়ে এখন শিক্ষার্থীদের সঙ্গী একটি স্মার্টফোন। বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ। তৈরি হচ্ছে কিশোর গ্যাং। শুধু শহরের ছেলে মেয়েরাই গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকের পড়াশোনায় ঢিলেমি দিয়ে বেকার সময় কাটাচ্ছে। এতে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছে।
স্বাভাবিক অবস্থায় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার আগে শিক্ষকদের সংস্পর্শে থেকে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। ভালো প্রস্তুতি গ্রহণ কিংবা কঠিন বিষয়াবলি সহজে বোঝার জন্য শ্রেণীকক্ষের বাইরেও শিক্ষকরা নানাভাবে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে থাকেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা সেভাবে সাহায্য গ্রহণ করতে পারছে না। অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষকদের পাওয়া গেলেও তা যথেষ্ট নয়। তার চেয়ে বড় বিষয়, গ্রামের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই দূরশিখন প্রক্রিয়ার বাইরে। কিছু শিক্ষার্থী পরিবারের সহায়তা পেলেও অন্যদের নির্ভর করতে হচ্ছে নিজের প্রস্তুতির ওপর।
করোনা দুর্যোগ বৈশ্বিক সংকট। এখানে কারও হাত নেই। পরিস্থিতির আলোকেই সরকার লকডাউনসহ প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। দুর্যোগের এ সময়ে নিজেদের সুরক্ষিত রেখে ঘরে থেকেই প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করার মধ্যে মঙ্গল। এ ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা কাম্য। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের প্রতি লক্ষ্য রেখে বিদ্যালয়ের উদ্যোগে শিক্ষকদের নির্দিষ্ট-সংখ্যক শিক্ষার্থীর দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। অনলাইন কিংবা মোবাইল ফোনে শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রস্তুতির সার্বিক খোঁজখবর রাখলে শিক্ষার্থীদের মনোবল ধরে রাখা সহজ হবে। তাছাড়া এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সময়ে শিক্ষার্থীরা যেভাবে মোবাইল বা ল্যাপটপ নিয়ে সময় কাটায়ং তাতে তাদের মানসিক ভারসাম্য হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এসময় শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা করতে পারে এবং ধুলো জমে থাকা বইগুলো পরিষ্কার করে লেখাপড়া শুরু করতে পারে।
মো. শাহাদাত হোসেন নিশাদ
শিক্ষার্থী- সরকারি তিতুমীর
কলেজ, ঢাকা
মঙ্গলবার, ০৮ জুন ২০২১ , ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৬ শাওয়াল ১৪৪২
গত দেড় বছর করোনা পরিস্থিতি ঘুণ ধরিয়ে দিয়েছে শিক্ষাব্যবস্থায়। করোনার কারণে এক বছরেরও বেশি সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। শিক্ষার্থীদের বর্তমানে পাঠ্য পুস্তকের সঙ্গে সম্পর্ক কমে গেছে। বইয়ে ধুলো জমে গেছে। আর অলস সময়ে এখন শিক্ষার্থীদের সঙ্গী একটি স্মার্টফোন। বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ। তৈরি হচ্ছে কিশোর গ্যাং। শুধু শহরের ছেলে মেয়েরাই গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকের পড়াশোনায় ঢিলেমি দিয়ে বেকার সময় কাটাচ্ছে। এতে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছে।
স্বাভাবিক অবস্থায় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার আগে শিক্ষকদের সংস্পর্শে থেকে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। ভালো প্রস্তুতি গ্রহণ কিংবা কঠিন বিষয়াবলি সহজে বোঝার জন্য শ্রেণীকক্ষের বাইরেও শিক্ষকরা নানাভাবে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে থাকেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা সেভাবে সাহায্য গ্রহণ করতে পারছে না। অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষকদের পাওয়া গেলেও তা যথেষ্ট নয়। তার চেয়ে বড় বিষয়, গ্রামের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই দূরশিখন প্রক্রিয়ার বাইরে। কিছু শিক্ষার্থী পরিবারের সহায়তা পেলেও অন্যদের নির্ভর করতে হচ্ছে নিজের প্রস্তুতির ওপর।
করোনা দুর্যোগ বৈশ্বিক সংকট। এখানে কারও হাত নেই। পরিস্থিতির আলোকেই সরকার লকডাউনসহ প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। দুর্যোগের এ সময়ে নিজেদের সুরক্ষিত রেখে ঘরে থেকেই প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করার মধ্যে মঙ্গল। এ ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা কাম্য। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের প্রতি লক্ষ্য রেখে বিদ্যালয়ের উদ্যোগে শিক্ষকদের নির্দিষ্ট-সংখ্যক শিক্ষার্থীর দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। অনলাইন কিংবা মোবাইল ফোনে শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রস্তুতির সার্বিক খোঁজখবর রাখলে শিক্ষার্থীদের মনোবল ধরে রাখা সহজ হবে। তাছাড়া এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সময়ে শিক্ষার্থীরা যেভাবে মোবাইল বা ল্যাপটপ নিয়ে সময় কাটায়ং তাতে তাদের মানসিক ভারসাম্য হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এসময় শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা করতে পারে এবং ধুলো জমে থাকা বইগুলো পরিষ্কার করে লেখাপড়া শুরু করতে পারে।
মো. শাহাদাত হোসেন নিশাদ
শিক্ষার্থী- সরকারি তিতুমীর
কলেজ, ঢাকা