বাজেটকে দুঃসাহসী বলল শিপার্স কাউন্সিল

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে দুঃসাহসী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে শিপার্স কাউন্সিল অব বাংলাদেশ। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই মন্তব্য করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, ‘বিশ্বব্যাপী মন্দা, দেশব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর তীব্র আক্রমণ ও ক্ষয়-ক্ষতির মধ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বাজেটকে আমি শিপার্স কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ও নিজের পক্ষ থেকে একটি দুঃসাহসী ও ব্যতিক্রমী বাজেট হিসাবে স্বাগত জানাই। অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে প্রস্তাবিত বাজেটে কোন নতুন কর বসানো হয়নি। দেশীয় শিল্প রক্ষা, কৃষিভিত্তিক শিল্পের উন্নয়ন এবং রপ্তানিমুখী শিল্প প্রসারের উদ্দেশ্যে তিনি কোথাও আগাম কর অব্যাহতি ও হ্রাস করেছেন, কোথাও ভ্যাট, আমদানি শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতি ও হ্রাস করেছেন। শিপার্স কাউন্সিল মনে করে এতে দেশীয় শিল্পের বিকাশ ঘটবে, বিনিয়োগ বাড়বে, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’

‘অর্থমন্ত্রী এক বিশাল সামাজিক নিরাপত্তা বাজেট ঘোষণা করেছেন। ১ লক্ষ ৭ হাজার ৬১৪ কোটি টাকার বাজেট দ্বারা দরিদ্র, অতি দরিদ্র, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, ছোটছোট পেশাজীবীরা উপকৃত হবে বলে বিশ্বাস করি। কয়েক কোটি লোকের জন্য প্রণীত এই কর্মসূচির জন্য তাকে সাধুবাদ জানাই। করোনা মহামারী এবং এই অজানা শত্রুর আক্রমণ থেকে মানুষকে রক্ষার জন্য তিনি স্বাস্থ্য বাজেট ১৯ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা থেকে ৩২,৭৩১ কোটি টাকায় উন্নীত করেছেন। টিকা ব্যবস্থার কথা ঘোষণা দিয়েছেন। আরও ১০ হাজার কোটি টাকা হাতে রেখেছেন জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য। এর জন্য তাকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

‘পরিবহন যোগাযোগ খাতে ৬১ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা থেকে ২০২১-২২ এর বাজেট বরাদ্দ ৬৯ হাজার ৪১৭ কোটিতে উন্নীত করায় অর্থমন্ত্রী ধন্যবাদ পাওয়ার পাত্র। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বিগত ১২ বছরে চট্টগ্রাম বন্দরের ‘কনটেইনার হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি’ ২৭ হাজার টিইইউএস থেকে ৪৯,০১৮ টিইইউএস তে উন্নীত করার জন্য আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। নিরাপদ নেভিগেশনের জন্য যন্ত্রপাতি আপগ্রেড ও নজরদারি বাড়ানোর জন্য শিপার্স কাউন্সিল বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আশাবাদী।’

‘প্রচলিত বার্থিং প্রথার সংস্কার করে ডিজিটাল বার্থিং প্রথা চালু করা, পতেঙ্গা-হালিশহরে বে-টার্মিনাল নির্মাণ এবং মাতারবাড়ী বন্দর নির্মাণ প্রকল্প শেষ হলে দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে শিপার্স কাউন্সিল মনে করে। ড্রেজিং করে মোংলা বন্দরে হ্যান্ডলিং সুবিধা বৃদ্ধির ফলে এই বন্দরের ক্যাপাসিটি বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। পরিশেষে ব্যবসা-শিল্প গরিববান্ধব এই বাজেটের মূল নায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অশেষ শ্রদ্ধা ও সালাম।’

বুধবার, ০৯ জুন ২০২১ , ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৭ শাওয়াল ১৪৪২

বাজেটকে দুঃসাহসী বলল শিপার্স কাউন্সিল

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে দুঃসাহসী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে শিপার্স কাউন্সিল অব বাংলাদেশ। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই মন্তব্য করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, ‘বিশ্বব্যাপী মন্দা, দেশব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর তীব্র আক্রমণ ও ক্ষয়-ক্ষতির মধ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বাজেটকে আমি শিপার্স কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ও নিজের পক্ষ থেকে একটি দুঃসাহসী ও ব্যতিক্রমী বাজেট হিসাবে স্বাগত জানাই। অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে প্রস্তাবিত বাজেটে কোন নতুন কর বসানো হয়নি। দেশীয় শিল্প রক্ষা, কৃষিভিত্তিক শিল্পের উন্নয়ন এবং রপ্তানিমুখী শিল্প প্রসারের উদ্দেশ্যে তিনি কোথাও আগাম কর অব্যাহতি ও হ্রাস করেছেন, কোথাও ভ্যাট, আমদানি শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতি ও হ্রাস করেছেন। শিপার্স কাউন্সিল মনে করে এতে দেশীয় শিল্পের বিকাশ ঘটবে, বিনিয়োগ বাড়বে, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’

‘অর্থমন্ত্রী এক বিশাল সামাজিক নিরাপত্তা বাজেট ঘোষণা করেছেন। ১ লক্ষ ৭ হাজার ৬১৪ কোটি টাকার বাজেট দ্বারা দরিদ্র, অতি দরিদ্র, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, ছোটছোট পেশাজীবীরা উপকৃত হবে বলে বিশ্বাস করি। কয়েক কোটি লোকের জন্য প্রণীত এই কর্মসূচির জন্য তাকে সাধুবাদ জানাই। করোনা মহামারী এবং এই অজানা শত্রুর আক্রমণ থেকে মানুষকে রক্ষার জন্য তিনি স্বাস্থ্য বাজেট ১৯ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা থেকে ৩২,৭৩১ কোটি টাকায় উন্নীত করেছেন। টিকা ব্যবস্থার কথা ঘোষণা দিয়েছেন। আরও ১০ হাজার কোটি টাকা হাতে রেখেছেন জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য। এর জন্য তাকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

‘পরিবহন যোগাযোগ খাতে ৬১ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা থেকে ২০২১-২২ এর বাজেট বরাদ্দ ৬৯ হাজার ৪১৭ কোটিতে উন্নীত করায় অর্থমন্ত্রী ধন্যবাদ পাওয়ার পাত্র। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বিগত ১২ বছরে চট্টগ্রাম বন্দরের ‘কনটেইনার হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি’ ২৭ হাজার টিইইউএস থেকে ৪৯,০১৮ টিইইউএস তে উন্নীত করার জন্য আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। নিরাপদ নেভিগেশনের জন্য যন্ত্রপাতি আপগ্রেড ও নজরদারি বাড়ানোর জন্য শিপার্স কাউন্সিল বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আশাবাদী।’

‘প্রচলিত বার্থিং প্রথার সংস্কার করে ডিজিটাল বার্থিং প্রথা চালু করা, পতেঙ্গা-হালিশহরে বে-টার্মিনাল নির্মাণ এবং মাতারবাড়ী বন্দর নির্মাণ প্রকল্প শেষ হলে দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে শিপার্স কাউন্সিল মনে করে। ড্রেজিং করে মোংলা বন্দরে হ্যান্ডলিং সুবিধা বৃদ্ধির ফলে এই বন্দরের ক্যাপাসিটি বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। পরিশেষে ব্যবসা-শিল্প গরিববান্ধব এই বাজেটের মূল নায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অশেষ শ্রদ্ধা ও সালাম।’