বস্তিতে আগুন : পুনরাবৃত্তি রোধে চাই বিদ্যুৎ-গ্যাসের বৈধ সংযোগ

বছর না ঘুরতেই আবারও রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুন লাগল। গত বছর নভেম্বরে সেখানে আগুন লেগেছিল। তার আগেও ঐ বস্তিতে বেশ কয়েকবার আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, অতীতে বস্তিটিতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছিল বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে। এবারও বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। গ্যাস সংযোগের লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ধারণাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা আশা করব, সুষ্ঠু তদন্তে অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদ্ঘাটিত হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদ্ঘাটন হলে তাতে বস্তিবাসীর কী কল্যাণ হবে। বস্তিতে বিদ্যুৎ আছে, গ্যাস আছে কিন্তু এর কোনটিই বৈধ নয়। তবে বস্তিবাসী এসব নাগরিক সুবিধার জন্য মূল্য ঠিকই দিচ্ছেন। তবে সেই মূল্য তারা কাকে দিচ্ছেন, কোথা থেকে কীভাবে বস্তিতে অবৈধ সংযোগ গেল সেটা আরেক প্রশ্ন। বাস্তবতা হচ্ছে, বিদ্যুৎ-গ্যাস ছাড়া নগরে বসবাস করা সম্ভব নয়। বস্তির বাসিন্দারা কেন বৈধ সংযোগ পাচ্ছেন না সেটা আমরা জানতে চাইব। সেখানে থাকা সংযোগগুলো বৈধ করা হলে সেগুলো সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অধীনে আনা গেলে বস্তিবাসীর জীবন আর অর্থ দুইই যেমন বাঁচে, তেমন সরকারের রাজস্বও বাড়ে। পাশাপাশি দেশের সব বস্তিতে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থাও রাখতে হবে।

গত সোমবার লাগা আগুনে সাততলা বস্তির একশ’র বেশি ঘর পুড়ে গেছে, সর্বস্বান্ত হয়েছে বস্তির বহু বাসিন্দা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নিরুপায় মানুষ অগ্নিকাণ্ডে সহায়-সম্বল হারিয়ে দিশেহারা। এসব মানুষের পাশে সরকারকে দাঁড়াতে হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ৫ হাজার টাকা, টিন ও ত্রাণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা এ ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চাই। বস্তিবাসীর জন্য স্থায়ী আবাসন করার কথা বলেছে সরকার। এ সংক্রান্ত কয়েকটি প্রকল্প এখন চলমান। আমরা চাইব, প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। প্রকল্প শেষে যেন প্রকৃত বস্তিবাসী ঘর পান সেটা নিশ্চত করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়।

বুধবার, ০৯ জুন ২০২১ , ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৭ শাওয়াল ১৪৪২

বস্তিতে আগুন : পুনরাবৃত্তি রোধে চাই বিদ্যুৎ-গ্যাসের বৈধ সংযোগ

বছর না ঘুরতেই আবারও রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুন লাগল। গত বছর নভেম্বরে সেখানে আগুন লেগেছিল। তার আগেও ঐ বস্তিতে বেশ কয়েকবার আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, অতীতে বস্তিটিতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছিল বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে। এবারও বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। গ্যাস সংযোগের লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ধারণাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা আশা করব, সুষ্ঠু তদন্তে অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদ্ঘাটিত হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদ্ঘাটন হলে তাতে বস্তিবাসীর কী কল্যাণ হবে। বস্তিতে বিদ্যুৎ আছে, গ্যাস আছে কিন্তু এর কোনটিই বৈধ নয়। তবে বস্তিবাসী এসব নাগরিক সুবিধার জন্য মূল্য ঠিকই দিচ্ছেন। তবে সেই মূল্য তারা কাকে দিচ্ছেন, কোথা থেকে কীভাবে বস্তিতে অবৈধ সংযোগ গেল সেটা আরেক প্রশ্ন। বাস্তবতা হচ্ছে, বিদ্যুৎ-গ্যাস ছাড়া নগরে বসবাস করা সম্ভব নয়। বস্তির বাসিন্দারা কেন বৈধ সংযোগ পাচ্ছেন না সেটা আমরা জানতে চাইব। সেখানে থাকা সংযোগগুলো বৈধ করা হলে সেগুলো সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অধীনে আনা গেলে বস্তিবাসীর জীবন আর অর্থ দুইই যেমন বাঁচে, তেমন সরকারের রাজস্বও বাড়ে। পাশাপাশি দেশের সব বস্তিতে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থাও রাখতে হবে।

গত সোমবার লাগা আগুনে সাততলা বস্তির একশ’র বেশি ঘর পুড়ে গেছে, সর্বস্বান্ত হয়েছে বস্তির বহু বাসিন্দা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নিরুপায় মানুষ অগ্নিকাণ্ডে সহায়-সম্বল হারিয়ে দিশেহারা। এসব মানুষের পাশে সরকারকে দাঁড়াতে হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ৫ হাজার টাকা, টিন ও ত্রাণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা এ ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চাই। বস্তিবাসীর জন্য স্থায়ী আবাসন করার কথা বলেছে সরকার। এ সংক্রান্ত কয়েকটি প্রকল্প এখন চলমান। আমরা চাইব, প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। প্রকল্প শেষে যেন প্রকৃত বস্তিবাসী ঘর পান সেটা নিশ্চত করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়।