অর্থাভাবে কাজ ব্যাহত বর্ষায় জলাবদ্ধতার শঙ্কা

ডিএনডির অভ্যন্তরে বসবাসরত ২০ লাখ বাসিন্দার দুর্ভোগ লাগবে ডিএনডি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন (দ্বিতীয় ফেজ) প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের অধীনে ১৯ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন। ইতোমধ্যে ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে আরসিসি ড্রেন, ব্রিজ ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু অর্থের অভাবে এসব কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে।

এতে চলতি বর্ষা মৌসুমে ডিএনডির অভ্যন্তরে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা রয়েছে। এ আশঙ্কার কথা জানিয়ে অর্থ ছাড়ের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক। ডিএনডির উন্নয়ন কাজ এবং জলাবদ্ধতার বিষয়ে জানতে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে অবস্থিত ডিএনডি প্রজেক্ট ক্যাম্প গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানায়।

জানা যায়, গত দুই দিনের বর্ষণে ডিএনডির বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে গেছে। এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জলাবদ্ধতার আশংকা করছে ডিএনডিবাসী। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা এড়াতে কি কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানতে ডিএনডি প্রজেক্ট ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ জানায়, অর্থের অভাবে কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রায় ১২৫ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ না পেলে কাজ শেষ করা সম্ভব না।

এসময় প্রকল্প কর্তৃপক্ষ এ টাকা ছাড়ের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছেন জানিয়ে বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ও অন্যান্য উন্নয়ন কাজ চলমান রাখতে উল্লেখিত টাকা বরাদ্দের প্রয়োজন। তাদের দেয়া চিঠি সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থ বছরে সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ৬০ কোটি টাকা ছাড়া পেলেও আর কোন অর্থ আসেনি চলতি বছর। এরই মধ্যে প্রকল্পের অগ্রগতি ৫০ ভাগের বেশি হলেও অর্থ পেয়েছে ৪১ ভাগ।

অবশিষ্ট ৯ ভাগ টাকা অর্থ্যাৎ ঠিকাদারদের ১১৮ কোটি টাকার বিল বকেয়া রয়েছে। এ টাকা ঠিকাদারদের পরিশোধ না করলে তাদের পক্ষে নতুন ভাবে বিনিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে উন্নয়ন কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। ডিএনডিবাসীর দুর্ভোগ লাগবে অর্থ বরাদ্দের দাবি ভুক্তভোগীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের।

বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১ , ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৮ শাওয়াল ১৪৪২

ডিএনডি খাল নিস্কাশন প্রকল্প

অর্থাভাবে কাজ ব্যাহত বর্ষায় জলাবদ্ধতার শঙ্কা

প্র্রতিনিধি, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

ডিএনডির অভ্যন্তরে বসবাসরত ২০ লাখ বাসিন্দার দুর্ভোগ লাগবে ডিএনডি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন (দ্বিতীয় ফেজ) প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের অধীনে ১৯ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন। ইতোমধ্যে ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে আরসিসি ড্রেন, ব্রিজ ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু অর্থের অভাবে এসব কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে।

এতে চলতি বর্ষা মৌসুমে ডিএনডির অভ্যন্তরে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা রয়েছে। এ আশঙ্কার কথা জানিয়ে অর্থ ছাড়ের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক। ডিএনডির উন্নয়ন কাজ এবং জলাবদ্ধতার বিষয়ে জানতে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে অবস্থিত ডিএনডি প্রজেক্ট ক্যাম্প গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানায়।

জানা যায়, গত দুই দিনের বর্ষণে ডিএনডির বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে গেছে। এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জলাবদ্ধতার আশংকা করছে ডিএনডিবাসী। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা এড়াতে কি কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানতে ডিএনডি প্রজেক্ট ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ জানায়, অর্থের অভাবে কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রায় ১২৫ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ না পেলে কাজ শেষ করা সম্ভব না।

এসময় প্রকল্প কর্তৃপক্ষ এ টাকা ছাড়ের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছেন জানিয়ে বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ও অন্যান্য উন্নয়ন কাজ চলমান রাখতে উল্লেখিত টাকা বরাদ্দের প্রয়োজন। তাদের দেয়া চিঠি সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থ বছরে সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ৬০ কোটি টাকা ছাড়া পেলেও আর কোন অর্থ আসেনি চলতি বছর। এরই মধ্যে প্রকল্পের অগ্রগতি ৫০ ভাগের বেশি হলেও অর্থ পেয়েছে ৪১ ভাগ।

অবশিষ্ট ৯ ভাগ টাকা অর্থ্যাৎ ঠিকাদারদের ১১৮ কোটি টাকার বিল বকেয়া রয়েছে। এ টাকা ঠিকাদারদের পরিশোধ না করলে তাদের পক্ষে নতুন ভাবে বিনিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে উন্নয়ন কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। ডিএনডিবাসীর দুর্ভোগ লাগবে অর্থ বরাদ্দের দাবি ভুক্তভোগীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের।