ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা চূড়ান্ত করার অনুরোধ করেছে ই-ক্যাব

গত ৬ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ‘ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা ২০২১’ বাস্তবায়নের অনুরোধ করেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) নেতৃবৃন্দ। সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় ই-ক্যাব প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার। বিগত ডিজিটাল কমার্স পলিসি ২০১৮ এর বিধি অনুসারে ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে এই প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হিসেবে গঠন করা হয় ডিজিটাল কমার্স সেল এর উপদেষ্ঠা পরিষদ। চলতি বছর ফেব্রুয়ারীতে খসড়া ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা-২০২১ বিভিন্ন সেক্টরের মতামতের জন্য প্রেরণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক, ডাক বিভাগ, আইসিটি ডিভিশন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও ই-ক্যাব নিজেদের মতামত তুলে ধরে। গতকাল পূর্ব নির্ধারিত সভায় এসওপিএর বিভিন্ন বিষয়, বাজেটে ই-কমার্স, ইস্যু, ই-কমার্স সেক্টরের ট্রেড লাইসেন্স ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ ও সহযোগিতার অনুরোধ করেন ই-ক্যাব নেতৃবৃন্দ। এই সময় ডব্লিওটিওসেল এর মহাপরিচালক, ডিজিটাল কমার্স সেল এর প্রধান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ই-ক্যাব সভাপতি বলেন, ‘করোনাকালীণ সময়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ই-ক্যাবের ভূমিকায় ই-কমার্স সেক্টরে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং ক্রেতাদের আস্থা বেড়েছে। এই আস্থার সুযোগ নিয়ে কিছু সুযোগসন্ধানী মহল ই-কমার্সের নামে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তাই এসব রোধ করতে ই-কমার্স আইন প্রয়োজন। তারই প্রক্রিয়া হিসেবে দ্রুত ডিজিটাল কমার্স পলিসি বাস্তবায়ন করে সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে অভিন্ন নিয়মের আওতায় নিয়ে আসলে বর্তমানে পণ্যের মান ও ডেলিভারি সংক্রান্ত অনিয়মগুলো কমে আসবে’। এছাড়া তিনি সাময়িকভাবে ই-কমার্সকে উৎস করের আওতা বহির্ভূত রাখার দাবি জানানা।

ই-ক্যাবের সহ-সভাপতি সাহাব উদ্দিন শিপন বলেন, ‘নির্দেশিকার বিষয়ে আমরা সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের প্রস্তাবনা পেশ করেছি। এখন যত দ্রুত এটি বাস্তবায়ন হবে তত ক্রেতা সাধারণের জন্য ইতিবাচক হবে এবং আইন প্রণয়নের পথ সুগম হবে। এই সেক্টরের ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি ও ক্রেতারা আস্থা বৃদ্ধির জন্য এটা জরুরী হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, আমরা বাজেটে সরকারের কাছে যেসব দাবী পেশ করেছি তার প্রতিফলন এবারের বাজেটে পড়েনি। তাই আমরা রাজস্ববোর্ডকে আবারো অনুরোধ জানাবো এবং এই বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করছি।’ ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, দ্রুত ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা বাস্তবায়নের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহকে নিয়ে আলোচনায় বসা দরকার এবং এটি চূড়ান্ত করে ঘোষণা ও বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে এই সেক্টরে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা জরুরি হয়ে পড়ছে। এই এসওপি বাস্তবায়নে ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ^াস দেন তিনি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১ , ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৮ শাওয়াল ১৪৪২

ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা চূড়ান্ত করার অনুরোধ করেছে ই-ক্যাব

image

গত ৬ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ‘ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা ২০২১’ বাস্তবায়নের অনুরোধ করেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) নেতৃবৃন্দ। সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় ই-ক্যাব প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার। বিগত ডিজিটাল কমার্স পলিসি ২০১৮ এর বিধি অনুসারে ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে এই প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হিসেবে গঠন করা হয় ডিজিটাল কমার্স সেল এর উপদেষ্ঠা পরিষদ। চলতি বছর ফেব্রুয়ারীতে খসড়া ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা-২০২১ বিভিন্ন সেক্টরের মতামতের জন্য প্রেরণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক, ডাক বিভাগ, আইসিটি ডিভিশন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও ই-ক্যাব নিজেদের মতামত তুলে ধরে। গতকাল পূর্ব নির্ধারিত সভায় এসওপিএর বিভিন্ন বিষয়, বাজেটে ই-কমার্স, ইস্যু, ই-কমার্স সেক্টরের ট্রেড লাইসেন্স ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ ও সহযোগিতার অনুরোধ করেন ই-ক্যাব নেতৃবৃন্দ। এই সময় ডব্লিওটিওসেল এর মহাপরিচালক, ডিজিটাল কমার্স সেল এর প্রধান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ই-ক্যাব সভাপতি বলেন, ‘করোনাকালীণ সময়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ই-ক্যাবের ভূমিকায় ই-কমার্স সেক্টরে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং ক্রেতাদের আস্থা বেড়েছে। এই আস্থার সুযোগ নিয়ে কিছু সুযোগসন্ধানী মহল ই-কমার্সের নামে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তাই এসব রোধ করতে ই-কমার্স আইন প্রয়োজন। তারই প্রক্রিয়া হিসেবে দ্রুত ডিজিটাল কমার্স পলিসি বাস্তবায়ন করে সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে অভিন্ন নিয়মের আওতায় নিয়ে আসলে বর্তমানে পণ্যের মান ও ডেলিভারি সংক্রান্ত অনিয়মগুলো কমে আসবে’। এছাড়া তিনি সাময়িকভাবে ই-কমার্সকে উৎস করের আওতা বহির্ভূত রাখার দাবি জানানা।

ই-ক্যাবের সহ-সভাপতি সাহাব উদ্দিন শিপন বলেন, ‘নির্দেশিকার বিষয়ে আমরা সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের প্রস্তাবনা পেশ করেছি। এখন যত দ্রুত এটি বাস্তবায়ন হবে তত ক্রেতা সাধারণের জন্য ইতিবাচক হবে এবং আইন প্রণয়নের পথ সুগম হবে। এই সেক্টরের ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি ও ক্রেতারা আস্থা বৃদ্ধির জন্য এটা জরুরী হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, আমরা বাজেটে সরকারের কাছে যেসব দাবী পেশ করেছি তার প্রতিফলন এবারের বাজেটে পড়েনি। তাই আমরা রাজস্ববোর্ডকে আবারো অনুরোধ জানাবো এবং এই বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করছি।’ ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, দ্রুত ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা বাস্তবায়নের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহকে নিয়ে আলোচনায় বসা দরকার এবং এটি চূড়ান্ত করে ঘোষণা ও বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে এই সেক্টরে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা জরুরি হয়ে পড়ছে। এই এসওপি বাস্তবায়নে ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ^াস দেন তিনি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।