পথশিশু পুনর্বাসনে শিশু অধিদপ্তরের কার্যক্রম শুরুর আহ্বান

জাতীয় বাজেটে পথশিশু পুনর্বাসনে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ রাখার পাশাপাশি শিশু অধিদপ্তরের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার দাবি জানিয়েছে স্ট্রিট চিলড্রেন অ্যাক্টিভিস্টস নেটওয়ার্ক (স্ক্যান) বাংলাদেশ। সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতীয় বাজেটে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বাজেটের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করারও আহ্বান জানানো হয়েছে। গতকাল ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান মিট দ্য প্রেসে এই দাবি জানানো হয়। স্ক্যান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর নাকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল।

সাংবাদিক নিখিল চন্দ্র ভদ্রের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক সংস্থা কেএনএইচ জামানীর মাটিলদা টিনা বৈদ্য, সমাজকল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থার (স্কাস) জেসমিন প্রেমা, আপন ফাউন্ডেশন আফতাবুজ্জামান, ঢাকা আহসানিয়া মিশনের নাজনীন শবনম, সিআরএসএস এডওয়ার্ড রবিন বল্লভ, ফেইথ ইন একশনের নৃপেন বৈদ্য, জনসেবা সংস্থার শেখ ফরিদ, চেঞ্জ দা লাইভস ফাউন্ডেশনের জাহিদ হোসেন, সাংবাদিক আবদুল আজিজ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে পথশিশুদের সুরক্ষায় স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি গ্রহণ, একটি পরিপূর্ণ জরিপ পরিচালনা করে পথে থাকা শিশুদের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সব তথ্য সংগ্রহ, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পরিচালিত পথশিশু সুরক্ষা কার্যক্রম সমন্বয় ও সহযোগিতা বুথ স্থাপন, পথশিশুদের জন্য ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস রেসপন্স ইউনিট গঠন, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে পথশিশু কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন এবং সরকারি সংস্থা, বেসরকারি সংগঠন ও পথশিশুসহ সবাইকে নিয়ে একটি ক্রস সেক্টর বডি গঠনের সুপারিশ করা হয়। আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটকে ইতিবাচক উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, করোনাকালে পথশিশুদের খাদ্য সংকটসহ অন্যান্য দুর্ভোগ বেড়েছে। তারা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে বাজেটে বরাদ্দের পাশাপাশি পথশিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা করা প্রয়োজন। বিশেষ করে শিশুদের জন্য আলাদা অধিদপ্তরের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা জরুরি। আর অধিদপ্তরের অনুকূলে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। একই সঙ্গে পথশিশুদের নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে। পথশিশুদের উৎসগুলো বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১ , ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৮ শাওয়াল ১৪৪২

পথশিশু পুনর্বাসনে শিশু অধিদপ্তরের কার্যক্রম শুরুর আহ্বান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

জাতীয় বাজেটে পথশিশু পুনর্বাসনে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ রাখার পাশাপাশি শিশু অধিদপ্তরের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার দাবি জানিয়েছে স্ট্রিট চিলড্রেন অ্যাক্টিভিস্টস নেটওয়ার্ক (স্ক্যান) বাংলাদেশ। সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতীয় বাজেটে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বাজেটের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করারও আহ্বান জানানো হয়েছে। গতকাল ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান মিট দ্য প্রেসে এই দাবি জানানো হয়। স্ক্যান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর নাকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল।

সাংবাদিক নিখিল চন্দ্র ভদ্রের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক সংস্থা কেএনএইচ জামানীর মাটিলদা টিনা বৈদ্য, সমাজকল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থার (স্কাস) জেসমিন প্রেমা, আপন ফাউন্ডেশন আফতাবুজ্জামান, ঢাকা আহসানিয়া মিশনের নাজনীন শবনম, সিআরএসএস এডওয়ার্ড রবিন বল্লভ, ফেইথ ইন একশনের নৃপেন বৈদ্য, জনসেবা সংস্থার শেখ ফরিদ, চেঞ্জ দা লাইভস ফাউন্ডেশনের জাহিদ হোসেন, সাংবাদিক আবদুল আজিজ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে পথশিশুদের সুরক্ষায় স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি গ্রহণ, একটি পরিপূর্ণ জরিপ পরিচালনা করে পথে থাকা শিশুদের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সব তথ্য সংগ্রহ, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পরিচালিত পথশিশু সুরক্ষা কার্যক্রম সমন্বয় ও সহযোগিতা বুথ স্থাপন, পথশিশুদের জন্য ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস রেসপন্স ইউনিট গঠন, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে পথশিশু কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন এবং সরকারি সংস্থা, বেসরকারি সংগঠন ও পথশিশুসহ সবাইকে নিয়ে একটি ক্রস সেক্টর বডি গঠনের সুপারিশ করা হয়। আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটকে ইতিবাচক উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, করোনাকালে পথশিশুদের খাদ্য সংকটসহ অন্যান্য দুর্ভোগ বেড়েছে। তারা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে বাজেটে বরাদ্দের পাশাপাশি পথশিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা করা প্রয়োজন। বিশেষ করে শিশুদের জন্য আলাদা অধিদপ্তরের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা জরুরি। আর অধিদপ্তরের অনুকূলে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। একই সঙ্গে পথশিশুদের নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে। পথশিশুদের উৎসগুলো বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।