তেঁতুলিয়ায় বোরো ধান ঘরে তোলার পর চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন আমন ধান রোপনের কাজে। এজন্য জমি তৈরি হলেও সময়মত মিলছে না আমন ধানের ভালো মানের বীজ। চারা তৈরির সময় যাওয়ায় বেশ দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন দেশের উত্তর জনপদের তেঁতুলিয়ার ধান চাষীরা। কৃষি অফিসের দিকে তাকিয়ে আছেন বীজের জন্য। এমন মৌসুমে অনেক চাষিই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বীজ সংগ্রহ করেন। অন্যান্য বীজ থেকে কৃষি অফিসের বীজের গুণগত মান ভালো হয় এটার চাহিদা অনেকের। জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আমনের বীজ দিতে পারছে না কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন বিএডিসি থেকে বীজ সংগ্রহ করে নির্ধারিত চাষিদের কাছে সরবরাহ করে। এ বছর আমন মৌসুমে জমিতে বীজ ফেলার সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও বিএডিসি বীজ প্রদান করছে না। কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতি ইউনিয়নে মাত্র চারজন কৃষককে প্রদর্শনী আকারে চাষ করার জন্য সার ও বীজ দেয়া হয়। এছাড়া প্রত্যেক ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক কৃষককে আমনের বীজ দেয়া হয়। এসব বীজ গবেষণা লব্দ ও উন্নতমানের। কৃষকরাও চায় এই বীজ সংগ্রহ করে আমন চাষ করতে।
কৃষকরা বলছেন, বাজারে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানীর বীজ পাওয়া যায়। এসব বীজ অনেক সময় গজায় না। ধানের ফলনও ভালো হয় না। তাই তারা সরকারি অধিদপ্তরের বীজ চায়। শারিয়াল জোত এলাকার কৃষক দেলোয়ার হোসেন, সরকারপাড়ার সাইনুল ইসলাম জানান, সরকারি অধিদপ্তর থেকে যে বীজ দেয়া হয় তা উন্নতমানের। আমি বোরোধানের বীজ পেয়েছিলাম। আবাদ ভালো হয়েছে।
তাই আমন ধানের বীজের জন্য যোগাযোগ করেছি। কিন্তু কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বীজ দিতে পারছেন না। তারা বলছেন এখনও বীজ আসেনি। সময় চলে যাচ্ছে তাই বাজার থেকেই সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) আমাদেরও আমনের বীজ দেয়ার কথা। বার বার অনুরোধ জানানো হলেও এখনও বীজ দেয়নি। গত কয়েকদিন থেকে চাপ দেয়ার পর আগামী দু’একদিনের মধ্যে বীজ দেবে বলে জানিয়েছে। আমরা বীজ পেলেই তা কৃষকদের মাঝে বিতরণ করব।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চগড় কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন বিএডিসির সিনিয়র পরিচালক মো. আবদুল হাই। তিনি জানান, আমাদের অফিসে আমনের বীজ অনেক দিন ধরেই আছে। তেঁতুলিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কেউই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১ , ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৮ শাওয়াল ১৪৪২
প্রতিনিধি, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়)
তেঁতুলিয়ায় বোরো ধান ঘরে তোলার পর চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন আমন ধান রোপনের কাজে। এজন্য জমি তৈরি হলেও সময়মত মিলছে না আমন ধানের ভালো মানের বীজ। চারা তৈরির সময় যাওয়ায় বেশ দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন দেশের উত্তর জনপদের তেঁতুলিয়ার ধান চাষীরা। কৃষি অফিসের দিকে তাকিয়ে আছেন বীজের জন্য। এমন মৌসুমে অনেক চাষিই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বীজ সংগ্রহ করেন। অন্যান্য বীজ থেকে কৃষি অফিসের বীজের গুণগত মান ভালো হয় এটার চাহিদা অনেকের। জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আমনের বীজ দিতে পারছে না কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন বিএডিসি থেকে বীজ সংগ্রহ করে নির্ধারিত চাষিদের কাছে সরবরাহ করে। এ বছর আমন মৌসুমে জমিতে বীজ ফেলার সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও বিএডিসি বীজ প্রদান করছে না। কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতি ইউনিয়নে মাত্র চারজন কৃষককে প্রদর্শনী আকারে চাষ করার জন্য সার ও বীজ দেয়া হয়। এছাড়া প্রত্যেক ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক কৃষককে আমনের বীজ দেয়া হয়। এসব বীজ গবেষণা লব্দ ও উন্নতমানের। কৃষকরাও চায় এই বীজ সংগ্রহ করে আমন চাষ করতে।
কৃষকরা বলছেন, বাজারে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানীর বীজ পাওয়া যায়। এসব বীজ অনেক সময় গজায় না। ধানের ফলনও ভালো হয় না। তাই তারা সরকারি অধিদপ্তরের বীজ চায়। শারিয়াল জোত এলাকার কৃষক দেলোয়ার হোসেন, সরকারপাড়ার সাইনুল ইসলাম জানান, সরকারি অধিদপ্তর থেকে যে বীজ দেয়া হয় তা উন্নতমানের। আমি বোরোধানের বীজ পেয়েছিলাম। আবাদ ভালো হয়েছে।
তাই আমন ধানের বীজের জন্য যোগাযোগ করেছি। কিন্তু কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বীজ দিতে পারছেন না। তারা বলছেন এখনও বীজ আসেনি। সময় চলে যাচ্ছে তাই বাজার থেকেই সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) আমাদেরও আমনের বীজ দেয়ার কথা। বার বার অনুরোধ জানানো হলেও এখনও বীজ দেয়নি। গত কয়েকদিন থেকে চাপ দেয়ার পর আগামী দু’একদিনের মধ্যে বীজ দেবে বলে জানিয়েছে। আমরা বীজ পেলেই তা কৃষকদের মাঝে বিতরণ করব।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চগড় কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন বিএডিসির সিনিয়র পরিচালক মো. আবদুল হাই। তিনি জানান, আমাদের অফিসে আমনের বীজ অনেক দিন ধরেই আছে। তেঁতুলিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কেউই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।